সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালার আওতায় অনলাইন চালুর মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ সেবা সহজীকরণ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে- সরকারি গৃহ নির্মাণ ঋণ সহজীকরণ ২০২৪
গৃহ নির্মাণ ঋণ কি সবাই পাচ্ছে? – গত ২০১৮ সালে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালার আওতায় গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান ব্যবস্থা চালু হলেও কর্মচারীগণ কম সংখ্যকই এ ঋণ পেয়েছে। অনুমোদন জটিলতায় কর্মচারীগণ পিছিয়ে থাকছে। তবে সরকারি কর্মকর্তাগণের অনুকূলে প্রতিদিনই গৃহ নির্মাণ ঋণ মঞ্জুর করা হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোও এ ব্যবস্থায় ঋণদান করছে। তবে অনলাইনে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলে এ ঋণ কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে। প্রমানক দেখুন এখানে
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালার আওতায় গৃহনির্মাণ ঋর্ণ সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনলাইনে নব আঙ্গিকে House Building Loan Management Module প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে কিছু কিছু আবেদনকারী কর্তৃক Online এ গৃহনির্মাণ ঋণ এর জন্য সরাসরি অর্থবিভাগে আবেদন করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূর্বের ন্যায় সরাসরি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বরাবর আবেদন করছেন।
মন্ত্রণালয়/বিভাগ এর অধীন সকল কর্মচারীকে নতুন সিস্টেমে Online এর মাধ্যমে অর্থবিভাগে সরাসরি আবেদন প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। অনলাইনে অর্থ বিভাগে সরাসরি আবেদন সকল দপ্তর হতে গ্রহণ করা হলে এ ঋণ কার্যক্রম দ্রুত ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়।
শুধু কি কর্মকর্তাগণই গৃহ নির্মাণ ঋণ পাচ্ছে? । কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মচারীগণও গৃহ নির্মাণ ঋণ সুবিধার আওতায় আসছেন
ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু এবং দুর্নীতির মামলার ক্ষেত্রে চার্জশীট দাখিল হলে সাথে সাথে বিষয়টি অর্থ বিভাগএেবং সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে অবহিত করবেন।
Caption: Source of information
গৃহ নির্মাণ ঋণের কিস্তির হিসাব । সর্বোচ্চ ২৪০ কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করা যাবে
প্রতি কিস্তিতে সরকার কত % ভর্তুকী দেয়?
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ২৭/১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখের ০৭,00,0000,209,22,001,21-816 নম্বর পরিপত্র অনুযায়ী বাস্তবায়নকারি সংস্হার ১২/১২/২০২২ খ্রিঃ তারিখের বিকাঢাদ/সকগনিঋ/ফ্ল্যাট ক্রয়/২০২২/২৬ নং স্মারকে প্রস্তাবিত ঋণগ্রহীতার অনুকূলে শর্তাবলি প্রতিপালন সাপেক্ষে ছকে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী ঋণ প্রদানের বিষয়ে নির্দেশক্রমে সম্মতি এবং সুদ ভুর্তকি প্রদানের সাময়িক মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়েছে। যদি ব্যাংক গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার ৯% ধার্য করে থাকে তবে সরকার ৫% ভর্তুকী দিবে এবং অবশিষ্ট ৪% গ্রাহক বা ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি হিসেবে পরিশোধ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের হাউজ বিল্ডিং লোন ২০২৩ । Government Employee House Building Loan by Rupali Bank
ঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে শর্ত কি? চূড়ান্ত তফসিল মোতাবেক যে মাস হতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ আরম্ভ হবে, তার পূর্ববর্তী মাসের বেতন বিলের সাথে তাঁর অনুকূলে প্রদেয় সুদ ভর্তুকির টাকা প্রদান আরম্ভ হবে। নীতিমালার ৪(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রস্তাবিত ঋণগ্রহীতার নামীয় ব্যাংক হিসাব নম্বর এর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও ঋণের মাসিক কিস্তির টাকা আদায়সহ তাঁর বেতন/পেনশন/ভাতা সংক্রান্ত সমুদয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে ছকে উল্লিখিত ঋণ আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবেনা।
প্রস্তাবিত ঋণগ্রহীতাকেএ মর্মেব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে ক্ষমতা প্রদান করতে হবেযে, “তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত মাসিক বেতন থেকে তফসিলে বর্ণিত ঋণের কিস্তির (আসল+সুদ) সমপরিমাণ টাকা কিস্তি হিসেবে কর্তনের পর অবশিষ্ট অর্থ তিনি উত্তোলন করবেন”। ঋণের মেয়াদ পূর্তির তারিখ অথবা অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে পিআরএল সমাপ্তির তারিখএর মধ্যে যেটি আগে সেই পর্যন্ত সরকার প্রদত্ত সুদ বাবদ ভর্তুকি সুবিধা প্রদান করা হবে।
অবসর গ্রহণের পর ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে প্রতিষ্ঠান- গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্টঋণ পুনঃতফশিলীকরণ(Re-schedule) করা যাবে। লিয়েনে গমন কিংবা স্বেচ্ছায় অবসরে গমন/চাকুরি ত্যাগ অথবা সরকার কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত/চাকুরি হতে বরখাস্ত/বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান/চাকুরিচ্যুত করা হলে ঋণগ্রহীতা বিষয়টি অনতি বিলম্বে বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং অর্থ বিভাগকে অবহিত করবেন এবং আদেশ জারির তারিখ হতে ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সুদ বাবদ প্রদত্ত ভর্তুকি সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে। কোন কারণবশতঃ Pay Point পরিবর্তন হলে ঋণগ্রহীতা অনতিবিলম্বে বিষয়টি বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও অর্থ বিভাগকে অবহিত করবেন এবং এ পরিবর্তন জনিত কারণে কিস্তি প্রদানে জটিলতা দেখা দিলে তা নিরসনে উদ্যোগী হবেন।