সরকারি চাকরিতে প্রতি বছর ৪৮ দিনের মত ছুটি জমা হয়- জমাকৃত ছুটি হতে পূর্ণ বেতনে অর্জিত ছুটি ভোগ করা যায়- ছুটি জমা না থাকলেও প্রাপ্যতা বিহীন ছুটি ভোগ করা যায়–Full Pay Leave Rules 1959
ছুটিকালীন বেতন কি? বি এস আর, পার্ট-১ এর বিধি-২০৮ তে বর্ণিত সৰ্বোচ্চ সীমা সাপেক্ষে যে মাসে ছুটিতে যাইবেন উহার পূর্ববর্তী পূর্ণ ১২ (বার) মাসের গড় বেতন এবং ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে উত্তোলনকৃত বেতন, এই দুইয়ের মধ্যে যাহা অধিক লাভজনক উহার ভিত্তিতেই গড় বেতনে ছুটিকালীন বেতন নির্ধারিত হইবে। অর্ধ-গড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ে উপ-বিধি-(১) অনুসারে নির্ধারিত বেতনের অর্ধহারে ছুটিকালীন বেতন পাইবেন । সরকারী কর্মচারী যে দেশেই ছুটি ভোগ করুন না কেন, ছুটিকালীন বেতন বাংলাদেশী মুদ্রায় বাংলাদেশে প্রদেয় হইবে । নোট : বি এস আর, পার্ট-১ এর পরিশিষ্ট-৫ ( Appendix No. – 5) এর অধীনে মঞ্জুরকৃত অধ্যয়ন ছুটির ক্ষেত্রে উপ-বিধি-(৩) তে বর্ণিত বিধিনিষেধ কার্যকর হইবে না ।
অর্ধেক বেতনে ছুটি নেয়া যায়? হ্যাঁ। মূল বেতন অর্ধেক পাবেন কিন্তু বাকী সব পূর্ণ হারেই। নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ এর উপরোক্ত বিধি ৬ তে ছুটিকালীন বেতন নির্ণয়ের যে পদ্ধতি বর্ণিত আছে তাহা অত্যন্ত দীর্ঘ প্রকৃতির হওয়ায় Memorandum No SGA / RII / IM-34/64-399, তারিখ : ০১ অক্টোবর, ১৯৬৯ দ্বারা ছুটিকালীন বেতন নির্ণয়ের উক্ত পদ্ধতিকে সহজীকরণ করা হয়। উক্ত নির্দেশনা মতে ছুটি আরম্ভের পূর্বে সর্বশেষ উত্তোলিত বেতনের সমহারে গড় বেতনে ছুটিকালীন বেতন পাইবেন এবং উক্ত হারের অর্ধহারে অর্ধ গড় বেতনে ছুটিকালীন বেতন পাইবেন । বর্তমানে ছুটিকালীন বেতন নির্ণয়ের এই পদ্ধতিটিই কেবল অনুসরণযোগ্য। নির্ধারিত ছুটি বিধিমালার বিধি ৬ এর বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন বেতন নির্ণয়ের প্রক্রিয়াটি বর্তমানে অকার্যকর।
এককালীন প্রদেয় ছুটির সর্বোচ্চ মেয়াদ কত দিন? এককালীন সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত ছুটি ভোগ করা যাইবে। কিন্তু মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে হইলে এই মেয়াদ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইবে । অবকাশ বিভাগের স্থায়ীকর্মে নিয়োজিত কোন সরকারী কর্মচারী যে বৎসর পূর্ণ অবকাশ ভোগ করিবেন, তিনি উক্ত বৎসরের কর্মকালের জন্য গড় বেতনে কোন ছুটি পাইবেন না ।
সরকারি চাকরিতে দীর্ঘকাল ছুটিতে থাকলেও বেতন ভাতাদি পাওয়া যায় /কিছু ক্ষেত্রে জমা না থাকলেও ছুটি পাওয়া যায়
ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ এর বিধি- ৩(১)(ii) অনুযায়ী একজন কর্মচারী ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে এককালীন সর্বোচ্চ ৪ (চার) মাস পর্যন্ত গড় বেতনে ছুটি ভোগ করিতে পারেন।
নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯ পিডিএফ ডাউনলোড
নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯ । সরকারি চাকরিতে কত রকমের ছুটি আছে?
