আসন্ন চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ১৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রবিবার তিনটি পার্বত্য জেলায় (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা) নির্বাহী আদেশে এক দিনের সাধারণ ছুটি থাকবে–চৈত্র সংক্রান্তি নির্বাহী আদেশে ছুটি ২০২৫
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে? হ্যাঁ। Allocation of Business Among The Different Ministries and Divisions (Schedule I of the Rules of Business, 1996) (Revised up to April 2017) এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশের ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে সরকার আসন্ন চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ১৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রবিবার তিনটি পার্বত্য জেলায় (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা) নির্বাহী আদেশে এক দিনের সাধারণ ছুটি এবং দেশের অন্যত্র সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করিল। ছুটিকালীন সময়ে তিনটি পার্বত্য জেলায় (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা) সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকিবে।
চৈত্র সংক্রান্তি কি? চৈত্র মাসের শেষ দিনকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। এটি বাঙালিদের একটি চিরায়ত উৎসব। এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস ইত্যাদি কাজ করা পুণ্যময় বলে মনে করা হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে গাজন উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পৌরাণিক ও লৌকিক দেবতার নামে ‘পালা’ গান অনুষ্ঠিত হয়। চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা চড়ক সংক্রান্তির মেলা নামে অভিহিত।
চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবের বিশেষত্ব কি? চৈত্র সংক্রান্তি বাঙালিদের জীবনে বিশেষ। আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে পালিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি। এক সময় এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উৎসব হতো চৈত্র সংক্রান্তিতে। এ দিনটি এখন ছুটির দিন হিসেবে পালিত হবে।
চৈত্র সংক্রান্ত সাধারণ ছুটি ২০২৫/ পার্বত্য এলাকায় উৎসব পালনে একদিনের ছুটি ঘোষণা
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে সরকার তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সাধারণ ছুটি থাকবে। দেশের অন্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
Caption: চৈত্র সংক্রান্তি ছুটি ২০২৫
পার্বত্য এলাকার সাধারণ ছুটি ২০২৫ । যে সকল প্রতিষ্ঠান চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি কার্যকর থাকবে না
- জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীগণ এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- জরুরি কাজের সাথে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবে।
- আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবেন।
শুধু পাবর্ত্য এলাকায় এই ছুটি কার্যকর?
হ্যাঁ। এই ছুটির দিনে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন। হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরাও এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়াও, জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।