৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ । ঐ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে?
৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে-একই সাথে ব্যাংকগুলোও ঐ দিন বন্ধ থাকবে-৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫
৫ই আগস্ট কি সরকারি ছুটি? হ্যাঁ। –জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” হলো বাংলাদেশের একটি নতুন জাতীয় দিবস, যা ২০২৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ আগস্ট পালিত হবে। এই দিনটিকে সরকার সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে এই দিবসটি পালন করা হবে। এই অভ্যুত্থানের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছিল
ক শ্রেণীর দিবস কোনগুলো? বাংলাদেশে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলো হলো জাতীয় শিক্ষক দিবস (১৯ জানুয়ারি), শহীদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি), জাতীয় পতাকা দিবস (২ মার্চ), জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ), স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ), মজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল), জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস (জুলাই মাস), জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট), জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস (৭ নভেম্বর), সশস্ত্রবাহিনী দিবস (২১ ডিসেম্বর), মুক্তিযোদ্ধা দিবস (১ ডিসেম্বর), এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর), বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর)। এই দিবসগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়।
সাধারণ ছুটি বলতে কি বুঝায়? সাধারণ ছুটি বলতে এমন কিছু দিনকে বোঝায় যখন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি অফিসগুলোও বন্ধ থাকে। এই দিনগুলোতে সাধারণত উৎসব, জাতীয় দিবস বা বিশেষ কোনো ঘটনার জন্য সরকার ছুটি ঘোষণা করে। অর্থাৎ, এই ছুটি সবার জন্য প্রযোজ্য এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটির দিনগুলোতে সাধারণত কোনো দাপ্তরিক কাজ হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংক পত্র জারির মাধ্যমে ৫ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে / ৫ ই আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে সরকারি ছুটি
সরকারি ছুটি হল এমন একটি দিন, যখন সাধারণত সরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এটি সাধারণত জাতীয় দিবস, ধর্মীয় উৎসব বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে পালিত হয়। সরকারি ছুটি একটি জাতির জন্য একটি বিশেষ দিন, যা সাধারণত জাতীয় দিবস বা স্বাধীনতা স্মরণে পালিত হয়।
Caption: Bank Remain Closed
বাংলাদেশের তফসিলি ব্যাংকের ছুটির তালিকা ২০২৫ । যে সকল দিন দেশে ব্যাংক বন্ধ থাকবে
- শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- শব-ই-বরাত
- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস
- স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
- জুমাতুল বিদা
- শব-ই-কদর
- ঈদ-উল-ফিতর
- নববর্ষ
- মে দিবস
- বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)
- ঈদ-উল-আযহা
- ব্যাংক হলিডে
- আশুরা
- ৫ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস
- জাতীয় শোক দিবস
- জন্মাষ্টমী
- ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ)
- দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী)
- বিজয় দিবস
- যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন)
- ব্যাংক হলিডে
ব্যাংক বন্ধ মানে কি লেনদেন হবে না?
হ্যাঁ, সাধারণত ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেন করা যায় না। ব্যাংক বন্ধ থাকার অর্থ হলো সেই দিন ব্যাংক তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে না, যার মধ্যে গ্রাহকদের জন্য লেনদেনও অন্তর্ভুক্ত। অনেক সময় সরকারি ছুটির দিনে ব্যাংক বন্ধ থাকে। বিশেষ কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানের কারণেও ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। ব্যাংক তাদের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম বা সিস্টেম আপগ্রেড করার জন্য মাঝে মাঝে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। টাকা জমা বা উত্তোলন করা যায় না। চেক নিষ্পত্তি করা যায় না। এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। অনলাইন ব্যাংকিংয়েও লেনদেন সীমিত হতে পারে। যদি জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকিং লেনদেন করতে হয়, তবে ছুটির দিন বা ব্যাংক বন্ধের দিন এড়িয়ে যাওয়া উচিত। বিকল্প হিসেবে অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।
ব্যাংক বন্ধ থাকলে টাকা কিভাবে উঠাবেন বা জমা দিবেন?
যদি ব্যাংক বন্ধ থাকে, তাহলে এটিএম ব্যবহার করে টাকা তোলা বা জমা দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, কিছু ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ দেয়, যা বন্ধের সময়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। | যদি জরুরি ভিত্তিতে নগদ টাকার প্রয়োজন হয়, তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে টাকা তোলার বা জমা দেওয়ার কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হলো: | এটিএম ব্যবহার: এটিএম বুথ সাধারণত ব্যাংক বন্ধ থাকার সময়েও খোলা থাকে। তাই, এটিএম থেকে টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। |
অনলাইন ব্যাংকিং: অনেক ব্যাংক এখন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুবিধা দেয়, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের একাউন্ট থেকে টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, বা অন্য কোনো ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারেন। | যদি জরুরি ভিত্তিতে নগদ টাকার প্রয়োজন হয়, তবে অন্য ব্যাংকের শাখায় গিয়েও লেনদেন করা যেতে পারে, যদি সেই ব্যাংক আপনার একাউন্টধারী ব্যাংক না হয়, তবে কিছু চার্জ লাগতে পারে। | ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ: যদি কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়েন, তবে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলোচনা করতে পারেন। ব্যাংক হয়তো আপনাকে সাহায্য করার জন্য অন্য কোনো উপায় বাতলে দিতে পারে। |
যদি সরাসরি আমানত বন্ধ অ্যাকাউন্টে যায়, তবে ব্যাংক সাধারণত সেই টাকা প্রেরকের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয় অথবা লেনদেনটি প্রত্যাখ্যান করে। | যদি আপনার কোনো পুরনো ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অ্যাকাউন্টের তথ্যের প্রয়োজন হয়, তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। | মোবাইল ব্যাংকিং: মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করা যেতে পারে। অন্য ব্যাংকের শাখা: |
৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ । এটি সরকারি ছুটি হিসেবে সারা দেশে পালিত হবে?