প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট তার অথবা তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বীমা পলিসি এবং মোট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বা ততধিক মূল্যের অলংকারাদিসহ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা করবেন।
গণকর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা,১৯৭৯ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
বিধি-২: প্রয়োগ
যাদের ক্ষেত্রে এ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে-
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে বাংলাদেশ সরকারের অসামরিক চাকরিতে নিয়োজিত সকল সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, তারা কর্মরত অবস্থায় থাকুন বা ছুটিতে থাকুন অথবা অন্য কোন সরকারী এজেন্সী বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে নিয়োজিত থাকুন এ বিধিমালাটি প্রযোয্য হবে।
যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না-
- যাদের ক্ষেত্রে রেলওয়ে সংস্থাপন কোড প্রযোজ্য।
- মেট্রোপলিটন পুলিশেল অধঃস্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।
- অন্য যেকোন পুলিশ বাহিনীর পুলিশ পরিদর্শকের নিম্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ।
- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অধঃস্তন কর্মকর্তা, রাইফেলম্যান ও সিগন্যালম্যান।
- বাংলাদেশের জেলের ডেপুটি জেলর ও সার্জেন্ট ইনস্ট্রাকটরের পদমর্যাদার নিম্নের অধঃস্তন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার যে সকল চাকরির সদস্যদের অথবা যে সকল পদে অধিষ্ঠিত কর্মচারীদের নির্দিষ্ট করবে।
বিধি-২ : সংজ্ঞা
সরকারি কর্মচারী: অর্থ ঐ ব্যক্তি বা যাহার ক্ষেত্রে এই বিধিমালা প্রযোজ্য এবং “সরকারি কর্মচারীর পরিবারের সদস্য” এর অর্ন্তভূক্ত হবেন।
সরকারি কর্মচারীর পরিবারের সদস্য:
সরকারি কর্মচারীর সাথে বসবাস করেন অথবা না করেন, তাঁহার স্ত্রী/স্বামী, সন্তান বা সৎ সন্তানগণ এবং সরকারি কর্মচারীর সাথে বসবাসরত এবং তাঁর উপর সম্পূর্ণরুপে নির্ভরশীল তাঁর নিজের অথবা স্ত্রীর/স্বামীর অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
বিধি-৫: উপহার
কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, নিকট আত্মীয় বা ব্যক্তিগত বন্ধু ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট এমন কোন উপহার গ্রহণ করতে বা তাঁর পরিবারের কোন সদস্যকে বা তাঁর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে গ্রহণের অনুমতি প্রদান করতে পারবেন না।
বিধি-৫এ: যৌতুক দেয়া বা নেয়া
কোন সরকারী কর্মচারী যৌতুক দিতে বা নিতে বা যৌতুক দেওয়া বা নেওয়ায় প্ররোচিত করতে পারবেন না।
বিধি-৬: বিদেশী পুরস্কার গ্রহণ
কোন সরকারি কর্মচারী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন বিদেশী পুরস্কার, পদবী বা উপাধি গ্রহণ করতে পারবেন না।
বিধি-৭: সরকারী কর্মচারীর সম্মানে গণজমায়েত
কোন কর্মচারী তার সম্মানে কোন সভা বা কেবল তাহাকে প্রশংসা করার উদ্দেশ্যে কোন বক্তৃতা বা তার সন্মানে কোন আপ্যায়ন অনুষ্ঠান সংগঠনে উৎসাহ প্রদান করতে পারবেন না।
বিধি-৯: চাঁদা
সরকারের সুনির্দিষ্ট কোন আদেশ ও নির্দেশের অধীন ব্যতিরেকে কোন সরকারি কর্মচারী কোন তহবিল সংগ্রহের জন্য বলতে বা তহবিল সংগ্রহে অংশগ্রহণ করতে বা তহবিল গ্রহণ করতে পারবে না।
বিধি-১০: ধার দেয়া এবং ধার করা
কোন সরকারী কর্মচারী কর্তৃত্বের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার বা দাপ্তরিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তিকে অর্থ ধার দিতে অথবা অর্থ ধার করতে পারবেন না।
বিধি-১১: মূল্যবান সামগ্রী ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা হস্তান্তর
