আয়কর-ভ্যাট কর্তনের হার ২০২৫ । ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সঠিক কর ও ভ্যাট কর্তনের তালিকা সংগ্রহ করুন
বাজেট ঘোষণার সময় এই হারগুলো চূড়ান্ত হয়। বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কর ও ভ্যাট হার সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো যা ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, কারণ প্রায়শই আগের অর্থবছরের কিছু হার পরবর্তী বছরে অপরিবর্তিত থাকে-সঠিক একটি তালিকা আমরা সবাই চাই সরকারি বিলের ভ্যাট ট্যাক্স কর্তনের জন্য– আয়কর-ভ্যাট কর্তনের হার ২০২৫
ব্যক্তিগত সর্বনিম্ন কর কত? নতুন করদাতাদের জন্য সর্বনিম্ন কর প্রথমবারের মতো আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীদের জন্য সর্বনিম্ন করের পরিমাণ ৩,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা: সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৩.৫ লাখ টাকা থেকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। নতুন কর স্ল্যাব: উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য ৩০% হারে একটি নতুন কর স্ল্যাব প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সরকারি বিলে সর্বনিম্ন ৫% এবং সর্বোচ্চ ১০% আয়কর কাটতে হবে।
নির্মাণ সেবাতে কি কোন পরিবর্তন এসেছে? মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবার ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। রড উৎপাদন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কর ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের আগাম কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিলের উপর কোন ভ্যাট কাটতে হয় না? সরকারি পরিষেবার বিল, যেমন জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে সাধারণত উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হয় না। এর কারণ হলো, এসব পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই উৎসে কর পরিশোধ করেই বিল তৈরি করে থাকে। ফলে, পুনরায় ভ্যাট কর্তন করলে তা একাধিকবার ভ্যাট কর্তন হিসেবে গণ্য হবে, যা আইনসম্মত নয়।
আয়কর-ভ্যাট কর্তনের হার ২০২৫/ নির্মাণ সামগ্রী ও পূর্ত কাজে আয়কর ৫% এবং ট্যাক্স ১০% কর্তন করা হয়
পেট্রোল অয়েল ও লুব্রিকেন্ট- ২% ভ্যাট কেন? সরকারি বিলের ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম অয়েল ও লুব্রিকেন্টের ওপর সরাসরি ২% ভ্যাট কাটার কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান। পেট্রোলিয়াম তেল এবং লুব্রিকেন্ট বিপণনে নিয়োজিত তেল বিপণন কোম্পানি কর্তৃক সরবরাহ করা তেলের ক্ষেত্রে উৎসে করের হার ০.৬%। পেট্রোলিয়াম তেল বিপণন কোম্পানির ডিলার বা এজেন্ট কর্তৃক সরবরাহ করা তেলের ক্ষেত্রে উৎসে করের হার ১%। তেল শোধনাগার বা রিফাইনারি কোম্পানি কর্তৃক তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে করের হার ২%। সরকারি বিলে ২% ভ্যাট কাটার কারণ হতে পারে যে, বিলটি এমন কোনো তেল শোধনকারী কোম্পানি থেকে এসেছে, যার ক্ষেত্রে ২% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রযোজ্য।
Caption: আয়কর-ভ্যাট কর্তনের হার ২০২৫ PDF Download
সরকারি বিলে ভ্যাট হার ২০২৫ । নতুন ও আপডেটেড ভ্যাট রেট যা ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জন্য প্রযোজ্য হইবে
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী- ১০%
- আনুষঙ্গিক কর্মচারী/ প্রতিষ্ঠান- ১৫%
- আপ্যায়ন ব্যয়- ১৫%-নন এসি ১০%
- প্রশিক্ষণ/সেমিনার/কনফারেন্স ব্যয়- ১০%
- বিদ্যুৎ – প্রযোজ্য নয়।
- আইন সংক্রান্ত ব্যয় কুরিয়ার – ১০%
- ইন্টারনেট – ৫%
- প্রচার ও বিজ্ঞাপন- ৫%
- বইপত্র ও সাময়িকী- ৫%
- প্রকাশনা– ১০%
- অফিস ভবন ভাড়া- ১৫%
- আউটসোর্সিং/ মানব সম্পদ সরবরাহ– ১৫%
- পরিবহন বায় (অন্যান্য পণ্য)– ১৫%
- প্রশিক্ষণ কর– ১৫%
- পেট্রোল অয়েল ও লুব্রিকেন্ট– ২%
