বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে প্রসূতি বা মাতৃত্বকালিন ছুটি হিসাবে ৬ মাস নির্ধারণ করেছে। একজন মহিলা সরকারী কর্মচারী প্রসূতি ছুটির জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ আবেদনের তারিখ হতে অথবা অবরোধের তারিখ হতে (যা আগে আসে) ৪ মাস (বর্তমান ছয় মাস) ছুটি মঞ্জুর করতে পারেন।
প্রসূতি ছুটি সমগ্র চাকরি জীবনে ২ বারের বেশী প্রাপ্য নয়। এই ছুটি অর্জন করতে হয় না এবং ছুটির হিসাব হতে ডেবিট হয় না। এই ছুটির সাথে যে কোন ছুটি মঞ্জুর করা যায়। অস্থায়ী মহিলা সরকারী কর্মচারীকেও এই ছুটি মঞ্জুর করা যাবে তবে সন্তান প্রসবের তারিখের অব্যবহিত পূর্বে উক্ কর্মচারীর চাকুরীর মেয়াদ কমপক্ষে ৯ মাস পূর্ণ হ তহবে। [ER-101/Rul 197, BSR-1]
মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে কি মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট জমা দিতে হয়? হ্যাঁ। প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর অনুরোধ কোন নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক সমর্থিত হইলে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের বিবেচনা মতে কর্মচারীর প্রাপ্য অন্য যে কোন ছুটির সহিত একত্রে বা সম্প্রসারিত করিয়া মঞ্জুর করা যাইতে পারে। (৩) চাকুরী জীবনে কোন কর্মচারীকে দুইবারের অধিক প্রসূতি ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না।
ধন্যবাদ
প্রসূতি ছুটিতে থাকা অবসস্থায় শ্রান্তি বিনোদন ছুটির প্রাপ্যতা অর্জিত হলে এক সাথে শ্রান্তি বিনোদন ছুটি মঞ্জুর করার আবেদন করা যায় কি ? এই সম্পর্কিত বিধান কি ?
যোগদান করে। আবেদন করতে হবে। ছুটি কাটিয়ে আবেদন করলে শ্রান্তি বিনোদন তারিখ পিছিয়ে যাবে।
প্রসূতি ছুটির সাথে শ্রান্তি বিনোদন ছুটি নেয়ার নিয়ম কী? যদি প্রসূতি ছুটি শেষ না হয় তাহলে যোগদান করে শ্রান্তি বিনোদন ছুটি নিয়ে পরে আবার প্রসূতি ছুটি কাটানো যায় কী?
না। প্রসূতি শেষ করা পরে যোগদান করে শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি নিবেন। এটি পিছিয়ে গেলেও নেয়া যায়। যদি আপনার কোন আর্থিক ক্ষতি না হয় পিছিয়ে নিতে পারেন।
সন্তান ভূমিষ্ঠ এর ১৮ দিন পরে প্রসূতি ছুটি নেওয়া যায়।
LAP ছুটি হতে হাজির হয়ে কি প্রসূতি ছুটি যাওয়া যায় কি?
নিয়ম অনুযায়ী যায় না।