উপস্থিতি বিধিমালা ২০২৫ । অফিস শেষ হওয়ার ৫ মিনিট পূর্বেও দপ্তর ত্যাগ করা যাবে না?
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯-এর বিধানসমূহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত বিধিমালার অধীন নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ -উপস্থিতি বিধিমালা ২০২৫
সরকারি অফিসে যে কাজ করা যাবে না- ০১। বিনা অনুমতিতে কর্মে অনুপস্থিতি; ০২। বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ; ০৩। বিলম্বে অফিসে উপস্থিতি থাকা যাবে না। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের দাপ্তরিক শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কর্মদিবসে সকাল ৯.০০ মিনিটের মধ্যে নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে।
৫ টা পূর্বে দপ্তর ত্যাগ করা যাবে না? না। অফিস সময়ে শেষ হওয়ার পূর্বে অর্থাৎ বিকাল ৫:০০ মিনিটের পূর্বে কেউ নিজ দপ্তর ত্যাগ করতে পারবেন না। অফিস চলাকালীন দাপ্তরিক বা জরুরী প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে নিজ অনুবিভাগের প্রধান (যুগ্মসচিব/সলিসিটর) এর অনুমতি গ্রহণকরত: সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ এর তফসিল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রক্ষিত অফিস ত্যাগের রেজিস্ট্রার’ এ এন্ট্রি করত: অফিস ত্যাগ করতে হবে।
বর্ণিত নির্দেশনার ব্যাত্যয় ঘটিয়ে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ, বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হলে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়।
দেরিতে সরকারি অফিসে গেলে কি হবে? সরকারি কর্মচারী হিসেবে অফিসে সময় মতো উপস্থিত হওয়া উচিত। দেরির কারণে বেতন কাটা বা শাস্তির সম্মুখীন হওয়া এড়াতে, নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসা বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নেয়া উচিত।
সরকারি অফিসে দেরিতে গেলে বেতন কাটা বা ছুটি বাতিল হতে পারে। এছাড়া, একাধিকবার দেরি হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, দেরিতে অফিসে আসার কারণে বেতন কাটা অথবা বরাদ্দকৃত ক্যাজুয়াল লিভ থেকে কর্তন করা হতে পারে। যদি কোন সরকারি কর্মচারী যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দেরিতে অফিসে আসেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। একাধিকবার দেরিতে আসলে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাত দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করা হতে পারে।
Caption: Office Attendant Rules
সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯-এ কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কিছু শর্তাবলী রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শর্তগুলো হলো কর্মস্থলে সময় মতো উপস্থিত হওয়া, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ না করা, এবং অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নেয়া। এছাড়া, কর্মকর্তাদের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলাও এই বিধিমালার অন্তর্ভুক্ত।
- কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিতি: সরকারি কর্মচারীদের অবশ্যই কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে হবে।
- অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ নয়: কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
- ছুটি ও অনুপস্থিতি: কোনো কর্মচারী অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে, তাকে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নিতে হবে।
- বায়োমেট্রিক হাজিরা: এই বিধিমালায় কর্মচারীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি (যেমন- ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা অন্যান্য বায়োমেট্রিক সিস্টেম) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা দ্বারা তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়।
- অন্যান্য নিয়মকানুন: কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, কর্মচারীদের অন্যান্য নিয়ম-কানুনও মেনে চলতে হবে, যা নিয়মিত উপস্থিতি এবং কর্মপরিবেশের সাথে সম্পর্কিত।
নিয়মিত উপস্থিতি বিধিমালা কি?
নিয়মিত উপস্থিতি বিধিমালা হলো সরকারি কর্মচারীদের অফিসে সময় মতো আসা এবং যাওয়া নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত নিয়মাবলী। এই বিধিমালায় কর্মীদের কর্মঘন্টা, অনুপস্থিতির জন্য প্রযোজ্য নিয়মাবলী এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি উল্লেখ করা থাকে। এর মূল লক্ষ্য হলো অফিসের কর্মপরিবেশ সুসংহত করা এবং সরকারি কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। নিয়মিত উপস্থিতি বিধিমালা, যা সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ নামেও পরিচিত, এটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য একটি নিয়মাবলী। এই বিধিমালায় কর্মীদের অফিসে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া এবং কর্মকালে অনুপস্থিত থাকার নিয়মাবলী উল্লেখ করা আছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের অবশ্যই তাদের কর্মঘণ্টা মেনে চলতে হবে এবং কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হতে হবে। যদি কোনো কর্মচারী অনুপস্থিত থাকার প্রয়োজন হয়, তবে তাকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। অনুপস্থিতির কারণ এবং সময়কাল কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করে, যা তাদের কাজের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করে এবং অফিসের কর্মপরিবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে। যদি কোনো কর্মচারী এই বিধিমালা লঙ্ঘন করে, তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের কাজের প্রতি মনোযোগ এবং কর্মস্পৃহা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।