কম বয়সে ডিফেন্স অথবা অন্য কোন সরকারি চাকরি হতে বরখাস্ত হলে অন্য কোন চাকরিতে ঢুকতে চান যা সরকারি বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান–সরকারি চাকরি হতে বরখাস্ত ২০২৫
অন্য চাকরিতে যাওয়া যাবে না? না, সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর অন্য সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায় না। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৮ নং ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তি ভবিষ্যতে প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্ম বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।
চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার কারণ কি হয়? সাধারণত ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকে। কর্মচারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তা কর্তৃক চাকরির অবসান করা হয়। ভুলভাবে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে চাকরি ফিরে পাওয়া যায়। যদি বরখাস্ত অবৈধ ছিল, তাহলে আদালত নিয়োগকর্তাকে চাকরি ফিরে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে।
সরকার কিভাবে শনাক্ত করবে? কেউ যদি কোন সরকারি চাকরি হতে বরখাস্ত হয়ে তার চাকরি চলে যায়। পরবর্তীতে তার যদি অন্য একটি সরকারি চাকরি হয়। সে কি চাকরি করতে পারবে? অথবা তার কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে? কোথায় সে আটকে যাবে? বা সেটা পরিত্রাণের উপায় আছে? এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে। বাংলাদেশে এখন আইবাস++ ভিত্তিক বেতন ভাতা দেওয়া হয় আইবাস আপনাকে শনাক্ত করবে। ডিজিএফআই, এনএসআই এবং বাংলাদেশ পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ঠিকই শনাক্ত করবে আপনি বরখাস্তকৃত কোন প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী কিনা।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই কেবল অযোগ্যতা বিবেচিত হবে/ বেসরকারি চাকরিতো করা যাবে
সরকারি কর্মচারী (আপিল ও শৃঙ্খলা) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪(৪)খ অনুসারে চাকরি বরখাস্ত হলে পরবর্তীতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের অযোগ্য হবেন। সরকারী চাকুরীতে বরখাস্ত হওয়া খুব সহজ নয়। তাও যদি হন, মামলা করুন; অধিকাংশই জিতে যায়। আপনার খুঁটি জোরদার হোলে চাকুরী ফিরে পাবেন, সঙ্গে ক্ষতিপূরণ, সিনিয়রিটি, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, যা থেকে এতোদিন বঞ্চিত ছিলেন।
Caption: Full Rules of Govt. Job Bangladesh
সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরিণতি ২০২৫ । সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্তের তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিণতি হতে পারে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা উচিত- চাকরি হারানো : সবচেয়ে তাৎক্ষণিক পরিণতি হল আপনার চাকরি এবং আয় হারানো।
- সুবিধার উপর প্রভাব : আপনার চাকরির শর্তাবলীর উপর নির্ভর করে, আপনি কিছু সুবিধা হারাতে পারেন, যেমন স্বাস্থ্য বীমা, অবসরকালীন অবদান, অথবা আপনার পদের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সুবিধা।
- সুনাম : চাকরিচ্যুত হওয়া আপনার পেশাগত সুনামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে সরকারি ক্ষেত্রে। ভবিষ্যতের নিয়োগকর্তারা চাকরিচ্যুতির বিষয়টি নেতিবাচকভাবে দেখতে পারেন, বিশেষ করে যদি এটি অসদাচরণের কারণে হয়ে থাকে।
- ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের সুযোগ : চাকরিচ্যুতি আপনার চাকরির সম্ভাবনা সীমিত করতে পারে। কিছু সংস্থার এমন ব্যক্তিদের নিয়োগের বিরুদ্ধে নীতি থাকতে পারে যাদের অন্যান্য সরকারি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
- নিরাপত্তা ছাড়পত্র : যদি আপনার চাকরির জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়, তাহলে বরখাস্ত করা হলে সেই ছাড়পত্র বিপন্ন হতে পারে, যা ভবিষ্যতে একই ধরণের ভূমিকায় কাজ করার আপনার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি হারালে কি নতুন চাকরিতে যাওয়া যাবে না?
না। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর পুনরায় নিয়োগ সাধারণত অসম্ভব, বিশেষ করে যদি অসদাচরণের জন্য চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে, নীতিগুলি সংস্থা অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে এবং বিরল ক্ষেত্রে, চাকরিচ্যুতির আশেপাশের পরিস্থিতি গুরুতর না হলে ব্যক্তিদের পুনরায় নিয়োগ করা যেতে পারে। সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার গুরুতর পরিণতি হতে পারে, তবে এটি আপনাকে ফেডারেল সেক্টরে চাকরি খোঁজা থেকে স্থায়ীভাবে বিরত রাখে না। আপনার চাকরিচ্যুতির কারণগুলি এবং ভবিষ্যতের আবেদনগুলিতে কীভাবে সেগুলি মোকাবেলা করতে হবে তা বোঝা এই ধরনের ঘটনার পরে আপনার ক্যারিয়ারের পথে নেভিগেট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে বাংলাদেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।