কর্মচারী কল্যান বোর্ড – কল্যান তহবিল থেকে মৃতব্যক্তির পরিবারকে ১৫ বছর পযর্ন্ত প্রতিমাসে ২,০০০/-টাকা ভাতা হিসাবে সর্বমোট ৩,৬০,০০০/- টাকা। মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। যথাযথ কারন ব্যাখ্যা সহ ১ বছরের মধ্যে আবেদন না করলে দাবী তামাদি হয়ে যাবে। তামাদি হয়ে যাবে মানে আপনি এ বিষয়ে কোন দাবি উত্থাপন করিতে পারিবেন না।

এছাড়া এক কালীন ২ লক্ষ টাকা অনুদান পাবেন। কর্মচারী মৃত্যুতে এ দাবী অনুদান হিসাবে প্রদান করা হয়। এটি যৌথ বীমার দাবী হিসাবে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড পরিশোধ করে থাকে। দাফনকাফন ও অন্তেষ্ট্রিক্রিয়ার জন্যও বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে তবে এটি পূর্বে ১০ হাজার টাকা ছিল। সরকারি কর্মচারি মৃত্যুবরণ করলে পরিবার পাবে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

কোন মৃত কর্মচারী বা অবসরে যাওয়া কর্মচারীর সন্তানাদি যদি পড়াশুনা অবস্থায় থাকে তবে বছরে একবার শিক্ষা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যন্ত এ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। এতে এক সন্তানের জন্য প্রায় ৪০০০ টাকা এবং দু’সন্তানের জন্য ৬০০০ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক এককালীন অনুদান বা শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি কর্মচারীর সন্তানদের “শিক্ষা বৃত্তি” শিক্ষা সহায়তার আবেদন।

পারিবারিক পেনশনের আওতায় যেসব আর্থিক সুবিধা / সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পরিবারকে সরকার যে সকল আর্থিক সহায়তা বা দাবী পরিশোধ করেন।

কর্মরত অবস্থায় মারা গেলেই কেবল ৮ লক্ষ টাকা প্রাপ্তির সুবিধা কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে পাওয়া যায়। অবসরে গিয়ে মারা গেলে আংশিক সুবিধা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সুবিধা সমূহ

ক্যাপশন: কর্মরত থাকাকালীন জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিতিৎসা, স্টাফবাস, শিক্ষাবৃত্তি, মহিলাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ, মামলা জনিত অনুদান, সাধারণ চিকিৎসা (সর্দি জর, কাশি), কমিউনিটি বার্ষিক অনুদান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুদান ইত্যাদি পাওয়া যাবে।

সরকারি কর্মচারীর মৃত দাবী ২০২৪ । সর্বমোট যে সকল দাবী সরকারের কাছে করা যাবে

  1. পারিবারিক পেনশন ও গ্র্যাচুইটি (এটি মূল বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে)
  2. জিপিএফ (যদি থাকে জমা থাকে তবে মুনাফা সহ সমুদয় অর্থ সরকার চূড়ান্ত পরিশোধ করবে)
  3. লামগ্রান্ট (যদি অর্জিত ছুটি থাকে-তবে মূল বেতনের ১৮ গুন বেতন এককালীন পাইবে)
  4. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এককালীন মঞ্জুরী ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা। (সভা বসে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এটি নির্ধারিত হয়)
  5. বাংলাদেশ কমর্চারী কল্যান বোর্ড থেকে যৌথবীমার এককালীন ২,০০,০০০/-(একলক্ষ) টাকা।
  6. দাফন-কাফন/অন্তেষ্টিক্রিয়া বাবৎ এককালীন ৩০,০০০/-(ত্রিশহাজার) টাকা। (কর্মচারী নিজে মারা গেলে তবে পরিবারের সদস্য মারা গেলেও একটি হারে কিছু অর্থ আর্থিক অনুদান হিসাবে পাওয়া যায়)
  7. কল্যান তহবিল থেকে মৃতব্যক্তির পরিবারকে ১৫ বছর পযর্ন্ত প্রতিমাসে ২,০০০/-টাকা ভাতা। সর্বমোট ৩,৬০,০০০/- টাকা। এই দাবীটি মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।যথাযথ কারন ব্যাখ্যা সহ ১ বছরের মধ্যে আবেদন না করলে দাবী তামাদি হয়ে যাবে।

স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বা কর্মকর্তাগণ কি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সুবিধা প্রাপ্য?

কল্যাণ ভাতা – বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সুবিধাগুলো শুধুমাত্র পিওর সরকারি বা রাজস্বখাত ভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোই পেয়ে থাকে। তবে যে সকল স্বশাসিত, রাষ্ট্রয়াত্ত এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি নীতিমালা মেনে পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সদস্য তারা এ সুবিধার আওতাভূক্ত।

জটিল ও ব্যয়বহুল রোগে চিকিৎসার জন্য লক্ষ টাক অনুদান।