ইত্যাদি । বিবিধ । ক্যাটাগরী বিহীন তথ্য

জমি রেজিস্ট্রি খরচ ২০২৫ । জমি রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা খরচ হবে?

জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং বাংলাদেশে জমি রেজিস্ট্রেশনের খরচ নির্ধারিত হয় জমির ঘোষিত মূল্যের ভিত্তিতে এবং এতে বিভিন্ন ফি ও কর অন্তর্ভুক্ত থাকে-জমি রেজিস্ট্রি খরচ ২০২৫

জমি রেজিস্ট্রেশনের প্রধান খরচ কি? বাংলাদেশে জমি রেজিস্ট্রেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জমির মালিকানা হস্তান্তরিত হয় এবং সরকারি রেকর্ডে নথিভুক্ত করা হয়। স্ট্যাম্প ডিউটি: জমির ঘোষিত মূল্যের ১.৫% এবং রেজিস্ট্রেশন ফি: জমির ঘোষিত মূল্যের ১% লাগে।  ভ্যাট: নগর এলাকায় ১৫% এবং গ্রামীণ এলাকায় ৩% লাগে।

৫০ লক্ষ টাকার জমিতে খরচ কেমন হবে? এডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) জমির প্রকৃতি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এটি বেশি হতে পারে। যদি কোনো জমির ঘোষিত মূল্য হয় ৫০ লাখ টাকা, তাহলে আনুমানিক রেজিস্ট্রেশন খরচ হবে:

  • স্ট্যাম্প ডিউটি: ৭৫,০০০ টাকা (১.৫%)
  • রেজিস্ট্রেশন ফি: ৫০,০০০ টাকা (১%)
  • ভ্যাট: নগর এলাকায় ৭,৫০,০০০ টাকা (১৫%)
  • এআইটি: নির্ভর করবে জমির প্রকৃতির উপর।

অন্যান্য সম্ভাব্য খরচ কেমন হবে? ডকুমেন্টেশন ফি দলিল তৈরি, দাখিলা ও অন্যান্য নথিপত্র প্রস্তুতের খরচ হতে পারে। আইনজীবীর ফি জমি রেজিস্ট্রেশনের আইনি দিক নিশ্চিত করতে আইনজীবী নিয়োগের খরচ হতে পারে। বিজ্ঞপ্তি ফি সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাইয়ের খরচ হয়।

রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভূমির মালিকানা পরিবর্তন হয় /২০২৫ সালে জমি রেজিস্ট্রেশনের আনুমানিক খরচ ও প্রয়োজনীয় তথ্য

রেজিস্ট্রেশন জমির উপর আপনার বৈধ মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে। এটি মালিকানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে। জমি নিবন্ধিত হলে একই জমি একাধিকবার বিক্রি করা বা অন্যের নামে জালিয়াতি করে নেওয়ার সুযোগ কমে যায়। এতে প্রতারণা ও ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ হয়।

Caption: Land Registation Calculator

জমি রেজিস্ট্রেশন করতে রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প শুল্ক, স্থানীয় সরকার কর, উৎসে আয়কর (গেইন ট্যাক্স), ভ্যাট, এআইটি ফি ইত্যাদি খরচ হয়।

  1. রেজিস্ট্রেশন ফি দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা.
  2. স্ট্যাম্প শুল্ক
  3. দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১.৫% টাকা
  4. স্থানীয় সরকার কর
  5. দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা
  6. সিটি কর্পোরেশন এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড (উপজেলাধীন নয়) এর অধীন সম্পত্তি হলে ২% টাকা
  7. উৎসে আয়কর (গেইন ট্যাক্স) জমির মূল্যের উপর নির্ভর করে.
  8. ভ্যাট
  9. নগর এলাকায় জমির মূল্যের উপর নির্ভর করে
  10. এআইটি ফি জমির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে.
  11. রেজিস্ট্রেশন ফি জমা করার পদ্ধতি
  12. স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি শাখায় জমা করতে হবে
  13. রেজিস্ট্রেশন ফি, ই ফি, এন ফি একসাথে একটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে
  14. এনএন ফি নগদে অফিসে জমা করতে হবে

জমি রেজিস্ট্রেশনের আগে কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ?

জমির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করুন। সকল প্রয়োজনীয় নথি ভালোভাবে যাচাই করুন। সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন। রেজিস্ট্রেশন খরচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তাই হালনাগাদ তথ্য জেনে নিন। জমি কেনার আগে সঠিক তথ্য জানা এবং সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করলে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে। আরো নির্ভুল ও একুরেট খরচের হিসাব পেতে আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্টার অফিসে অথবা দলিল লেখকদের সাথে যোগাযোগ করুন।

   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টের নিচে কমেন্টে করুন অথবা alaminmia.tangail@gmail.com ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *