সরকার কর্তৃক দেশের যে এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে সেই এলাকায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ করা যাবে। এদের মধ্যে যারা পেশাদার ভিক্ষক হিসাবে বিবেচিত হতে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে । প্রকৃত ভিক্ষুকগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আটককালীন সময়ে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে এবং এককালীন অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তার নিজ এলাকায় পুনবার্সন করা যাবে।

সারসংক্ষেপ:

  • প্রকৃত ভিক্ষুকদের আটক করে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি অনুদান প্রদান।
  • এক কালিন অনুদান প্রাপ্তির জন্য যোগ্যতা ও শর্তাবলী রয়েছে।
  • মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে অনুদান মঞ্জুর করা যাবে।
  • কমিটির মাধ্যমে তাদের পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধায়ন করা হবে।
  • ফরমের মাধ্যমে কমিটি ভিক্ষুদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।
  • জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ০৭/০৩/২০১৯ খ্রি: তারিখের ৪১.০০.০০০০.০৪৩.০৯.০০২.১৬-৮৩ নম্বর পত্রের মাধ্যমে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মস্থান নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

এ নীতিমালায় তাদের যে সমস্ত কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে:

ক্ষুদ্র ব্যবসা, মুদি দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান, কাঁচা মালের ব্যবসা, বাদাম বিক্রি, মসলা বিক্রি, কাঠ বিক্রি, হকার, সেলাই কাজ, পিঠা তৈরি, ডিমের ব্যবসা, ডিম পাড়া হাঁস-মুরগী পালন, পশু পালন, রিক্সা/ভ্যান চালকসহ যাবতীয় বৈধ পেশা বুঝাবে।

এ নীতিমালার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:

  1. ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা;
  2. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দক্ষতা ভিত্তিক ও উপার্জনমূখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;
  3. এ বিষয়ে সরকারি/বেসরকারি/স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় সমন্বিত পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ;
  4. ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের দক্ষতা ও পেশা ভিত্তিক এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান;
  5. প্রচার মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তির কুফল সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করা;
  6. অসুস্থ্য ভিক্ষুকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
  7. ভাসমান আশ্রয়হীন ব্যক্তিদের স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা;
  8. ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠিকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠিতে পরিনত করা;
  9. শারীরিকভাবে অক্ষম/অসুস্থ ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

এ সংক্রান্ত স্থানীয় কমিটি গঠন করা হবে (তার রূপরেখা)

  1. উপজেলা পরিসধের চেয়ারম্যান-উপদেষ্টা
  2. উপজেলঅ নির্বাহী অফিসার-সভাপতি
  3. পৌরসভা মেয়র/প্যানেল মেয়র-সদস্য
  4. উপজেলা পরিষদের ভাউস চেয়ারম্যানগণ-সদস্য
  5. উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা-সদস্য
  6. উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা-সদস্য
  7. উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা-সদস্য
  8. উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা-সদস্য
  9. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা-সদস্য
  10. উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা-সদস্য
  11. উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা-সদস্য
  12. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ০২ জন (সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোণীত)
  13. ভিক্ষুক/দরিদ্র বিমোচন নিয়ে কাজ করেন এরূপ স্বেচ্ছাসেবী ২টি সংস্থার প্রধান (উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)-সদস্য
  14. উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা-সদস্য

ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
সরকার কর্তৃক দেশের যে এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে সেই এলাকায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। এদের মধ্যে যারা পেশাদার ভিক্ষুক হিসাবে বিবেচিত হবে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। প্রকৃত ভিক্ষুকগণকে আশ্রয়কেন্দ্র আটককালীন সময়ে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে স্ব কর্মসংস্থানের জন্য উদ্ধুদ্ধ করা হবে এবং এককালীন অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তার নিজ এলাকায় পুর্নবাসন করা হবে।

ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা ২০১৮ দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 3002 posts and counting. See all posts by admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *