জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ জারি হওয়ার পর কর্মচারীদের ৩টি টাইম স্কেল প্রাপ্তির বিধান রহিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একই পদে ১০ বছর পূর্তিতে ১টি এবং ১৬ বছর পূর্তিতে ১টি সহ সর্বোচ্চ দুইটি উচ্চতর গ্রেডে প্রাপ্তির বিধান রাখা হয়েছে। ১ম উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে আমরা দেখেছি অনেকেরই বেতন নির্ধারণ পিপি দিয়ে করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেই পিপি আর থাকছে না ফলে পরবর্তী বছর তার বেতন একটু কমে যাচ্ছে। ১ম টাইম স্কেল প্রাপ্তির পর ৬ বছর পূর্তিতে দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে এই সমস্যা নেই। আজ আমরা দেখবো,
কোন কর্মচারী পূর্বে ৮ বছর চাকরি পূর্তিতে যদি টাইম স্কেল পেয়ে থাকেন তাহলে আরও ৬ বছর পূর্তিতে ৭ম বছরে আরও একটি উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন সেক্ষেত্রে তার বেতন আর কমে যাচ্ছে না এক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন।
১ম টাইম স্কেল প্রাপ্তির ৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড
২০১৫ সালের পে স্কেল জারির পূর্বে যদি কেউ ৮ বছর পূর্তিতে একটি টাইম স্কেল পেয়ে থাকেন তবে টাইম স্কেল প্রাপ্তির তারিখ থেকে চাকরির বয়স ৬ বছর পূর্ণ হলেই ২য় উচ্চতর গ্রেড পাওয়া যাচ্ছে।
গ) উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা:
(১) একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী দুই বা ততােধিক উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) পাইয়া থাকিলে তিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন না।
(২) একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী একটিমাত্র উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) পাইয়া থাকিলে উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পাইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৬(ছয়) বছর পূর্তির পর ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।
(৩) একই পদে কর্মরত কর্মচারী কোন প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০(দশ) বৎসর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।
(৪) জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫. এর ৭(১) ও ৭(২) এ প্রদত্ত সুবিধা কোন ক্রমেই ১৫/১২/২০১৫ তারিখের পূর্বে প্রদান করা যাইবে না।
৬ বছর পূর্তিতে উচ্চধাপে উচ্চতর গ্রেড ফিক্সেশন
প্রথম টাইম স্কেল প্রাপ্তির পর ৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ফলে মূল বেতন বৃদ্ধি পায়। এখন একজন কর্মচারী ২০০৪ সালে যোগদান করেন ২০১২ সালে ১ম টাইম স্কেল প্রাপ্তির পর ১৩তম গ্রেডে ২০১৮ সালে মূল বেতন দাড়াঁ ১৭৯৬০ টাকা। ভূতাপেক্ষ উচ্চতর গ্রেড মঞ্জুর করা হয়েছে অর্থাৎ ২০২১ সালে এসে ২০১৮ সাল থেকে উচ্চতর গ্রেডটি কার্যকর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০২০ এবং ২০১৯ সালে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে ডিলিট বা বাতিল করা হয়েছে এবং তারপর স্থানীয় অফিস বা হিসাবরক্ষণ অফিস হতে উচ্চতর গ্রেডে ফিক্সেশন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রেড পরিবর্তন হওয়ার ফলে উচ্চ ধাপে বা উচ্চতর স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ তম গ্রেডে তার বেতন নিম্নধাপ ১৭৫৮০ টাকা+পিপি ৩৬০ টাকা না হয়ে উচ্চধাপ ১৮৪৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করায় তিনি ৫০০ টাকা ফিক্সেশন বেনিফিট পেলেন।
১ম টাইম স্কেল প্রাপ্তির ৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ফলে ফিক্সেশন কপি : ডাউনলোড
২য় উচ্চতর স্কেল নীতিমালায় থাকলেও কেউ পাবে না, কারন মামলা,হামলা বলে বলে আজ ৬য় বৎসর বন্ধ করে রাখছে,অনেক গরিব শিক্ষক অবসরে যাচ্ছে তারা ত আর পেলনা,অনেকের ২০১৫ সালে ২য় টাইম স্কেলের সময় হলেও কেউ পায় নাই, গরিব মারার আর কত রকমের কল আছে সব চালু করেন,দ
আপনার কমেন্টের সাথে দু:খ প্রকাশ করছি। এটি কোনভাবেই হওয়া কথা ছিল না। কেন যেন নীতি নির্ধারকেরা দেখেও দেখে না নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীগণ আর্থিক দুরাবস্থায় আছেন।