- অর্জিত ছুটি (Earned Leave)
- অসাধারণ ছুটি (Extraordinary Leave)
- অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave)
- সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave)
- প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave)
- প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি (Leave not due)
- অবসর উত্তর ছুটি (Post Retirement Leave)
- নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave)
- সাধারণ ও সরকারী ছুটি (Public and Government holiday)
- সাধারণ ছুটি (Public holiday)
- নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি (Government holiday)
- ঐচ্ছিক ছুটি (Optional Leave)
- শ্রান্তি বিনোদন ছুটি (Rest and Recreation Leave)
- অক্ষমতাজনিত বিশেষ ছুটি (Special Disability Leave)
- বিশেষ অসুস্থতাজনিত ছুটি (Special sick leave)
- অবকাশ বিভাগের ছুটি (Leave of Vacation Department )
- বিভাগীয় ছুটি (Departmental Leave)
- চিকিৎসালয় ছুটি (Hospital Leave)
- বাধ্যতামূলক ছুটি ( Compulsory Leave)
- বিনা বেতনে ছুটি (Leave without pay )
পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে কি ছুটি পাওয়া যায়?
হ্যাঁ। বি এস আর, পার্ট-১ এর বিধি-১৯৬ সংগনিরোধ ছুটি সম্পর্কে বি এস আর-১৯৬ এর বিধান রয়েছে। সরকারী কর্মচারীর পরিবারের বা তাঁহার বাড়ীর কোন বাসিন্দার সংক্রামক রোগের কারণে উক্ত কর্মচারীর অফিসে আগমন নিষিদ্ধ করিয়া আদেশ জারির মাধ্যমে যে ছুটি প্রদান করা হয়, উহাই সংগনিরোধ ছুটি।এই প্রকার ছুটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অফিস প্রধান সর্বাধিক ২১. (একুশ) দিন পর্যন্ত এবং বিশেষ অবস্থায় ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত মঞ্জুর করিতে পারিবেন। সংগনিরোধজনিত কারণে ইহার অতিরিক্ত ছুটির প্রয়োজন হইলে, এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে। এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লোক নিয়োগ করা যায় না। ইহাছাড়া উক্ত ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন । এই প্রকার ছুটির মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান । বিশ্লেষণ : (১) গুটি বসন্ত, কলেরা, প্লেগ, টাইফাস জ্বর ও সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজষ্টাটিস রোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে। (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১কিউ-৪/৩৪২, তারিখ : ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫)
নির্ধারিত ছুটিমালা, ১৯৫৯ এর ৩(১) (ii) নং বিধি অনুযায়ী একজন কর্মচারী স্বাস্থ্যগত কারণে গড় বেতনে এককালীন সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন। ইহার অতিরিক্ত ছুটির প্রয়োজন হইলে তাহা অর্ধ-গড় বেতনে ভোগ করিতে পারিবেন। অর্ধ-গড় বেতনে ছুটি পাওনা না থাকিলে নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ এর বিধি ৯ এর উপবিধি (৩) এর অধীনে অসাধারণ ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন।
প্রিয় মহোদয়,
ডেপুটেশনে থাকাকালীন সময়ে ”অর্জিত ছুটি” অর্জন হয় । এ সংক্রান্ত কোন বিধিমালা/আদেশ/নীতিমালা আছে কি? যদি থাকে, অনুগ্রহ করে জানালে কৃতার্থ থাকব । অগ্রীম ধন্যবাদ । একই সাথে আমি দুঃখিত এই অতি সরল প্রশ্নটি করার জন্য ।
ডেপুটেশনে অধ্যয়ন ছুটিতে থাকলে ছুটি অর্জিত হয় না। কর্মকালের জন্যই কেবল ছুটি অর্জন হয়। ছুটির হিসাবটি ভাল করে খেয়াল করে দেখুন কি কি ছুটি বাদ দেয়া হয় যেমন, ভোগকৃত অর্জিত ছুটি, অধ্যয়ন ছুটি, বিনা বেতনে ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটি। এসব ক্ষেত্রে কোন চুটি অর্জিত হয় না। https://bdservicerules.info/%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%9b%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%bf/