স্বয়ংক্রিয় সফটওয়ারের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা (স্কুল, কলেজ) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলী নীতিমালা ২০২৪
৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থল পাবেন? হ্যাঁ। – বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেসরকারি শিক্ষা (স্কুল, কলেজ) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক/শিক্ষিকাগণের বদলীর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। বদলী কার্যক্রম স্বয়ংক্রীয় সফটওয়ারের মাধ্যমে একটি নীতিমালার আওতায় বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন। তাই, বেসরকারি শিক্ষা (স্কুল, কলেজ) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য নিম্নোক্ত বদলী নীতিমালা ২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূণ্যপদের চাহিদা/বিবরণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে। প্রকাশিত শূন্য পদের বিপরীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বদলীর আবেদন আহ্বান করবে। সমপদে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে, বদলীর জন্য ১লা অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলীর আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন হবে।
নিজ জেলায় বদলি হওয়া যাবে? হ্যাঁ। আবেদনকারি শিক্ষক তাঁর চাকরির আবেদনে উল্লেখকৃত নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করবেন। তবে নিজ জেলায় পদ শূণ্য না থাকলে, নিজ বিভাগের যে কোন জেলায় বিদ্যমান শূন্য পদের বিপরীতে বদলির আবেদন করতে পারবে। প্রথম যোগদানের পর চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন। বদলী হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যুনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলীর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
চাকরি জীবনে কয়বার বদলি হওয়া যাবে? একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুই বার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলীর সুযোগ পাবেন। একটি শূন্য পদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে, নিম্নোক্ত অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে হবে: (ক) জ্যেষ্ঠতা (খ) নারী (গ) দূরত্ব। চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ হতে সিনিয়রিটি গণনা করা হবে।একটি পদের জন্য প্রতিযোগি সকল আবেদনকারি কর্মস্থল একই উপজেলায় হলে তাদের কর্মস্থল উপজেলার কেন্দ্র হতে কাংখিত উপজেলার কেন্দ্র-এর দূরত্ব গণনাপূর্বক সকলের জন্য প্রযোজ্য করতে হবে।
অনলাইনে বদলির আবেদন করা যাবে / একটি পদের জন্য প্রতিযোগি আবেদনকারি বিভিন্ন উপজেলার হলে তাদের কর্মস্থল জেলার কেন্দ্র হতে কাংখিত জেলার কেন্দ্র-এর দূরত্ব গণনাপূর্বক সকলের জন্য প্রযোজ্য করতে হবে।
এই নীতিমালা জারী হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারীকৃত ০১ আগস্ট ২০২৪ তারিখ 37.00.0000.072.2২.০০১.২৩.১৭০ নং স্মারকে “বেসরকারি শিক্ষা (স্কুল, কলেজ) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভূক্ত শিক্ষক বদলী সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৪” এতদ্বারা রহিত করা হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় প্রয়োজনে এই নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন ও ব্যাখা করতে পারবে।
Caption: full pdf download Link
আবেদন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া ২০২৪ । বদলির কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি হবে।
- বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়্যার তৈরী ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে। বদলীকৃত শিক্ষকের ইনডেক্স পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে বদলীকৃত প্রতিষ্ঠানে অন-লাইনে ট্রান্সফার হবে। পারস্পারিক বদলীর ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বদলী/পদায়ন এর বিষয়টি নিষ্পন্ন করতে পারবেন ।
- বদলীকৃত শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জৈষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।
- বদলির আবেদন অধিকার হিসাবে দাবী করা যাবে না।
- বদলিকৃত শিক্ষক কোন ধরনের টিএ/ডিএ ভাতা পাবেন না।
- আদেশ জারির ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলীকৃত শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন।
- অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান যোগদানের তথ্য চেয়ারম্যান, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ও মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর-কে অনলাইনে অবহিত করবেন।
- অবমুক্তি হতে যোগদান পর্যন্ত দিবসগুলো কর্মকাল হিসেবে গন্য হবে।
একটি স্কুল হতে প্রতি বছর একজন বদলি হতে পারবে?
একটি পদের জন্য প্রতিযোগি আবেদনকারি বিভিন্ন জেলার হলে তাদের স্ব-স্ব জেলার কেন্দ্র হতে কাংখিত জেলার কেন্দ্র এর দূরত্ব গণনা করতে হবে। দূরত্ব পরিমাপের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-এর মডেল অনুসরণ করা হবে। অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য সম্বলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য হবে। বদলীর কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে ০১(এক) জন শিক্ষক বদলীর সুযোগ পাবেন।