৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ । এটি সরকারি ছুটি হিসেবে সারা দেশে পালিত হবে?
৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ (সাধারণ ছুটিসহ) হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্তকরণ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে সরকার –৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫
৫ আগস্ট কোন শ্রেণী ভূক্ত? – সরকার প্রতিবছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ (সাধারণ ছুটিসহ) হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের নিমিত্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের ০৪.০0,0000,416.23.002. ১৭.৬১৪ সংখ্যক পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে জারীকৃত ০৪.০০,০০০০,000.416.23.0001.20.৩৯৫ সংখ্যক পরিপত্রটি বাতিল করা হয়েছে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
ক শ্রেণীর দিবস কোনগুলো? বাংলাদেশে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলো হলো জাতীয় শিক্ষক দিবস (১৯ জানুয়ারি), শহীদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি), জাতীয় পতাকা দিবস (২ মার্চ), জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ), স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ), মজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল), জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস (জুলাই মাস), জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট), জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস (৭ নভেম্বর), সশস্ত্রবাহিনী দিবস (২১ ডিসেম্বর), মুক্তিযোদ্ধা দিবস (১ ডিসেম্বর), এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর), বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর)। এই দিবসগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়।
শহীদ দিবস কবে? সরকার আরও দুটি দিবস ঘোষণা করেছে, যা জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্কিত: ১৬ জুলাই: জুলাই শহীদ দিবস – এই দিনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন, যাকে আন্দোলনের “প্রথম শহীদ” হিসেবে গণ্য করা হয়। ৮ আগস্ট: নতুন বাংলাদেশ দিবস (বাতিল) – প্রথমে এই দিনটি নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, কারণ ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে পরে সরকার এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। সুতরাং, ৫ আগস্ট “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” এবং ১৬ জুলাই “জুলাই শহীদ দিবস” হিসেবে পালিত হবে। ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি থাকবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” হলো বাংলাদেশের একটি নতুন জাতীয় দিবস, যা ২০২৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ আগস্ট পালিত হবে। এই দিনটিকে সরকার সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে এই দিবসটি পালন করা হবে। এই অভ্যুত্থানের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছিল।Caption: 5th Agust Govt. Leave
২০২৫ সালের বাংলাদেশের সরকারি ছুটির তালিকা । যে সব দিন সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়
- ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার: শব-ই-বরাত
- ২১ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার: শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- ২৬ মার্চ, বুধবার: স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
- ২৮ মার্চ, শুক্রবার: জুমাতুল বিদা
- ৩১ মার্চ, সোমবার: ঈদ-উল-ফিতর
- ১ মে, বৃহস্পতিবার: মে দিবস
- ১১ মে, রবিবার: বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)
- ৭ জুন, শনিবার: ঈদ-উল-আযহা
- ৬ জুলাই, রবিবার: আশুরা
- ০৫ আগস্ট, মঙ্গলবার: জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস
- ১৬ আগস্ট, শনিবার: জন্মাষ্টমী
- ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার: ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)
- ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার: দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী)
- ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার: বিজয় দিবস
- ২৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার: যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)
সাধারণ ছুটি বলতে কি বুঝায়?
সাধারণ ছুটি বলতে এমন কিছু দিনকে বোঝায় যখন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি অফিসগুলোও বন্ধ থাকে। এই দিনগুলোতে সাধারণত উৎসব, জাতীয় দিবস বা বিশেষ কোনো ঘটনার জন্য সরকার ছুটি ঘোষণা করে। অর্থাৎ, এই ছুটি সবার জন্য প্রযোজ্য এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটির দিনগুলোতে সাধারণত কোনো দাপ্তরিক কাজ হয় না।
বাংলাদেশের সরকারি ছুটির প্রকারভেদগুলো হলো:সাধারণ ছুটি (Public Holiday): এটি সবার জন্য প্রযোজ্য এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত হয়। | নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি (Government Holiday by Executive Order): এটিও সরকারি ছুটি, তবে নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করা হয়। এটি সরকারি, আধা-সরকারি, সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হয়। | ঐচ্ছিক ছুটি (Optional Leave): এটি ধর্মীয় পর্ব অনুযায়ী কর্মচারীরা বছরে সর্বোচ্চ তিন দিন নিতে পারে, তবে এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। |
সংক্ষেপে, সাধারণ ছুটি হলো এমন একটি সরকারি ছুটি যা দেশজুড়ে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য। | ||