আয়কর । ভ্যাট । আবগারি শুল্ক

ফলমুলের উপর উৎসে কর হ্রাস ২০২৫ । দেশে ফলের দাম কি এখন কিছুটা কমবে?

বাংলাদেশে ফলের দাম এখন এত বেশি যে সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা প্রায় দূরহ হয়ে পড়েছে-প্রতিটি ফলের কেজি প্রায় ৩০০ টাকার কাছাকাছি কিছু ফলের দাম ৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে– ফলমূলের উপর উৎসে কর হ্রাস ২০২৫

ফলের উপর ট্যাক্স কত? উৎসে কর এখন ১০% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। বিদেশ থেকে ফল আমদানিতে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক ও কর আরোপ করা হয়। এই শুল্ক ও করের পরিমাণ বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, ফল আমদানির উপর যেসকল শুল্ক ও কর আরোপ করা হয়, তা হল:

  • আমদানি শুল্ক
  • নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক
  • সম্পূরক শুল্ক
  • অগ্রিম আয়কর
  • মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)

বাজারে ফলমুলের দাম এখন কেজি কত টাকা? বাজারে ফলমূলের দাম বিভিন্ন কারণে ওঠানামা করে। কিছু ফল নির্দিষ্ট ঋতুতে বেশি পাওয়া যায়, তাই তখন দাম কম থাকে। আবার, অফ-সিজনে দাম বেড়ে যায়। আমদানি বা উৎপাদন কম হলে দাম বাড়ে। আবার, সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে। উৎসব বা বিশেষ সময়ে ফলের চাহিদা বাড়লে দাম বেড়ে যায়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ বাড়ে, যার প্রভাব ফলের দামে পড়ে। বিদেশি ফলের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কের পরিবর্তনের কারণে দামের পরিবর্তন হয়। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বাজারে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ফলের সরবরাহ কম থাকলে বা চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, দেশে কোনো কারণে আমদানি কমে গেলে বা চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বেড়ে যায়।

আমদানিকৃত ফলের দাম এত বেশি কেন? আমদানিকৃত ফলের দাম বেশি হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আমদানিকৃত ফলের উপর বিভিন্ন ধরনের শুল্ক ও কর আরোপ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আগাম কর। এসব শুল্কের কারণে ফলের দাম বেড়ে যায়। আমদানিকৃত ফল কিনতে ডলারের প্রয়োজন হয়। ডলারের দাম বাড়লে আমদানি খরচও বেড়ে যায়, যার ফলে ফলের দামও বৃদ্ধি পায়। বিদেশ থেকে ফল আমদানি করতে পরিবহন খরচ একটি বড় ভূমিকা রাখে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ বাড়ে, যার প্রভাব ফলের দামে পড়ে। আমদানিকারক থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগীর কারণেও ফলের দাম বেড়ে যায়। ঋণপত্র খোলায় জটিলতা, ডলারের দাম বৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ানো ও সরবরাহে ঘাটতির কারণে চাহিদার তুলনায় ফল আমদানি কমছে। এই কারণগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে আমদানিকৃত ফলের দাম বেড়ে যায়।

Caption: Fruits Tax Reduce

ফল আমদানির ওপর বিভিন্ন ধরনের ভ্যাট ও ট্যাক্স দিতে হয়। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো:

  1. আমদানি শুল্ক: ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হয়।
  2. নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক: ফল আমদানির ওপর ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক দিতে হয়।
  3. সম্পূরক শুল্ক: ফল আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়।
  4. অগ্রিম আয়কর: ফল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়।
  5. মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট): ফল আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়।
  6. আগাম কর: ফল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়।
এই করগুলোর পরিমাণ ফলের প্রকারভেদ এবং আমদানি মূল্যের ওপর নির্ভর করে। তাই, নির্দিষ্টভাবে ফলের ওপর ভ্যাট ট্যাক্সের পরিমাণ বলা সম্ভব নয়।

ফলমুলের দাম কি এখন হাতে নাগালে?

ফলমুলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। সেটি বিবেচনা করে এখন সরকার উৎসে কর কমিয়ে নিয়ে এল। দেশীয় কিছু ফলের দামেও পরিবর্তন এসেছে। এখানে কিছু ফলের আনুমানিক দাম দেওয়া হলো:
  • আপেল: প্রতি কেজি ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
  • কমলা: প্রতি কেজি ২৮০ টাকা।
  • আঙুর: প্রতি কেজি ৩৫০-৩৮০ টাকা।
  • পেয়ারা: প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা।
  • তরমুজ: প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
  • পেঁপে: প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
  • সফেদা: প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।
  • কলা: প্রতি ডজন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা।
তবে, এই দাম স্থানভেদে এবং ফলের গুণগত মানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *