অনলাইনে জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ । ১০০ টাকা বা ৫০০ টাকা দিয়ে অপরিচিত কাউকে দিয়ে রিটার্ন দাখিল করবেন?
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক যদি আপনার একটি টিআইএন সার্টিফিকেট থাকে- অনলাইনে কোন কর পরিশোধ ছাড়াই শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করা যায় – অনলাইনে জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়ার নিয়ম ২০২৫
জিরো রিটার্ন কি? “০ রিটার্ন” (Zero Return) মানে হলো—আপনার ইনকাম ট্যাক্সযোগ্য নয়, অথবা কোনো আয় নেই, কিন্তু আপনি নিয়ম মেনে আয়কর রিটার্ন দিচ্ছেন। বাংলাদেশে অনলাইনে “০ রিটার্ন” সাবমিট করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হিসেবে TIN সার্টিফিকেট, eTIN User ID ও Password (যদি না থাকে, https://etaxnbr.gov.bd থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে), জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), মোবাইল নম্বর ও ইমেইল অ্যাক্সেসযোগ্য থাকতে হবে (নিজ নামে থাকতে হবে)।
০ রিটার্ন জমা দেওয়ার ধাপসমূহ (অনলাইনে) কি কি? ১. ভিজিট করুন: 👉 https://etaxnbr.gov.bd ২. Login করুন: “eReturn Login” অপশন সিলেক্ট করুন। TIN, পাসওয়ার্ড ও ক্যাপচা দিয়ে লগইন করুন। ৩. নতুন রিটার্ন শুরু করুন: Dashboard থেকে “New Return” বা “Create Return” ক্লিক করুন। Assessment Year নির্বাচন করুন (যেমন: 2023-2024) ৪. “০ রিটার্ন” বেছে নিন: যখন “Income Details” আসবে, সেখানে সমস্ত ইনকাম সেকশন ০ রাখুন। ইনকাম ট্যাক্স ক্যালকুলেশন অটোমেটিক্যালি ০ দেখাবে। অন্যান্য তথ্যগুলো (ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে) দিন। ৫. “Verification” এবং “Submission” করুন: সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন।
প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সাথে সাথে পাওয়া যায়? হ্যাঁ। প্রয়োজন হলে DSC (Digital Signature) ব্যবহার করুন অথবা Verification Code মোবাইলে যাবে। রিটার্ন সাবমিট হয়ে গেলে আপনি একটি Acknowledgement Receipt পাবেন (PDF ডাউনলোড করতে পারবেন)। 🧾 কেন ০ রিটার্ন দেয়া জরুরি? TIN Active রাখতে হবে। কোনো ব্যাংক, পাসপোর্ট, লোন, ঠিকাদারি লাইসেন্স, ফেসবুক পেমেন্ট (Payoneer বা bKash) ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রমাণ দেখাতে হবে।
ব্যক্তি রিটার্ন বা আয়কর জমা এখন অনলাইনে দিতে হবে / ১০০ টাকা বা ৫০০ টাকা দিয়ে অপরিচিত কাউকে দিয়ে রিটার্ন দাখিল করাতে যাবেন না। নিজে রিটার্ন প্রস্তুত করুন কারণ যে কোন ভুলের জন্য ভোগান্তি আপনাকেই পোহাতে হবে।
ভুল রিটার্ন দাখিলের জন্য সাধারণত রিটার্ন দাখিলকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই দায়ী থাকে। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর দায়ভার অন্য কারও ওপরও বর্তাতে পারে, যা নির্ভর করে ভুলের কারণ এবং প্রকৃতির ওপর।

Caption: https://etaxnbr.gov.bd
অনলাইনে জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ । ই-রিটার্ন দেওয়ার জন্য কি সিম ছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা যাবে?
