Force Retirement Facilities 2025 । বাধ্যতামূলক অবসরের ক্ষেত্রে ছুটির পরিবর্তে নগদ অর্থ পাবে?
সাধারণত সরকারি কর্মচারীদের জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মূলত এটা জনস্বার্থে হলেও উক্ত কর্মচারীকে শাস্তি হিসেবেই বাধ্যতামূল অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ছুটি বিক্রির টাকা পাবে কিনা প্রশ্নের উত্তরে যা বলা যেতে পারে-Force Retirement Facilities 2025
বাধ্যতামূলক অবসর কখন দেয়? গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৪ এর ৯(২) ধারা মোতাবেক পঁচিশ বৎসর চাকুরী পূর্তিতে সরকার কোন সরকারী কর্মচারীকে যে কোন সময় কোনপ্রকার কারণ দর্শানাে ব্যতিরেকে জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ তাহাকে চাকুরী হইতে বাধ্যতামূলক অবসর দান করিতে পারে। এক্ষেত্রে আদেশে যদি সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ না থাকে তবে অনেক সুবিধাই পাওয়া যাবে না। তবে অবসর সুবিধাদি পাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলে তিনি পেনশন ও গ্র্যাচুইটি পাবেন।
বাধ্যতামূলক অবসর কি? বাধ্যতামূলক অবসর (mandatory retirement) হল একটি নির্দিষ্ট বয়স বা সময়ের পরে কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য করার একটি নিয়ম। এটি সাধারণত শিল্প বা আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়। দেশের শ্রম আইন সাধারণত অবসরের বয়স নির্ধারণ করে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন বিচার বিভাগীয় পেনশন এবং অবসর আইন ১৯৯৩ (বিচারকদের জন্য 75 বছর বয়সে বাধ্যতামূলক অবসর) এর মতো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অবসরের বয়স নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক অবসর দেখা যায়। সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট বয়স (যেমন, ৬০ বা ৬২ বছর) অথবা নির্দিষ্ট সময় (যেমন, ২৫ বছর চাকরি) পর বাধ্যতামূলক অবসরের নিয়ম থাকতে পারে।
সরকারি চাকরি আইনে কি বাধ্যতামূলক অবসর বিষয়ে কিছু বলা আছে? হ্যাঁ। বাধ্যতামূলক অবসর সাধারণত সরকার, কোম্পানি বা অন্যান্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা নেওয়া সিদ্ধান্ত। বাধ্যতামূলক অবসর সাধারণত কর্মীর বয়স, কর্মক্ষমতা বা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। বাধ্যতামূলক অবসর সাধারণত কর্মীর বয়স, কর্মক্ষমতা বা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি-৪ এর উপ-বিধি (৬) তে উল্লেখ করা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিক অসামর্থতা, অদক্ষতা, অসদাচরণ, পলায়ন, দুর্নীতি ও নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা যায়। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫ বছর চাকরি করার পর স্বেচ্ছায় অবসরের সুযোগ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের পেনশন সুবিধা পেতে পারেন। বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের অন্যান্য সুবিধা যেমন – আনুতোষিক, ইত্যাদি পেতে পারেন।
বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশে কি উল্লেখ থাকে অবসর সুবিধার কথায়? হ্যাঁ। যদি শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসর দেয় তবে ছুটি নগদায়ন সহ কিছু সুবিধা নাও পাওয়া যেতে পারে
১৫ বছর চাকরি হলে কি স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া যায়?
না। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৫ বছর চাকরি করলেই সব সুবিধাসহ স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে পারবেন, এমন সুবিধা রাখার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বর্তমানে ২৫ বছর চাকরি করলে পেনশন-সুবিধাসহ স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সুযোগ পান কর্মকর্তারা। এমনকি সরকার ইচ্ছা করলে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়
অর্থ বিভাগ, প্রবিধি শাখা-২
নং অম(অবি)/প্রবি-২/ছুটি-৩/৮৫/৫১ তারিখ: ৩০/৫/৮৯ ইং ১৬/২/৯৬ বাং
“অফিস স্মারক”
বিষয়: বাধ্যতামূলকভাবে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পাওনা ছুটির পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান প্রসঙ্গে।
অর্থ বিভাগের ২১/০১/৮৫ ইং তারিখের অম/অবি/প্রবি-২/ছুটি-১৬/৮৪/৯ সংখ্যক স্মারকের নীতিমালা অনুযায়ী ১৯৮৫ সনের সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা এবং ৯/৮২ নং সামরিক আইন আদেশের আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ১২ মাসের ছুটি নগদায়ন করিতে পারিবেন কিনা, এই প্রশ্ন সরকারের বিবেচনাধীন ছিল।
২। প্রচলিত বিধানাবলীর আলোকে বিষয়টি পরীক্ষা করিয়া সরকার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, যেহেতু উপরোক্ত বিধিমালা এবং সামরিক আইন আদেশের আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে অবসর প্রদান এক ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং শাস্তি প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা প্রদান সরকারের অভিপ্রায় নহে, সেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে অবসরপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী উপরোক্ত স্মারকের আওতায় ১২ মাসের ছুটি নগদায়ন করিতে পারিবে না।
(মোহাম্মদ সাদেক)
উপ-সচিব (প্রবিধি)।
আরও বিস্তারিত জানতে পেনশন বিধিমালা দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড
প্রশ্নোত্তর পর্ব:
- প্রশ্ন: ১২ মাস তো নয় ১৮ মাসের লাম্পগ্র্যান্ট পাবে না?
- উত্তর: না পাবে না।
- প্রশ্ন: বাধ্যতামূলক অবসর কি একটা শাস্তি?
- উত্তর: হ্যাঁ এটি শাস্তি। যার দরূন সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না।