সরকারি চাকরিতে কর্মকালীন সময় বলিতে বিএসআর ১ খন্ড এর ৫ (১৭) নং বিধিতে সংজ্ঞায়িত সময়কে বুঝাইবে।
উল্লেখ্য যে, সাধারণত: ভোগকৃত ছুটিকালীন সময়কে ছুটির হিসাবের জন্য কর্মকালীন হিসাবে ধরা হয় না। তবে ছুটি হিসাবের জন্য শুধুমাত্র নৈমিত্তিক ছুটি ও সংগ নিরোধ ছুটি কালীন সময়কে কর্মকালীন সময় হিসাবে গণ্য করা হয়।
কর্মকালীন সময়ের প্রতি এগার দিনে একদিন হিসাবে গড় বেতনে ছুটি অর্জিত হয়। এই হারে অতিবাহিত কর্মকালিন সময়ে যে ছুটি অর্জিত হয় উহার মধ্য হইতে সর্বাধিক চারি মাস ছুটির হিসাব ফরমের “৭ নং কলামে জমা হইবে এবং বাকী ছুটি ৮ নং কলামে জমা হইবে। একজন কর্মচারী একবারে ৭ নং কলামে জমা হইবে এবং বাকী ছুটি ৮নং কলামে জমা হইবে। একজন কর্মচারী একবারে ৭নং কলামে জমাকৃত সমুদয় ছুটি অর্থাৎ চারিমাস ভোগ করিতে পারিবেন। ৮ নং কলামে জমাকৃত ছুটি একজন সরকারী কেবলমাত্র চিকিৎসাগত কারণে অথবা বাংলাদেশ, বার্মা, শ্রীলংকা ও ভারতের বাহিরে শিক্ষা, তীর্থযাত্রা এবেং শ্রান্তি ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে ছয় মাস পর্যন্ত ভোগ করিতে পারিবেন।
অর্ধ গড় বেতনের ছুটিকে গড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তর । কর্মকালীন সময়ের প্রতি বারে দিনে একদিন হিসাবে অর্ধগড় বেতন ছুটি প্রাপ্য হইবে।
অর্ধগড় বেতনে জমাকৃত ছুটিকে শুধুমাত্র চিকিৎসাগত কারণে ছুটির প্রয়োজনে গড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তর করা যায়।আর এই রূপান্তর দুই দিনে অর্ধ গড় বেতনের ছুটির সমান একদিনের গড় বেতনে ছুটি এই হারে হয়। অর্থাৎ কোন কর্মচারীর এক বৎসর অর্ধ গড় বেতনে ছুটি অর্জিত হইলে উহার বিনিময়ে তিনি ছয়মাসের গড় বেতনের ছুটি পাইতে পারেন। চিকিৎসাগত কারণে এই রুপান্তরের সর্বোচ্চ সীমা ১২ মাস। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ২৪ মাসের গড় বেতনের ছুটিকে ১২ মাসের গড় বেতনের ছুটিতে রুপান্তর করা যায়। অবসর উত্তর ছুটির ক্ষেত্রেও এই রূপান্তর করা যায়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কেউ অর্ধগড়বেতনের ছুটি লাইলে ছুটিকালীন সময়ে মূল বেতনের অর্ধ হারে ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হইবেন।