সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন ২০২৪ । সরকারি কর্মচারীদের প্রচলিত পেনশন কি বাতিল হবে?

সর্বজনীন পেনশনের আওতাভূক্ত করা হবে সরকারি কর্মচারীদের-২০৩১ সালের পরে যারা যোগদান করবেন তারাই সর্বজনীন পেনশনের নতুন স্কীমের আওতাভূক্ত হবেন – সর্বজনীন পেনশন ২০২৪

নতুন পেনশন স্কীমে সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে? –না। হবে না। উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপাতত চার স্কিম শুরু হলেও আগামীতে আরও দুটি স্কিম চালু হবে। এ বিষয়ে পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরও দুটি স্কিম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে তাদের পেনশন দেয় সরকার। তাই এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চলমান চারটি স্কিম পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং সফলতার ভিত্তিতে ওই দুটি স্কিম চূড়ান্ত করা হবে। নতুন সরকার এসে পূর্বের নির্দেশনা বাতিল করেছে।

চাকরিরতদের কি প্রচলিত পেনশন বাতিল হবে? না। পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘোষণা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এ স্কিম দুটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ২০৩১ সালের শুরুতে যারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে। তারা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত স্কিমে পেনশন পাবেন। এ ছাড়া এর আগ পর্যন্ত সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রচলিত নিয়মেই পেনশন পাবেন।

নতুন পেনশন স্কীমে মানুষ কি যোগদান করছে? সরকারের নতুন কর্মসূচিতে যুক্ত হতে শুরু করেছেন নাগরিকরা। সর্বজনীন এই কর্মসূচি চালুর প্রথম দিনই ভালো সাড়া মিলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় পর্যন্ত প্রগতি, প্রবাস, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিমে ৭০০ জন নিবন্ধন করে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া আট হাজারের বেশি গ্রাহক নিবন্ধনের আবেদন পাঠিয়েছেন।অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে চালু করা হলো এমন ৪টি পেনশন স্কিম / ক্রমান্বয়ে নতুন আরও দুটি পেনশন স্কিম চালু করা হবে। যারা সরকারি চাকরিতে আছেন তাদের পেনশন প্রচলিত নিয়মেই হবে।

দেশের যে কোন বৈধ নাগরিক জাতীয় পেনশন স্কীমের আওতায় আসতে পারবেন / সরকারি কোষাগারে চাঁদা জমা হবে তাই কোনক্রমেই আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে না।

সর্বজনীন পেনশন ২০২৩ । সুরক্ষা স্কীমে ৫০০০ টাকা চাঁদায় মাসিক ১,৭২,৩২৭ টাকা?

চাঁদা জমার ক্ষেত্রে শর্তাবলী । চাঁদা প্রদানকারী মারা গেলে কি স্ত্রী/স্বামী পেনশন পাবেন?

  1.  ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। হ্যাঁ। চাঁদা দাতা ১০ বছর পূর্ন করে মারা গেলে অথবা পেনশন পাওয়া অবস্থায় মারা গেলে স্ত্রী/স্বামী পরবর্তীতে পেনশন প্রাপ্ত হবে।
  2. প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি আলাদা পেনশন হিসাব থাকবে। ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে।
  3. সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে কর্মী বা প্রতিষ্ঠানের চাঁদা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে।
  4. মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারিত থাকবে। তবে প্রবাসী কর্মীরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
  5. সুবিধাভোগীরা বছরে ন্যূনতম বার্ষিক জমা নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় তাঁর হিসাব সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে হিসাব সচল করতে হবে।
  6. সুবিধাভোগীরা আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে চাঁদা হিসেবে বাড়তি অর্থ (সর্বনিম্ন ধাপের অতিরিক্ত যেকোনো অঙ্ক) জমা করতে পারবেন।
  7. পেনশনের জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা অর্থাৎ ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত লভ্যাংশসহ জমার বিপরীতে নির্ধারিত হারে পেনশন দেওয়া হবে।
  8. পেনশনধারীরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন–সুবিধা ভোগ করবেন।
  9. নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি বাকি সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।

সর্বজনীন পেনশন মূলত কাদের জন্য?

দেশের বয়স্ক নাগরিকদের একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে দেশে প্রথমবারের মতো সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করেছে সরকার। তবে পরবর্তীতে সরকারি ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও এ পেনশন স্কীমের আওতাভূক্ত করার চিন্তা সরকারের মাথায় আছে।

সূত্র দেখুন

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *