জাতীয় শিক্ষানীতি -২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর হতে হবে। সে হিসেবে ২য় হতে ৯ম শ্রেণীর ভর্তির বয়স নির্ধারিত হবে। ভর্তির বয়সের উর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা ও অপেক্ষমান তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর/জেলা প্রশাসক / বিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে (যদি থাকে) একই সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। উক্ত তালিকা প্রধান শিক্ষক/ শিক্ষিকাগণ বিদ্যালয়ে প্রকাশ করবেন এবং কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ভর্তি কমিটির অনুমোদন ব্যতিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বছরের অন্য সময়েও একক সিদ্ধান্তে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে । অনলাইন ভর্তি পদ্ধতির আওতাভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে কারিগরী সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নপূর্বক নম্বর আপলোড করতে হবে। এ বিষয়ে কারিগরী সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অনুসৃত প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে তা সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।
একাধিক সন্তান থাকলে নিয়ম কি? শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা/ কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে কেবল সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক অনুবিভাগের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। উক্ত ২% কোটায় ভর্তিপ্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য হতে যথানিয়মে তা পূরণ করতে হবে, কোনক্রমেই আসন শূন্য রাখা যাবে না। ১ম শ্রেণিতে আসনের তুলনায় প্রার্থীর সংখ্যা অধিক হলে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত বাছাই করতে হবে । কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে তবে আসন শূন্য থাকা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সাপেক্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তবে এ সুবিধা কোন দম্পত্তির সর্বোচ্চ ০২(দুই) সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা বলতে সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর বুঝাবে ।
ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি । যে পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে ভর্তি হতে হবে
- ১ম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
- ২য় -৮ম শ্রেণীর শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তিল জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ অনলাইনে করতে হবে।
- ভর্তি ফরমের মূল্য সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা হতে পারবে।
- শিক্ষক কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০১৭ । বর্তমানে অনলাইন লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০১৭ সংগ্রহে রাখতে পারেন: ডাউনলোড
কোটা কিভাবে সংরক্ষিত থাকবে? কোড নম্বর প্রদান থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশ করা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র কমিটি এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০% কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে । ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন catchment area-র শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% কোটা সংরক্ষণ করতে হবে । অবশিষ্ট ৬০% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সকল সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন catchment area নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ভর্তির জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে । প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতার ধরণ উল্লেখ করতে হবে এবং প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে ।