পে-কমিশন রিপোর্ট জমা নিয়ে জট ২০২৫ । ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের দাবি, ‘কঠোর কর্মসূচির’ হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) সংক্রান্ত সুপারিশ জমা এবং এর গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে সময়সীমা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। গত জুলাইয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত পে কমিশন দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করলেও, কর্মচারীরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের দাবিতে মহাসমাবেশ করে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পে কমিশনের অগ্রগতি ও সময়সীমা
সরকারি চাকরিজীবীদের সুবিধা বাড়াতে গত জুলাই মাসে একটি পে কমিশন গঠন করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কমিশনকে ছয় মাসের ভেতর তাদের সুপারিশ জমা দিতে হবে, যার নির্ধারিত শেষ তারিখ হলো ১৪ ফেব্রুয়ারি। তবে কমিশন জানিয়েছে, তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে । কমিশনের এক সদস্য গণমাধ্যমকে বলেছেন যে প্রতিবেদন প্রস্তুত প্রায় শেষ, এবং তা খুব শীঘ্রই জমা দেওয়া হবে।
কর্মচারীদের আল্টিমেটাম
নতুন পে স্কেলের সুপারিশ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার সময়সীমা কর্মচারীরা নিজেরাই বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময় পার হয়ে যাওয়ায়, কর্মচারীরা গত শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর শাহবাগের শহীদ মিনারে মহাসমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশ থেকে তারা দুইটি প্রধান দাবি তুলে ধরেন:
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
এই কাঠামো ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর করতে হবে ।
সংগঠনের নেতারা হুশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি সময়মতো গেজেট প্রকাশ করা না হয়, তবে ১৭ ডিসেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরু করা হবে ।
গেজেট প্রকাশে বিলম্বের আশঙ্কা
পে কমিশন জানিয়েছে যে তারা কোনো আন্দোলনের চাপে নয়, বরং নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত কাজটি শেষ করছে । তবে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ তারা এখনো প্রকাশ করেনি ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কর্মচারীদের ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী কমিশনের হাতে কার্যদিবস আছে আর মাত্র সাতটি। তাই এই অল্প সময়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করা কঠিন হতে পারে । সরকারি ও কমিশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র বলছে, পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়েই সুপারিশ চূড়ান্ত করতে সময় লেগে যেতে পারে। এরপর সেই সুপারিশ যাচাই করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করতেও বাড়তি সময় প্রয়োজন হবে। ফলে, কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ।
সরকার কি কোন মন্তব্য করেছে?
নতুন পে-স্কেল ও সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য করা হয়নি। যে তথ্যগুলো পাওয়া গেছে, তা মূলত পে কমিশন কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি ও কমিশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এসেছে:
পে কমিশন গঠন: গত জুলাইয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি পে কমিশন গঠন করেছিল। এটি সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া একটি পদক্ষেপ, সরাসরি মন্তব্য নয়।
কমিশনের বক্তব্য: কমিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা কোনো আন্দোলনের চাপে নয়, বরং নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করছে।
সূত্রের ধারণা: সরকারি ও কমিশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়েই সুপারিশ চূড়ান্ত করতে সময় লেগে যেতে পারে। ফলে, কর্মচারীদের দাবির মতো ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুতরাং, সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট প্রকাশের সময়সীমা বা কর্মচারীদের আল্টিমেটাম নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।



