বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

রেশন দাবী ২০২৫ । সরকারি কর্মচারীদের ১১-২০ গ্রেডে রেশন সুবিধার দাবি উঠেছে?

সরকারি মহার্ঘ ভাতার প্রদানের সিদ্ধান্তের প্রস্তুতি নিলেও রাজনৈতিক দল ও অর্থনীতিবিদগণ এই মুহূর্তে মহার্ঘ ভাতা দিলে মূলস্ফিতি বাড়তে পারে বলে ধারণ করছে-অর্থ উপদেষ্টা বলছেন ১১-২০ গ্রেড অর্থ নিম্নগ্রেডের কর্মচারীগণ কষ্টে আছে-বিকল্প হিসেবে রেশন সুবিধা প্রদান একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে–রেশন দাবী ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের ১১-২০ গ্রেডে রেশন সুবিধার দাবি উঠেছে? হ্যাঁ, সরকারি কর্মচারীদের ১১-২০ গ্রেডে রেশন সুবিধার দাবি উঠেছে। এছাড়াও, বেতন বৈষম্য নিরসন, বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ, গ্রেড সংখ্যা কমাতে হওয়া, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারি প্রতিনিধি রাখা ইত্যাদি দাবিও উঠেছে। দাবির বিষয় বেতন বৈষম্য নিরসন, বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ, গ্রেড সংখ্যা কমাতে হওয়া, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারি প্রতিনিধি রাখা জোর দাবী করে আসছে।

রেশন ও মহার্ঘ ভাতার দাবীতে পদক্ষেপ কি? বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এবং ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম সম্মিলিত সিদ্ধান্তে মহা-সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি চাকুরিজীবী ফেডারেশনও ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছে। সচিবালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে রেশন সুবিধা প্রদান করা হলে সারা দেশে নিম্ন গ্রেডের দুর্দশা লাগবে রেশন সুবিধা চালু করা যেতে পারে।

এখন রেশনের দাবী কেন আসছে? সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রেশন চালুর উদ্যোগের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী চাকরিজীবী ফোরাম। সংগঠনটির পক্ষ থেকে আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সচিবালয়ের বাইরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও হতাশ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির প্রাক্কালে এ ধরণের চিঠি ইস্যু করা দুরভিসন্ধিমূলক। সবার অগোচরে এ কাজ বাস্তবায়ন করার সুপ্ত বাসনা থেকে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’ ‘সকল কর্মচারী যেখানে পে-স্কেল ও মহার্ঘ্য ভাতার জন্য মাঠে আন্দোলনরত, তখন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে এ ধরণের সুবিধা প্রদান বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে পে-স্কেল ও মহার্ঘ্য ভাতার দাবিকে দুর্বল করবে’ বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করে সংগঠনটি।

সরকারি ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করলেই বাজারে মূল্যস্ফিতি দেখা দেয়/ স্বল্প মূল্যে রেশন সুবিধা দিলে মূল্যস্ফিতি বা বাজারে পন্যের দাম বাড়ার শংক থাকবে না এবং কর্মচারীগন হাফ ছেড়ে কিছুটা হলেও বাঁচবে।

পুলিশদের কেন রেশন দেওয়া হয়? পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অনেক সদস্যই তুলনামূলকভাবে কম বেতন পান। তাই তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য রেশন সহায়তা করা হয়। পুলিশ সদস্যদের প্রায় সবসময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই তাদের বাজার করার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে না। তাই রেশন তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে। পুলিশ সদস্যরা বিশেষ কিছু দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে রয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অপরাধ দমন করা এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা প্রয়োজন। রেশন তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা তাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

Caption: info source

সরকারি রেশন পন্য সামগ্রী ২০২৫ । ৪ সদস্যের পরিবারে রেশন হিসেবে কি কি পন্য দেয় প্রতি মাসে?

  1. চাল ৩৫.০০ কেজি
  2. আটা ৩০.০০ কেজি
  3. চিনি ৫.০০ কেজি
  4. সয়াবিন তেল ৮.০০ লিটার
  5. মশুর ডাল ৮.০০ কেজি

সচিবালয়ে কেন রেশন দাবী করছে?

বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে ছুটির দিনসহ অফিস সময়ের পরেও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা অর্থাৎ রেশন কিংবা সচিবালয় ভাতা দেওয়া হয় না। পক্ষান্তরে, বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থার প্রায় ৮ লক্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রেশনের পাশাপাশি বিশেষ ঝুঁকিভাতাও পাচ্ছেন। সচিবালয় কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ অফিস সময়ের বাহিরে অতিরিক্ত কাজ করে সে জন্য কোন ভাতা বা সুবিধা পাচ্ছেনা এমনটিই তাদের মৌলিক ব্যাখ্যা।

   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *