সরকারি কর্মচারীদের চাকরিকালে প্রায় ৪-৫ বছর ছুটি জমা হয়-১৮ মাস বিক্রি করা যায় এবং ১২ মাস পিআরএল ভোগ করা যায় মোট ৩০ মাস বাদে অবশিষ্ট ছুটি সরকারি ঘরে পড়ে থাকে–সার্ভিস বুকে ছুটির হিসাব ২০২৪
৪ মাসের অতিরিক্ত ছুটি হিসেবে আসবে না? না। পূর্ণ গড় বেতনের ছুটির হিসাবে গড় বেতনে ছুটি (চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ক্ষেত্রে এই হিসাবে) ৪ মাসের অধিক জমা হবে না। আধা গড় বেতনে ছুটি (চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ক্ষেত্রেই হিসাবে) সকল ছুটি-ই অন্তর্ভুক্ত হবে। মোট ছুটি ৯ ও ১০ নং কলামে এন্ট্রি করতে হবে। আরও কিছু কলাম রয়েছে যেগুলো আপনি কিছু লিখতে পারেন অথবা না লিখলেও চলবে।
অনেক ঘরই ফাঁকা? যে সব ঘরে আমি লিখতে দেখালাম সেসব ঘরে এন্ট্রি করলেই হবে। অন্যঘর গুলো ফাঁকা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। কেউ কেউ অন্য ঘরগুলোতে লিখে তবে সেটি লিখে জটিলতা না বাড়ালেও হবে। তাই সহজভাবে দেখানো হলো ছুটি হিসাব। এভাবে হিসাব করলে কর্মচারীদের ছুটি কমবে না বরং বাড়বে। আপনার কতদিন বছর মাস ছুটি জমা আছে তা ২১ এবং ২২ নং কলাম দেখবেন।
প্রতি বছর কত দিন জমা হয়? পূর্ণ গড় বেতনে ১১ দিনে ১ দিন। অর্ধ গড় বেতনে ১২ দিনে ১ দিন। সে হিসাবে মোট সময়কালকে ১১ দিয়ে ভাগ দিয়ে পূর্ণ গড় বেতনে এবং ১২ দিয়ে ভাগ দিয়ে অর্ধ গড় বেতনে ছুটি পরিমাণ বের করা হয়। ধরে নিন আপনি ৩৬৫ দিন মানে ১ বছর অফিস করেছেন (এক্ষেত্রে নৈমিত্তিক ছুটি, সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি সহ বোঝানো হবে)। প্রকৃত পক্ষে সরকারি কর্মচারীগণ ২৪ ঘন্টার জন্য নিয়োজিত সে হিসাবে নৈমিত্তিক ছুটি, সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন সহ তাদের মাসিক বেতন প্রদান করা হয়। ৩৬৫ দিনকে ১১ দিয়ে ভাগ দিলে ৩৩ দিন পূর্ন গড় বেতনে। ৩৬৫ দিনকে ১২ দিয়ে ভাগ দিলে ৩০ দিন অর্ধ গড় বেতনে। ছুটি জমা হবে মাত্র এক বছরে। উপরোক্ত হিসাবের প্রেক্ষিতে বলা যায়, অর্ধগড় বেতনে ছুটিকে পূর্ণ গড় বেতনে রূপান্তর করে ৩০/২ = ১৫ দিন (অর্ধ গড়) + ৩৩ দিন (পূর্ণগড়) = ৪৮ দিন মোট অর্জিত ছুটি জমা হয়।
সরকারি ছুটির হিসাব / শুধুমাত্র অর্জিত ছুটিই সার্ভিস বুকে জমা হয়
১৯৫৫ সনের নির্ধারিত ছুটির নিয়মাবলী এবং আইন মোতাবেক ছুটির হিসাব ফরম নমুনা নিচে দেখুন
Caption: Service book leave calculation rules bd
অর্জিত ছুটির হিসাব ২০২৪ । সরকারি চাকরিতে যোগদানকাল থেকে ১ম শ্রান্তি-বিনোদন ছুটি পর্যন্ত হিসাব করার নিয়ম দেখুন
- প্রথম যোগদান ০১/১২/২০২০ তারিখে সে হিসেবে শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ০১/১২/২০২৩ তারিখে প্রাপ্য হইবেন। প্রথমেই কার্যকাল বের করতে হবে।
- অর্জিত ছুটির হিসাব ০১/১২/২০২০ হতে ৩০/১১/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ছুটির হিসাব বের করতে হবে। এক্ষেত্রে খাতায় উপরে ২০২৩-১১-৩০ লিখতে হবে এবং নিচে ২০২০-১২-০১ লিখে বিয়োগ করতে হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে ৩ বছর বের হলো অর্থাৎ ৩*৩৬৫ = ১০৯৫ দিন।
- সে হিসেবে ১০৯৫ দিনকে ১১ দিয়ে ভাগ করলে ৯৯.৫৪ দিন অর্থাৎ ১০০ দিন। সে হিসেবে ৩ মাস ১০ দিন পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি বের হলো।
- ১০৯৫ কে ১২ দিয়ে ভাগ করলে ৯১.২৫ অর্থাৎ ৯১ দিন। পয়েন্ট ৫০ এর উপরে হলে পূর্ণ দিন ধরতে হবে।
সার্ভিস বুকে কোন ঘরে কি লিখবেন?
সার্ভিস বুকের ২ ও ৩ নং ঘরে কার্যকাল ১/১২/২০২০ এবং ছুটি শুরুর আগের দিন ৩০/১১/২০২৪ লেখা হয়েছে। ৪ নং ঘরে কর্মরত বা কার্যকাল বিয়োগ করে বের করে লিখতে হবে যেমন ৩ বছর লেখা হয়েছে। মাস ও দিন থাকলে লেখা হতো। পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি ৫ নং ঘরে ৩ মাস ১০ দিন লেখা হয়েছে বছরের ঘরে (-) দেয়া হয়েছে। অর্ধ গড় বেতনে ছুটি ৬ নং ঘরে লিখতে হবে যেমন ৩ মাস ০২ দিন লেখা হয়েছে। ৯ নং ঘরে পুর্ণ গড় বেতনে ছুটির যোগফল এবং ১০ নং ঘরে অর্ধ গড় বেতনে ছুটির মোট পরিমান লিখতে হবে। ১১ নং ঘরে শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি বা অন্য অর্জিত ছুটি কাটালে সেটি লিখতে হবে- যেমন ১৫ দিন শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি লেখা হয়েছে ১/১২/২০২০ হতে ১৫/১২/২০২৩ লিখে ১৫ দিন ১২ নং ঘরে লেখা হয়েছে। ছুটির ধরণ কয়েক ঘর মিলে আড়াআড়িভাবে লিখা হয়েছে।
২১ নং ঘরে মোট ছুটি হতে কাটানো ছুটি বাদ দিয়ে ২১ নং ঘরে লিখতে হবে। অর্ধ গড় বেতনে ছুটি ২২ নং ঘরে লিখতে হবে। আপনার ছুটি কত দিন মাস বছর জমা আছে তা ২১ ও ২২ নং ঘর চেক করলেই বুঝতে পারবেন।
ভিডিও আসছে……………