কোন সরকারী কর্মচারী তাঁর কর্মস্থল, জেলা বা যে স্থানীয় এলাকার জন্য তিনি নিয়োজিত ঐ এলাকায় বসবাসকারী স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী অথবা বাণিজ্যেরত কোন ব্যক্তির নিকট ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার অধিক মূল্যের কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় বা অন্য কোন পন্থায় হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিভাগীয় প্রধান বা সরকারের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
কোন সরকারি কর্মচারী ক্রয়, বিক্রয়, দান, উইল বা অন্যভাবে বহিঃবাংলাদেশে অবস্থিত কোন স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা হস্তান্তর করতে পারবেন না।
কোন বিদেশী নাগরিক, বিদেশী সরকার বা বিদেশী সংস্থার সাথে কোন প্রকার ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবেন না।
বিধি-১২: ভবন, এ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট ইত্যাদি নির্মাণ অথবা ক্রয়
কোন সরকারী কর্মচারী আবেদনের মাধ্যমে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে ব্যবসায়িক বা আবাসিক ব্যবহারের অভিপ্রায়ে নিজে বা ডেভোলপারের দ্বারা কোন ভবন, এ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট ইত্যাদি নির্মাণ করতে বা ক্রয় করতে পারবেন না।
বিধি-১৩: সম্পত্তির ঘোষণা
প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট তার অথবা তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বীমা পলিসি এবং মোট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বা ততধিক মূল্যের অলংকারাদিসহ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা করবেন।
প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী প্রতি ০৫ (পাঁচ) বছর অন্তর প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট দাখিল করবেন।
বিধি-১৪: নগদ টাকায় সহজে পরিবর্তনীয় সম্পদের হিসাব প্রকাশ
সরকারের চাহিদা মোতাবেক প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী তাঁর নগদ টাকায় সহজে পরিবর্তনীয় সম্পদের হিসাব প্রকাশ করবেন।
বিধি-১৫: ফটকাবাজি ও বিনিয়োগ
কোন সরকারি কর্মচারী ফটকা কারবারে বিনিয়োগে ফটকাবাজি করতে পারবেন না। মূল্য প্রতিনিয়ত উঠানামা করে , অভ্যাসতভাবে ঐ সমস্ত সিকিউরিটিস্ এর ক্রয় বিক্রয় বিনিয়োগে ফটকাবাজি হিসাবে গণ্য হবে।
বিধি-১৫: কোম্পানী স্থাপন ব্যবস্থাপনা
সরকারি কর্মচারী কোন ব্যাংক বা অন্য কোন কোম্পানী স্থাপন, নিবন্ধীকরণ বা ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বিধি-১৭: ব্যক্তিগত ব্যবসা বা চাকরি
কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায়ে জড়িত হতে অথবা অন্য কোন চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবেন না।
বিধি-১৮: দেউলিয়াত্ত্ব ও অভ্যাসগত ঋণগ্রস্থতা
সরকারি কর্মচারী অবশ্যই অভ্যাসগত ঋণগ্রস্থতাকে পরিহার করবে। যদি কোন সরকারি কর্মচারী দেউলিয়া হিসেবে বিবেচিত বা ঘোষিত হন তাহলে তিনি সে সম্পর্কে তৎক্ষনাৎ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অফিস প্রধান বা বিভাগীয় প্রধান বা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট রিপোর্ট করবেন।
বিধি-১৯: সরকারি দলিলাদি বা তথ্যের আদান প্রদান
কোন সরকারি কর্মচারী সরকারি সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সরকারি উৎস হতে বা অন্য কোনভাবে তাঁর দখলে এসেছে অথবা সরকারি কর্তব্য সম্পাদনকালে তার কর্তৃক প্রস্তুত বা সংগৃহীত হয়েছে এরুপ সরকারি দলিলের বিষয়বস্তু বা তথ্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংযুক্ত দপ্তরে কর্মরত কোন সরকারি কর্মচারীর নিকট বা অন্য কোন বেসরকারি ব্যক্তির নিকট বা সংবাদ মাধ্যমের নিকট প্রকাশ করতে পারবেন না।
বিধি-২০: কোন অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে সংসদ সদস্য, ইত্যাদির দ্বারস্থ হওয়া