- পন্য সামগ্রী – ১০%
- স্বাস্থ্যবিধান সামগ্রী- ১০%
- নিরাপত্তা সেবা- ১৫%
- কম্পিউটার সামগ্রী- ১০%
- মুদ্রণ ও বাধাই- ১০%
- স্টাম্প ও সীল- ১০%
- অন্যান্য মনিহারী- ১০%
- ব্যবহার্য সামগ্রী- ১০%
- কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশ- ১০%
- পোষাক-১০%
- সম্মানী-প্রযোজ্য নয়।
- অনুষ্ঠান/উৎসবাদি-১৫%
- মোটরযান মেরামত-১০%
- আসবাবপত্র মেরামত-১৫%
- কম্পিউটার মেরামত-১৫%
- অফিস সরঞ্জামাদি মেরামত- ১৫%
- অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি মেরামত-১৫%
- আবাসিক ভবন-১৫%
- অনাবাসিক ভবন-১৫%
- অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা- ১৫%
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি-১৫%
- কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক -১৫%
- টেলিযোগাযোগ সামগ্রী- ১০%
- বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি- ১০%
- গবেষণার সরঞ্জামাদি ১০%
- অফিস সরঞ্জামাদি ১০%
- আসবাবপত্র ক্রয় ১৫%
- অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরগ্রামাদি-১০%
- কম্পিউটার সফটওয়্যার-৫%
- নির্মাণ সামগ্রী বা পূর্ত কাজ- আয়কর ৫% ভ্যাট-১০%
অনলাইনে কেনা কাটায় কত শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে?
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য কর্পোরেট করের হার ৩৭.৫% থেকে কমিয়ে ২৭.৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে।অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির কমিশনের ওপর ভ্যাট ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে। নির্মাণ সেবার ওপর ভ্যাট ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করা হয়েছে। ভোজ্যতেল, চিনি, গ্যাস এবং পেট্রোলিয়ামের মতো কিছু পণ্যের সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার কমানো বা যৌক্তিকীকরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করের হার ৩% থেকে কমিয়ে ২% করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য এই হার ৫% থেকে বাড়িয়ে ৭.৫% করা হয়েছে। ফল ও ফুল আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে করের হার ৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। রড উৎপাদনের ওপর সুনির্দিষ্ট কর ২০% বাড়ানো হয়েছে। এলএনজি আমদানি, কম্পিউটার মনিটর, ই-বাইক, বৈদ্যুতিক গাড়ি, লিকুইড প্যাকেজড দুধ, ডায়াপার এবং বলপয়েন্ট কলমের মতো কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো বাজেট প্রস্তাবনা হিসেবে এসেছে এবং চূড়ান্ত আইন ও বিধি-বিধানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) অফিসিয়াল ঘোষণা অনুসরণ করা উচিত।
ঠিকাদারী সেবা: ১০% | ভাড়া (ভবন, যানবাহন): ১৫% | নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সেবা: ১০% |
আইনজীবী, হিসাবরক্ষক, প্রকৌশলী সেবা: ১০% | বিজ্ঞাপন সংস্থা: ১৫% | কর্তনকারী সত্তা ভ্যাট কেটে রাখার পর একটি ভ্যাট চালান (মুশক-৬.৩) তৈরি করে। এই চালানে সরবরাহকারীর নাম, ঠিকানা, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর (BIN), বিলের বিবরণ এবং কর্তনকৃত ভ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ থাকে। |
কেটে রাখা ভ্যাটের টাকা একটি সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক কোডে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। | ভ্যাট কেটে রাখার পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। | সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যখন কোনো সরকারি সংস্থা থেকে বিল গ্রহণ করে, তখন তারা কর্তনকৃত ভ্যাটের জন্য একটি সার্টিফিকেট বা মুশক-৬.৩ চালান পেয়ে থাকে। এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে তারা তাদের মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করার সময় কর্তনকৃত ভ্যাট সমন্বয় করতে পারে। |