ভোটার হওয়ার জন্য যারা ছবি ও বায়োমেট্রিক তুলেছেন তাদের অনেকেই তাদের মোবাইল নম্বরে তাদের NID নম্বর দ্রুত পেয়ে যান। আপনার মোবাইল নম্বরে মেসেজের মাধ্যমে NID নম্বর পেলেই services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে আপনার NID কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করা NID কার্ডের pdf কপি রঙিন প্রিন্ট করে লেমিনেটেড করে ব্যবহার করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ২০২৪
- ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর (যা ছবি তোলা ও ফিঙ্গার দেওয়ার সময় যে কাগজ দেয় সেখানে নম্বর দেয়া থাকে।
- জন্ম তারিখ (জন্ম সনদ অনুসারে যা নিবন্ধিত)।
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) (এগুলো আপনার জন্ম সনদে দেয়া থাকে)
- একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার (যা নিজের বা বাজারের কম্পিউটার দোকানের হতে পারে)।
- সচল মোবাইল নম্বর (ওটিপি ভেরিফিকেশনের জন্য) বা বিশ্বস্ত কারও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।
- অন্য একটি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন (ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য যা গুগল প্লে স্টোর হতে ডাউনলোড করতে হবে)
যেভাবে অনলাইন হতে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করবেন?
ধাপ ১- NID Wallet মোবাইল এ্যাপ ডাউনলোড করুন। প্রথমে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য (Face Verification) নির্বাচন কমিশনের মোবাইল এ্যাপ NID Wallet অপর মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে। মোবাইলের Google Play Store এ যান এবং সার্চ করুন NID Wallet লিখে। তারপর এপটি ইনস্টল করুন।
ধাপ ২- জাতীয় পরিচয় পত্র একাউন্টে রেজিষ্ট্রেশন ও লগ ইন করুন। স্লিপ নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে এনআইডি সেবার ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যদি ২০১৯ এর পর ভোটার হয়ে থাকেন হয়তো আপনার ভোটার আইডি স্লিপ আছে। আপনি স্লিপ নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র উইং (NID Wing) এর রেজিস্ট্রেশন করেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে এবং তা প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে ব্যবহার করতে পারবেন। এখন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আপনাকে একাউন্ট রেজিষ্টার বা সাইন আপ করতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট services.nidw.gov.bd এই লিংকে যান।
- এই ওয়েবসাইটের রেজিস্টার করুন লিংকে ক্লিক করুন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / স্মার্ট কার্ড নম্বর বা স্লিপ নম্বর লিখুন। আপনার জন্মতারিখ ও ছবিতে দেখানো কোডটি টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
- এবার আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) বাছাই করুন।
- সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখানো হবে। অথবা আপনি নতুন একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি সচল এবং আপনার হাতে থাকতে হবে। কারণ এই নম্বরের একটি ভেরিফিকেশন ওটিপি পাঠানো হবে।
- এখন আপনার মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন এবং বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩- এবার আপনার Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে। NID Wallet অ্যাপ দিয়ে কোড টি স্ক্যান করে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনার Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে। যে মোবাইলে আপনি NID Wallet ইনস্টল করেছেন। সেই মোবাইলটি হাতে নিন। এ্যাপটি ওপেন করুন এবং QR কোডটি স্ক্যান করুন। অ্যাপস এ দেখানো ভিডিওর মত, আপনার মুখ বরাবর সেলফি ক্যামেরা ধরুন ও সোজাসুজি তাকান। ঠিক থাকলে ছবিতে OK বা টিক মার্ক নোটিফিকেশন দেখাবে।তারপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানে একবার ও বামে একবার ঘোরাবেন। OK না দেখালে, আবার চেষ্টা করুন।ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
ধাপ ৪– পাসওয়ার্ড সেট করুন। ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশনের ঝামেলা ছাড়া একাউন্টে লগ ইন করতে হলে, আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে। ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা পুনরায় ডাউনলোড করার জন্য আপনার অনেক সুবিধা হবে। পাসওয়ার্ড সেট করার সাথে সাথে আপনার NID Website এ লগ ইন হয়ে যাবে। আপনি আপনার ছবি ও প্রোফাইল দেখতে পাবেন।
ধাপ ৫-সবার নিচে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র/ এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিন। ব্যাস কাজ শেষ। এটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি কত?
বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে বা স্থায়ীভাবে যদি কোন এলাকায় বসবাস করেন তবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার এলাকা স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়ে এক্ষেত্রে কোন ফি প্রদান করতে হয় না। যদি রিইস্যুর মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড পেতে চান হবে আপনাকে ২৪৫ টাকা ফি গুনতে হবে। ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪ । এনআইডি মাইগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অপ্রত্যাশিত সমস্যা দেখায়।
তথ্য এন্ট্রি হয়নি এখনও।