কোন সরকারি কর্মচারী তাঁর পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য কোন অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন সংসদ সদস্য বা অন্য কোন বেসরকারি ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে পারবেন না।
বিধি-২১: সংবাদপত্র বা সমায়িকীর ব্যবস্থাপনা
সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে যে কোন সংবাদপত্র বা সমায়িকীর সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিক হতে বা পরিচালনা করতে অথবা সম্পাদনায় বা ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বিধি-২২: বেতার সম্প্রচারে অংশগ্রহণ এবং সংবাদ মাধ্যমের সংগে যোগাযোগ
সরকারি কর্মচারী বিভাগীয় প্রধানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে বেতার কিংবা টেলিভিশন সম্প্রচারে অংশগ্রহণ করতে বা কোন সংবাদপত্র বা সাময়িকীতে নিজ নামে বা বেনামে বা অন্যের নামে কোন নিবন্ধ বা পত্র লিখতে পারবে না।
বিধি-২৩: সরকারের সমালোচনা এবং বিদেশী রাষ্ট্র সম্পর্কীত তথ্য বা মতামত প্রকাশ
সরকারি কর্মচারী নিজ নামে প্রকাশিত কোন লেখায় বা তাঁর কর্তৃক জনসম্মুখে প্রদত্ত বক্তব্যে অথবা বেতার বা টেলিভিশনে সম্প্রচারে কোন বক্তব্যে এমন কোন বিবৃত্তি বা মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না যা সরকারকে অস্বিস্তকর অবস্থায় ফেলতে সক্ষম।
বিধি-২৪: কমিটির নিকট সাক্ষ্য প্রদান
সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোন পাবলিক কমিটির নিকট সাক্ষ্য প্রদান করতে পারবেন না।
(১) সরকারি কর্মচারী কোন রাজনৈতিক দলের বা, রাজনৈতিক দলের কোন অংগ সংগঠনের সদস্য হতে বা অন্য কোনভাবে উহার সাথে যুক্ত হতে পারবেন না, অথবা বাংলাদেশে বা বিদেশে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোন প্রকারেই সহায়তা করতে পারবেন না।
(২) সরকারি কর্মচারী তাঁর তত্ত্বাবধানের অধীন, নিয়ন্ত্রণাধীন বা তাঁর উপর নির্ভরশীল কোন ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে প্রচলিত কোন আইনে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজ হিসেবে গণ্য, এরুপ কোন আন্দোলন বা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বা যেকোন উপায়ে সহযোগিতা করার অনুমতি প্রদান করতে পারবেন না।
(৩) সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অথবা অন্যত্র কোন আইন সভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অথবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে বা অন্য কোনভাবে হস্তক্ষেপ করতে বা প্রভাব খাটাতে পারবেন না।
(৪) বিলুপ্ত।
(৫) যদি কোন সরকারি কর্মচারী ভোটারদের উদ্দেশ্যে কোন বক্তৃতা দেন বা বিতরণ করেন অথবা অন্য কোন প্রকারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে বা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জনসম্মুখে ঘোষণা করেন বা ঘোষণা করার অনুমতি প্রদান করেন তবে তিনি উক্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন মর্মে গণ্য হবেন।
(৬) স্থানীয় সংস্থা বা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য একজন সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে কোন আইনের দ্বারা বা আওতায় বা সরকারের কোন আদেশে অনুমতি নেয়া সাপেক্ষে ঐ সংস্থা বা পরিষদসমূহরে নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপবিধি(৩) ও (৫)- তে উল্লিখিত বিধানসমূহ যতটুকু প্রয়োগযোগ্য ততটুকু প্রযোজ্য হবে।
বিধি-২৬: উপদলীয় ধর্ম মতবাদ, ইত্যাদির প্রচারণা
সরকারি কর্মচারী কোন উপদলীয় ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করতে বা উক্তরুপ উপদলীয় বির্তর্কিত বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে বা উপদলীয় ধর্মীয় মতবাদের পক্ষপাতিত্ব এবং স্বজনপ্রীতিকে প্রশ্রয় দিতে পারবেন না।
বিধি-২৭: স্বজনপ্রীতি, প্রিয়তোষণ ও বেআইনীভাবে ক্ষতিগ্রস্তকরণ, ইত্যাদি
সরকারি কর্মচারী সংকীর্ণতা, প্রিয়তোষণ ও বেআইনীভাবে ক্ষতিগ্রস্তকরণ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবেন না।
