Departmental Procedure Ending 2025 । বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি হতে কত সময় লাগে?
বিভাগীয় মামলা হলো কোনো সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার নিজ অফিসের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজের জন্য তার বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের দ্বারা নেওয়া আইনি ব্যবস্থা। এটি প্রচলিত আদালতে দায়ের করা কোনো মামলা নয়. সরকারি কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রে অসদাচরণ, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়মের জন্য এই ধরনের মামলা করা হতে পারে– Departmental Procedure Ending 2025
বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি হতে কতদিন সময় লাগে? কতদিনে নিষ্পত্তি হবে তা বলা কঠিন। কৃত অপকর্মের/অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির বিধান আছে। কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা না জেনে মন্তব্য করা কঠিন। তবে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হলে বরখাস্ত হওয়ার মতো কঠিন শাস্তির বিধান আছে। বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি হতে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই, তবে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়।
অবসরের সময় আসলে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হয় কি? হ্যাঁ। ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়। বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সময় লাগতে পারে। প্রথমে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়, এরপর অভিযুক্তকে জবাব দাখিলের জন্য সময় দেওয়া হয়। অভিযুক্ত জবাব দাখিল করার পর, কর্তৃপক্ষ অভিযোগ ও জবাবের ভিত্তিতে একটি শুনানি করতে পারে। শুনানির পর, কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে দোষী বা নির্দোষ ঘোষণা করতে পারে এবং শাস্তি নির্ধারণ করতে পারে।একটি বিভাগীয় মামলা কত দিনে নিষ্পত্তি হবে, তা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন – অভিযোগের জটিলতা, অভিযুক্তের জবাবের সময়সীমা, শুনানির সময়সূচি, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ইত্যাদি।
শাস্তিগুলো কি হয়? সাধারণত, লঘুদণ্ড (যেমন – তিরস্কার) ক্ষেত্রে মামলা নিষ্পত্তি হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। গুরুদণ্ড (যেমন – বরখাস্ত) ক্ষেত্রে সময় আরও বেশি লাগতে পারে, কারণ গুরুদণ্ড প্রদানের আগে অভিযুক্তকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে লিখিত জবাব দাখিল করলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হতে পারে। তবে, যদি অভিযুক্ত দোষ অস্বীকার করে, তাহলে মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি সময় লাগতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি করতে এক বছর বা তার বেশি সময় লাগতে পারে, তবে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়।
সর্বনিম্ন তিরস্কার আর সর্বোচ্ছ চাকুরি চ্যুতি (termination) । যদি খুব তাড়া থাকে তবে দোষ স্বীকার করে লিখিত জবাব দাখিল করেন। মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। বিভাগীয় মামলা হলো সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের দ্বারা রুজু করা একটি অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া
বিভাগীয় মামলা সাধারণত সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের তাদের কর্মক্ষেত্রে অসদাচরণ, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়মের জন্য শাস্তি দেওয়ার জন্য করা হয়। বিভাগীয় মামলা কর্তৃপক্ষের দ্বারা শুরু করা হয় এবং তদন্তের পর, দোষী সাব্যস্ত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে পারে, যেমন – তিরস্কার, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, পদাবনতি, বরখাস্ত করা ইত্যাদি
Caption: DP for Govt. Staff
ডিপি নিষ্পত্তি সময় সীমা ২০২৫ । উপরের মামলাটি ২০১৯ সালে রুজু হয়ে সেটি ২০২২ নিষ্পত্তি করা হয়েছে
- কর্মক্ষেত্রে অনিয়ম: সরকারি নিয়মকানুন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজ করলে বিভাগীয় মামলা হতে পারে।
- অসদাচরণ: সরকারি কর্মচারী হিসেবে অসদাচরণ বা বেয়াদব আচরণ করলে বিভাগীয় মামলা করা হতে পারে।
- কর্মক্ষেত্রে দুর্নীতি: সরকারি কাজের সাথে জড়িত কোনো দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হলে বিভাগীয় মামলা হতে পারে।
- অযোগ্যতা বা অবহেলা: নিজের কাজের প্রতি অবহেলা বা অযোগ্যতা প্রমাণ হলে বিভাগীয় মামলা হতে পারে।
- শারীরিক আঘাত: কর্মক্ষেত্রে অন্য কোনো কর্মচারী বা ব্যক্তির উপর শারীরিক আঘাত করলে বিভাগীয় মামলা হতে পারে।
- প্রশিক্ষণে অংশ না নেওয়া: সরকারি চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে অস্বীকার করলে বিভাগীয় মামলা হতে পারে।
বিভাগীয় মামলা এবং প্রচলিত মামলা কি?
বিভাগীয় মামলা এবং প্রচলিত মামলা (যেমন: ফৌজদারি মামলা) একই বিষয় নিয়ে হতে পারে, কিন্তু তাদের প্রক্রিয়া এবং ফলাফল ভিন্ন। বিভাগীয় মামলা এটি অভ্যন্তরীণ এবং শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রচলিত মামলা এটি আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সাধারণত ফৌজদারি বা অন্যান্য আইনি বিষয় নিয়ে হয়। বিভাগীয় মামলা মূলত সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের কাজের সাথে সম্পর্কিত কোনো অনিয়ম বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য করা হয়।
বিভাগীয় মামলায় কি চাকরি পায়? বিভাগীয় মামলা (departmental case) একটি সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের জন্য করা হয়। এই মামলা সাধারণত সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বিভাগীয় মামলা চলমান থাকলে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে, চাকরি বাতিল বা অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে, বিভাগীয় মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলে, পদোন্নতি বা অন্য কোনো সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকে না, বরং জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতা বন্ধ হতে পারে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে খোরপোষ ভাতা পাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। বিভাগীয় মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শুরু করতে হয়, এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি করে। বিভাগীয় মামলা সাধারণত সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং এর মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের বিচার করা হয়। এই মামলা নিষ্পত্তি হলে, দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি এবং নির্দোষ হলে আগের মতো পদোন্নতি বা অন্যান্য সুবিধার সুযোগ থাকে।