দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ ২০২৫ । বাংলাদেশে বিদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে কত টাকা ফি দিতে হয়?
বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস/মিশনে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন আগামী ১৫/০৫/২০১৫ তারিখ থেকে সরাসরি হার্ডকপিতে (অফলাইনে) গ্রহণ করা হবে না। সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুততমসময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী ১৬/০৫/২০২৫ তারিখ থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ এর আবেদন শতভাগ অনলাইনে গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে-দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ ২০২৫
বাংলাদেশ কি দ্বৈত নাগরিকত্ব দেয়?– হ্যাঁ, বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিকত্ব (Dual Citizenship) অনুমোদন করে, তবে এটি সীমিত ভিত্তিতে। বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়। বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা বর্তমানে নিচের দেশের নাগরিক, তারা দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন:
- যুক্তরাষ্ট্র (USA)
- যুক্তরাজ্য (UK)
- কানাডা
- অস্ট্রেলিয়া
- ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ
কীভাবে আবেদন করতে হয়? বাংলাদেশ সরকারের নিকট আবেদন করতে হয় — সাধারণত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যেমন: বিদেশি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি জন্ম বা বংশোদ্ভূত প্রমাণ, ফি প্রদান সংক্রান্ত রসিদ, আবেদন অনুমোদিত হলে, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই নাগরিকত্ব দিয়ে বাংলাদেশে বসবাস ও কাজ করার অধিকার পাওয়া যায় এবং সম্পত্তি কেনা ও ব্যবসা করার অধিকার পাওয়া যায়। এছাড়া ভোটাধিকার না থাকলেও অনেক নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়। তবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে — যেমন সরকারি চাকরি বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে।
দৈত নাগরিকত্ব পেতে আবেদন লিংক? অনলাইনে scs.ssd.gov.bd লিংক এ নিজস্ব gmail আইডি দিয়ে Login করে অনলাইনে ফরম পূরণ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড ও ই-পেমেন্টের মাধ্যমে সরকারি ফি পরিশোধ করে আবেদন করা যাবে। আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তির পর ডিজিটাল সনদ আবেদনকারী ই-মেইলে প্রাপ্ত হবেন। নিজস্ব gmail আইডি থেকে QR Code সম্বলিত ডিজিটাল সনদ ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে।
দ্বৈত নাগরিকত্ব (Dual Citizenship) মানে হলো — একজন ব্যক্তি একাধিক দেশের নাগরিকত্ব একসাথে রাখতে পারেন। অর্থাৎ, তিনি একই সঙ্গে দুইটি দেশের নাগরিকত্বের অধিকার ভোগ করতে পারেন।
তুমি যদি বাংলাদেশি নাগরিক হও এবং পরে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাও, তাহলে তুমি যদি দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার অনুমতি পাও, তাহলে তুমি একই সঙ্গে বাংলাদেশ এবং আমেরিকার নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে।
Caption: https://scs.ssd.gov.bd
📝 প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৫ । দ্বৈত নাগরিকত্বের সনদ সাধারণত স্থায়ী (permanent) হয়, তবে যদি সনদ হারিয়ে যায় বা ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নতুন সনদ লাগে, তখন ফি দিতে হয় (প্রায় একই হারে)।
- পূরণকৃত আবেদন ফর্ম
- বিদেশি পাসপোর্টের কপি
- বাংলাদেশি পাসপোর্ট (যদি থাকে) বা বংশোদ্ভূত হওয়ার প্রমাণ
- জন্ম সনদ/এনআইডি কপি
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- প্রমাণিত ফি জমার রসিদ
বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে কত টাকা ফি দিতে হয়?
বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সনদ (Dual Nationality Certificate) পেতে ফি নির্ভর করে আপনি দেশ-ভেদে কোথা থেকে আবেদন করছেন তার ওপর। নিচে সাধারণ কিছু ফি’র বিবরণ দেওয়া হলো, যেটা বিদেশে বাংলাদেশ হাইকমিশন বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে আবেদন করলে প্রযোজ্য হয়: 💰 দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন ফি (প্রায়):
আবেদনকারী দেশের অবস্থান | সনদের ফি (প্রায়) |
---|---|
যুক্তরাষ্ট্র | $77 – $100 USD |
যুক্তরাজ্য | £60 – £85 GBP |
কানাডা | CAD 100 – CAD 120 |
অস্ট্রেলিয়া | AUD 110 – AUD 130 |
ইউরোপের দেশসমূহ | €85 – €100 EUR |
বিঃদ্রঃ: ভিন্ন ভিন্ন মিশনে ফি সামান্য ভিন্ন হতে পারে। অতিরিক্ত কুরিয়ার চার্জ বা সার্ভিস ফি যোগ হতে পারে।
বাংলাদেশে ব্যবসায় করতে কি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হয়? হ্যাঁ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) হতে বিদেশী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদানের নিমিত্ত নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিকট আবেদনপত্র প্রেরণ করা হত। বিদেশী কর্মীদের উক্ত আবেদনপত্র গুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (NSI) সংস্থায় তাদের মতামতের জন্য প্রেরণ করা হত। সেই আবেদনের উপর স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (NSI) থেকে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রতিবেদন পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উক্ত বিদেশী কর্মীদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করত। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চলার কারণে বিদেশী নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট পেতে অনেক সময় লেগে যেত। গুরুত্বপূর্ণ এই সেবাটি সহজীকরণের জন্য ০১.০৬.২০১৫ খ্রি. তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম কার্যক্রম শুরু করা হয়।
অদ্যাবধি এই সিস্টেমে বিডা, এসবি এবং এনএসআই সংযুক্ত হয়ে কাজ করছে। নতুন করে অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেমটির কার্যক্রম আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে “Enhancement of Online Security Clearance System (SCS) Software” এই নামে ২৭ মার্চ ২০২২ খ্রি. তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজনেস অটোমেশনের মধ্যে নতুন করে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির ফলে নতুন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের আরো দুটি সেবা যেমনঃ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার চাকুরী পার্থীদের (৯ম ও ১০ম গ্রেড/নন ক্যাডার) প্রাক পরিচিতি যাচাই এবং বিদেশে বিভিন্ন কারণে আটকে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম অনলাইন সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ে গ্রাহক তার চাহিদা মোতাবেক সেবা গ্রহন করতে পারবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সরকারি চাকুরিজিবীদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স এবং বিদেশে বিভিন্ন কারণে আটকে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়াটি এখন থেকে সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমেই হবে। এই সিস্টেমটি চালু হবার ফলে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা/দপ্তর/অধিদপ্তর এর ব্যবহারকারীরা আবেদনের অবস্থান সম্পর্কে জেনে কি করনীয় তা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এতে করে সেবা গ্রহীতা খুব অল্প সময়ে ঝামালে বিহীন সেবা গ্রহন করতে পারবেন। এ অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে সচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হবে।
দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া কি?
বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে ফি দিতে হয়। এই ফি কত, তা নির্ভর করে আপনি কোন দেশ থেকে আবেদন করছেন তার উপর। নির্দিষ্ট ফি জানতে আপনাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনেও আবেদন করা যেতে পারে। বর্তমানে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আবেদন করার জন্য আপনার বর্তমান পাসপোর্ট, জন্ম সনদের কপি, এবং অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র জমা দিতে হতে পারে। আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। আপনি যদি কোনো বিদেশি দেশে থাকেন, তাহলে আপনার দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস বা হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে পারেন।