সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দশম অধ্যায়ের ৩২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কেবলমাত্র নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে লঘু ও গুরু দন্ড আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যাহার কারণে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোনো কর্তৃপক্ষের বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বা কর্মচারীর বিভাগীয় মামলায় এই ধারায় উল্লিখিত গুরু বা লঘু দন্ড আরোপের এখতিয়ার বা ক্ষমতা নাই। এই ধারায় এই ক্ষমতা অর্পণেরও কোনো বিধান রাখা হয় নাই। যদিও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বা কর্মচারীর লঘু দন্ড আরোপের ক্ষমতা রহিয়াছে, যাহা এই আইনের পরিপন্থী হওয়ায় এই আইনের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য শৃংখলা ও আপীল বিধিমালার আইনটি অকার্যকর।
দশম অধ্যায়
সরকারি কর্মচারীর অনুসরণীয় নীতি, আচরণ, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি
৩২। দণ্ড । – নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, বিভাগীয় কার্যধারায় দোষী সাব্যস্ত কোনো কর্মচারীকে এতৎসংক্রান্ত বিধির বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক লঘু বা গুরুদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) লঘু দণ্ডসমূহ –
(অ) তিরস্কার;
(আ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ;
(ই) বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিতকরণ;
(ঈ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়।
(খ) গুরু দণ্ডসমূহ-
(অ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ;
(আ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;
(ই) চাকরি হইতে অপসারণ;
(ঈ) চাকরি হইতে বরখাস্ত।
আমার দন্ড দেয়া হয়েছে।১। বেতনগ্রেড ৮ম ৩৯৩৯০/-হতে ৯ম গ্রেড ৩৭৬৮০/- অবনমিত করা হলো। অবনমিত করনকালে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হবে না। উক্ত দণ্ডাদেশ ২ বছরের জন্য বলবত থাকবে। এখন আমার ২ বছর হয়েছে। আমার বেতন কিভাবে কোন গ্রেড হতে নির্ধারিত হবে। দয়া করে জানাবেন।
যে গ্রেডে অবনমিত রয়েছে। সেই গ্রেডে ফিক্সেশন করতে হবে এবং ২ বছর পূর্তি হলে ইনক্রিমেন্ট লাগবে এবং রেগুলার সব চলমান হবে।