- ধাপ ১: এনবিআর পোর্টালে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন-1. ভিজিট করুন: https://etaxnbr.gov.bd 2. “Register” বা “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করুন। 3. আপনার TIN নম্বর, NID, জন্মতারিখ দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন। 4. ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- ধাপ ২: নতুন রিটার্ন ফাইল শুরু করুন: 1. Login করার পর Dashboard এ যান। 2. “Return Filing” বা “রিটার্ন দাখিল” অপশনে ক্লিক করুন। 3. করবর্ষ (যেমন: 2024-2025) সিলেক্ট করুন। 4. Return Type হিসেবে “Normal Return” সিলেক্ট করুন।
- ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন (জিরো ইনকাম অনুযায়ী) প্রধান সেকশনগুলোতে কীভাবে পূরণ করবেন: সেকশন কী লিখবেন (জিরো ইনকাম হলে)। পেশা ফ্রিল্যান্সার / আইটি সেবা। আয় বিবরণী সবখানে “০” দিন। ব্যাংক হিসাব যেসব অ্যাকাউন্ট আছে, শুধু অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম দিন। সম্পত্তি ও দায় কিছু না থাকলে “০” দিন। অন্যান্য তথ্য NID, ফোন, ইমেইল দিন।
- ধাপ ৪: ঘোষণাপত্র (Declaration) সঠিক তথ্য দিয়েছেন এটা নিশ্চিত করে: ✔️ টিক দিন “আমি নিশ্চিত করছি…” নাম ও জমাদান তারিখ লিখে “Submit” দিন।
- ধাপ ৫: Acknowledgement Download করুন: জমা দিলে আপনি একটি Acknowledgement Receipt পাবেন: PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করুন। প্রিন্ট করে রেখে দিন, প্রমাণ হিসেবে।
ফ্রিল্যান্স ইনকাম থাকলে দেখানো যাবে?
হ্যাঁ। Section 43 এর অধীনে “Tax Exempted” হিসেবে দেখান। আয় দেখান, কিন্তু “ট্যাক্স অ্যাপ্লিকেবল নয়” সিলেক্ট করুন। রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে হয়। একবার রিটার্ন ফাইল করলে পরের বছর “পূর্ববর্তী রিটার্ন থেকে কপি” অপশন ব্যবহার করে দ্রুত করতে পারবেন। তাই তথ্য গোপন নয় বরং সকল তথ্য প্রকাশিত করে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করুন।
| অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে ভুল বা অননুমোদিত কাজ এড়ানো যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা উল্লেখ করা হলো: নিরাপদ সংযোগ (Secure Connection): ওয়েবসাইটটির URL-এ “https://” আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন। “https” এর উপস্থিতি একটি নিরাপদ ও এনক্রিপ্টেড সংযোগ নির্দেশ করে। | সঠিক পোর্টাল ব্যবহার: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)-এর ওয়েবসাইট: রিটার্ন দাখিলের জন্য শুধুমাত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। অন্য কোনো ভুয়া বা তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকুন। সরকারি পোর্টালটির ঠিকানা সঠিকভাবে যাচাই করে নিন। | OTP (One-Time Password): আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর বা ইমেইলে আসা ওটিপি (OTP) অন্য কারও সাথে শেয়ার করবেন না। এটি আপনার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। |
| ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড: আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড কাউকে জানাবেন না। নিয়মিতভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন এবং এটি এমনভাবে তৈরি করুন যাতে সহজে অনুমান করা না যায় (যেমন: সংখ্যা, অক্ষর এবং বিশেষ চিহ্নের মিশ্রণ)। | তথ্যের সঠিকতা যাচাই আয় ও ব্যয়ের হিসাব: রিটার্ন দাখিলের আগে আপনার আয়, ব্যয়, সম্পদ এবং ঋণের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে নিন। প্রয়োজনে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতন স্লিপ, বিনিয়োগের কাগজপত্র ইত্যাদি মিলিয়ে দেখুন। | ফর্ম পূরণের সময় মনোযোগ: অনলাইন ফর্ম পূরণের সময় প্রতিটি ঘরে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন কি না, তা মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা করুন। কোনো ভুল থাকলে তা পরবর্তীতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। |
| দাখিলের পরে করণীয় দাখিলের প্রমাণপত্র: রিটার্ন সফলভাবে দাখিল করার পর প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement Slip) এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। অনুমোদিত পেমেন্ট পদ্ধতি: যদি কোনো কর পরিশোধের প্রয়োজন হয়, তাহলে শুধুমাত্র NBR কর্তৃক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করুন। | সাইবার নিরাপত্তা পাবলিক ওয়াইফাই থেকে সাবধান: জনসমাগমস্থলে বা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে রিটার্ন দাখিল করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। | সফটওয়্যার আপডেট: আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সর্বদা আপডেট রাখুন। |



