সংগনিরোধ ছুটি ? সরকারী কর্মচারীর পরিবারের বা তাঁহার বাড়ীর কোন বাসিন্দার সংক্রামক রোগের কারণে উক্ত কর্মচারীর অফিসে আগমন নিষিদ্ধ করিয়া আদেশ জারির মাধ্যমে যে ছুটি প্রদান করা হয়, উহাই সংগনিরোধ ছুটি-সংগনিরোধ ছুটি ২০২৪
সংগনিরোধ ছুটি পেতে কি সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়? এই প্রকার ছুটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অফিস প্রদান সর্বাধিক ২১ (একুশ) দিন পর্যন্ত এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত মঞ্জুর করতে পারে। সংগনিরোধজনিত কারণে ইহার অতিরিক্ত ছুটির প্রয়োজন হইলে, এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গন্য হইবে। এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লোক নিয়োগ করা যায় না। ইহাছাড়া উক্ত ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন।
এই প্রকার ছুটি মঞ্জুকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান। বিশ্লেষণ: (১) গুটি বসন্ত, কলেরা, প্লেগ, টাইফাস জ্বর ও সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজষ্টাটিস রোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে। (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১কিউ-৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল ১৯৭৫)
এই প্রকার ছুটি “ছুটির হিসাব” হইতে বিয়োগ হয় না এবং নৈমিত্তিক ছুটির অনুরূপভাবে ছুটির হিসাবের জন্য এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গন্য করা হয়।
সুত্র: বিএসআর, পার্ট-১ এর বিধি ১৯৬
বসন্তকালে মানুষের যে পক্স হত তা ছিল গুটি বসন্ত, যেটা বর্তমান করোনার মত মহামারী রূপ নিতো। ১৯৮৫ সালে সরকার বাংলাদেশ গুটি বসন্ত মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে এবং গেজেট প্রকাশ করেছে। বর্তমানে আমরা যে পক্সে আক্রান্ত হই তা হল চিকেন পক্স, তাই এক্ষেত্রে কতৃপক্ষ সংগ নিরোধ ছুটি দিতে পারবেন না। কেউ এই চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে কতৃপক্ষকে অবহিত করে বাড়িতে অবস্থান করবেন। সুস্থ হওয়ার পরে কর্মস্থলে যোগদান করার পরে আপনার কতৃপক্ষ আপনার নামে অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করিবেন।
এ সম্পর্কিত অনুচ্ছেদটি সংগ্রহে রাখতে পারেন: ডাউনলোড
প্রশ্নোত্তর পর্ব:
- প্রশ্ন: সাধারণ জ্বর/ডায়রিয়া হলে কি সংগনিরোধ ছুটি পাওয়া যাবে?
- উত্তর: না।
- প্রশ্ন: এ ছুটি নাকি এখন দেয় না?
- উত্তর: কেন দিবে না? এটি বাতিল করা হয়নি তাই পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে এ ছুটি নিতে পারবেন।