নতুন বছরের ছুটির তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সরকারি চাকরীজীবিদের ঐচ্ছিক ছুটি নিতে ইচ্ছুক হলে নতুন বছরের জানুয়ারি ৩১ তারিখের মধ্যে নিজ নিজ ধর্মানুযায়ী ঐচ্ছিক ছুটির জন্য অফিস প্রধান বরাবর আবেদন প্রদান করে অনুমোদন করতে হবে। আবেদন মন্জুর সাপেক্ষে ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবে। তবে ছুটি ভোগের পূর্বে অফিসকে অবহিত করতে হবে- ঐচ্ছিক ছুটি
কখন কিভাবে আবেদন করতে হয়? যে কোন ধর্মের একজন সরকারী কর্মচারী, তাহার নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রতি বৎসর মোট ৩ দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করিতে পারেন। প্রত্যেক সরকারী কর্মচারীকে বৎসরের শুরুতে নিজ ধর্মের পর্ব অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করিবার দাবি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন করাইয়া লইতে হয়। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশ ছুটি বা শুক্রবারের সহিত যুক্ত করিয়া ঐচ্ছিক ছুটির অনুমতি প্রদান করা যায়। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটির পর্বসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হইল:
মুসলিম পর্ব: শব-ই-বরাদ, ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহার জন্য ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটির পরের দিন, আখেরী চাহার সোম্বা, ফাতেহা ইয়াজদাহাম।
হিন্দু পর্ব: শ্রীপঞ্চমী, শিবরাত্রি, দোল যাত্রা, শ্রী শ্রী হরি ঠাকুরের জন্মদিন, চৈত্র সংক্রান্তি, জন্মাষ্টমী, মহালয়া, দূর্গাপূজা (অষ্টমী ও নবমী), লক্মী পূজা, কালী পূজা (শ্যামা পূজা), জগদ্ধাত্রী পূজা।
বৌদ্ধ পর্ব: মাঘী পূর্ণিমা, চৈত্র সংক্রান্তি, আষাঢ়ী পূর্নিমা, মধু পূর্নিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা), আশ্বিণী পূর্নিমা (প্রবারণী পূর্ণিমা)।
খ্রীষ্টান পর্ব: ইংরেজী নববর্ষ, ভষ্ম বুধবার, পূণ্য বৃহস্পতিবার, হলি স্যাটারডে, ইস্টার সানডে, যীশু খ্রীষ্টের জন্মোৎসবের পর্ব দিবস, পরবর্তী দিবস।
ঐচ্ছিক ছুটি মঞ্জুর সংক্রান্ত ২০২৪ । কিভাবে ঐচ্ছিক ছুটি মঞ্জুর করা হয়?
উল্লেখ্য, সরকার কর্তৃক ঘোষিত উপরে বর্ণিত ছুটিসমূহ সকল অফিস, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে যে সব অফিস, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইনকানুন দ্বারা অফিসের সময়সূচী ও ছুটি নিয়ন্ত্রণ করিয়া থাকে সেই সব অফিস, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান উহাদের নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী গণস্বার্থ বিবেচনা করিয়া ছুটি ঘোষণা করিবে।