বিধি-২৭এ: মহিলা সহকর্মীদের প্রতি আচরণ
কোন সরকারি কর্মচারী মহিলা সহকর্মীর প্রতি কোন প্রকারে এমন কোন ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন না যা অনুচিত এবং অফিসিয়াল শিষ্টাচার ও মহিলা সহকর্মীদের মর্যাদার হানি ঘটায়।
বিধি-২৭বি: স্বার্থের দ্বন্দ্ব
সরকারি কর্মচারী নিজ দায়িত্ব পালনকালে যদি দেখতে পান যে, কোন কোম্পানী বা ফার্ম বা অন্য কোন ব্যক্তির সাথে কোন চুক্তি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে তাঁর পরিবারের কোন সদস্য বা কোন নিকট আত্মীয়ের স্বার্থ রয়েছে এমন কোনো বিষয় তাঁর বিবেচনাধীন আছে এবং উক্তরুপ কোম্পানী বা ফার্ম বা ব্যক্তির অধীনে তার পরিবারের কোন সদস্য বা নিকট আত্মীয় কর্মরত আছেন তাহলে তিনি নিজে বিষয়টি বিবেচনা না করে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করবেন।
বিধি-২৮: সরকারি কর্মচারীদের সরকারী কার্যকলাপ ও আচরণের প্রতি সমর্থন
সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে তাঁর সরকারি কার্যকলাপ ও আচরণের জন্য অবমাননাকর আক্রমণের বিরুদ্ধে সমর্থন লাভের জন্য কোন আদালতের বা সংবাদ মাধ্যমের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন না।
বিধি-২৯: চাকরিজীবী সমিতির সদস্যপদ
সরকারি কর্মচারীদের বা যে কোন শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বশীল কোন সমিতি কতিপয় নির্ধারিত শর্ত পূরণ না করলে কোন সরকারি কর্মচারী উক্ত সমিতির সদস্য, প্রতিনিধি বা কর্মকর্তা হতে পারবেন না।
বিধি-৩০: রাজনৈতিক অথবা অন্যরুপ প্রভাব খাটানো
সরকারি কর্মচারী তাঁর চাকুরি সংক্রান্ত কোন দাবীর সমর্থনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার বা কোন সরকারি কর্মচারীর উপর কোন রাজনৈতিক বা অন্য কোন বহিঃপ্রভাব খাটাতে পারবে না।
বিধি-৩০এ: সরকারি সিদ্ধান্ত, আদেশ ইত্যাদি
কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের বা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করতে বা কোন প্রকারে বাধা প্রদান করতে পারবেন না অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না।
সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না।
বিধি-৩১: বিদেশী মিশন এবং সাহায্য সংস্থার দ্বারস্থ হওয়া
সরকারি কর্মচারী তাঁর নিজের জন্য বিদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ সংগ্রহ বা বিদেশে প্রশিক্ষণের সুবিধা লাভের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশে অবস্থিত কোন বিদেশী মিশন অথবা সাহায্য সংস্থার দ্বারস্থ হতে পারবেন না।
বিধি-৩১এ: নাগরিকত্ব, ইত্যাদি
কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোন বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।
যদি কোন সরকারি কর্মচারীর স্বামী বা স্ত্রী বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী তা সরকারকে অবহিত করবেন।
বিধি-৩২: বিধিমালা লংঘনের শাস্তি
এই বিধিমালার কোন বিধান লংঘন করলে সরকারী কর্মচারী(শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা,১৯৮৫ এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোন সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোন বিধান লংঘন করলে উপরোল্লিখিত বিধিমালার আওতায় অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়ী হবেন।
বিধি-৩৩: ক্ষমতা অর্পণ
এই বিধিমালার আওতাধীন যে কোন ক্ষমতা সরকার অধীনস্থ যে কোন কর্মকর্তার বা কর্তৃপক্ষের নিকট অর্পণ করতে পারবেন।
বিধি-৩৪: অন্যান্য আইন, ইত্যাদির প্রয়োগ হ্রাস
এই বিধিমালার কোন কিছুই সরকারি কর্মচারীদের আচরণ সংক্রান্ত বলবৎ কোন আইনের কোন বিধান বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন আদেশের প্রয়োগকে হ্রাস করবে না।
সরকারী কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর পিডিএফ কপি সংগ্রহে রাখতে পারেন: ডাউনলোড