সার্ভিস রুলস । নীতি । পদ্ধতি । বিধি

জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা ২০২৫ । কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ট্রেনিং এ অংশ নিতে হবে?

জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা হলো সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত একটি নিয়মাবলী বা নির্দেশিকা। এই নীতিমালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা, প্রশিক্ষকদের পুল গঠন, এবং প্রশিক্ষণ চাহিদা নিরূপণ করা হয়-জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা ২০২৫

প্রশিক্ষণ কি দক্ষতা বৃদ্ধি করে? হ্যাঁ। টাকাও দেয়। প্রশিক্ষণ কর্মীদের নতুন জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে, যা তাদের কাজের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রশিক্ষণ কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আরও কার্যকর এবং উৎপাদনশীল করে তোলে। প্রশিক্ষণ কর্মীদের পদোন্নতি এবং নতুন চাকরির সুযোগ পেতে সহায়ক হতে পারে। সরকারি কর্মচারীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য এই নীতিমালার অধীনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে বিকেন্দ্রীকরণ করা এবং সরকারি কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণকারী সকল কর্তৃপক্ষকে তাদের আওতাধীন কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ চাহিদা পূরণের জন্য উৎসাহিত করা হয়।

ট্রেনিং করলে কি ভাতা পাওয়া যায়? হ্যাঁ, প্রশিক্ষণ নিলে ভাতা পাওয়া যেতে পারে। সরকারি বিধি অনুযায়ী, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা এবং ক্ষেত্র বিশেষে দৈনিক ভাতা (টিএ/ডিএ) প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য একটি নির্দিষ্ট হারে এই ভাতা দেওয়া হয়। এটি প্রশিক্ষণার্থীর পদমর্যাদা এবং প্রশিক্ষণের সময়কালের উপর নির্ভর করে। প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে তার কর্মস্থল থেকে অন্য কোথাও যেতে হলে, এই ভাতা দেওয়া হয়। এটি ভ্রমণ এবং আবাসন খরচ বাবদ দেওয়া হয়। কিছু কিছু প্রশিক্ষণে খাবার খরচ, প্রশিক্ষণ সামগ্রী (যেমন: ফাইল, ফোল্ডার, হ্যান্ডআউট ইত্যাদি) বাবদও ভাতা দেওয়া হতে পারে। এই ভাতাগুলো সাধারণত প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। যদি আপনি কোনো সরকারি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাচ্ছেন, তবে সেই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ভাতা পাওয়ার নিয়মকানুন ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রথম ট্রেনিং কত দিনের? বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রথম মৌলিক প্রশিক্ষণ সাধারণত ৬ মাস মেয়াদি হয়ে থাকে। এই প্রশিক্ষণটি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি (BCS Administration Academy) কর্তৃক প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে: আইন ও প্রশাসন বিষয়ক জ্ঞান, উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ক জ্ঞান, বিভিন্ন ধরণের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণকালে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরণের কোর্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে হয়, যা তাদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।

জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা ১০ (১) ধারায় কি আছে? অনেক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পদোন্নতির জন্য একটি পূর্বশর্ত এবং কর্মকর্তাদের তাদের কর্মজীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা সর্বশেষ উন্নয়ন এবং কৌশল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন, যা তাদের কাজের পদ্ধতিকে উন্নত করতে পারে-প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা আরও ভালোভাবে কাজ করতে এবং একটি দক্ষ কর্মপরিবেশ তৈরিতে আগ্রহী হন।

ট্রেনিং করার জন্য কর্মকর্তারা এত ব্যাকুল কেন? কর্মকর্তারা সাধারণত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ তৈরি, নতুন জ্ঞান ও কৌশল অর্জন এবং কর্মক্ষেত্রে আরও কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য ব্যাকুল হন। প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা নতুন দক্ষতা অর্জন করতে এবং বিদ্যমান দক্ষতা উন্নত করতে চান, যা তাদের কর্মক্ষেত্রে আরও কার্যকর করে তোলে। প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং তাদের কাজের ক্ষেত্রে আরও আত্মবিশ্বাসী হতে চান। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতির জন্য আগ্রহী হন। এছাড়াও, অনেক সময় বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য উৎসাহিত করে থাকে, যা কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

Caption: Training Rules bd

জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালার ১০(১) ধারায় বলা হয়েছে যে, সরকারের উপসচিব পদের কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে তাদের পরবর্তী পদোন্নতির জন্য উচ্চতর প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স (এসিএডি) আয়োজন করা হবে।

  1. উপসচিব পদের কর্মচারীদের জন্য উচ্চতর প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স (এসিএডি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
  2. এই কোর্সটি তাদের পরবর্তী পদোন্নতির জন্য একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত।
  3. এই কোর্সটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
  4. সুতরাং, এই ধারাটি মূলত উপসচিবদের জন্য পদোন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে এসিএডি কোর্সকে সংজ্ঞায়িত করে।

ট্রেনিং না করলে কি পদোন্নতি হয় না?

হ্যাঁ, জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০২৫ সালের নীতিমালায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণকে একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা, যা সাধারণত পিএটিপি (পিউপিলস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং পলিসি) নামে পরিচিত, কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। এই নীতিমালায় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রশাসন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, এবং बदलते পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যদি কোনো কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করেন, তবে তার পদোন্নতি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আটকে যেতে পারে। এই নীতিমালা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি কাঠামোগত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, যা তাদের পেশাগত জীবনে উন্নতিতে সহায়ক হবে। [সুতরাং, কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা এখন একটি আবশ্যকীয় বিষয়।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *