SRO 92-L/82-JIV/IT-3/81, তারিখ: ১২ মার্চ, ১৯৮২ বিধি-৩। আবেদন দাখিলের পদ্ধতি।-(১) আবেদন লিখিত হইবে এবং আবেদনকারীকে আবেদন ব্যক্তিগতভাবে, অথবা তাঁহার কর্তৃক কর্তৃত্ব প্রদত্ত ব্যক্তি কর্তৃক, অথবা রেজিস্ট্রার্ড ডাক মারফত দাখিল করিতে হইবে। লিখিত বক্তব্য প্রাপ্তির পর ট্রাইবুনাল ইহার এক প্রস্থ রেজিস্ট্রি ডাক মারফত আবেদনকারীর নিকট প্রেরণ করিবে এবং লিখিত বক্তব্য দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখের পর পনের দিন গত হইলে ট্রাইবুনাল শুনানির দিন ধার্য করিবে এবং উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবে। নোটিশ জারির পর কোন পক্ষ হাজির না থাকিলে ট্রাইবুনাল মামলাটি ডিসমিস করিতে পারিবে। নির্ধারিত তারিখে বিরোধীপক্ষ অনুপস্থিত থাকিলে এক তরফ শুনানিগ্রহণ করিতে পারিবে। নির্ধারিত দিনে আবেদনকারী অনুপস্থিত থাকিলে আবেদন ডিসমিস করিতে পারিবে। তবে বিরোধিপক্ষ আবেদনকারীর দাবী স্বীকার করিলে এবং রেকর্ডপত্র দৃষ্টে দাবী গ্রহণযোগ্য হইলে ট্রাইবুনাল প্রতিকার প্রদানপূর্বক আদেশ দিতে পারিবে।
(২) আবেদনে অন্যান্য বিবরণাদির সহিত নিম্নোক্ত বিষয়াদি থাকিবে, যথা-
(এ) যে ট্রাইবুনালে আবেদন করা হইবে ঐ ট্রাইবুনালের নাম;
(বি) আবেদনকারীর নাম, বর্ণনা ও ঠিকানা;
(সি) বিবাদী পক্ষের নাম, বর্ণনা ও ঠিকানা;
(ডি) ঘটনার উৎপত্তির কারণ এবং স্থান ও সময় উল্লেখপূর্বক বিবরণ;
(ই) আবেদন ট্রাইবুনালের গ্রহণের বিষয়ে তথ্য;
(এফ) আবেদনকারী যে প্রতিকার চাহিতেছেন; এবং
(জি) আবেদনকারী যে বিষয়ের উপর নির্ভর করেন।
(৩) আবেদনের সহিত নিম্নোক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজনীয় কপি সংযুক্ত করিতে হইবে-
(এ) আবেদন পত্র;
(বি) এয আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাওয়া হয়, উহার কপি; এবং
(সি) আবেদনকারীর দখলে থাকা দালিলাদি, যাহার উপর তিনি নির্ভর করেন।
(৪) একশত টাকা যোগ উপ-বিধি (৩) এর অনুচ্ছেদ (এ) তে উল্লিখিত প্রতি কপি আবেদনের জন্য অতিরিক্ত দশ টাকা হিসাবে কোর্ট ফি স্ট্যাম্প আবেদনের সহিত সংযুক্ত করিয়া এবং ক্রস ও স্বাক্ষরপূর্বক প্রদান করিতে হইবে।
(৫) আবেদনে বর্ণিত তথ্যাদি আবেদনপত্রের নিম্নের অংশে যাচাইপূর্বক স্বাক্ষর দ্বারা প্রত্যয়ন করিতে হইবে।
(৬) আইন দ্বারা বারিত না হইলে এবং উপবিধি (১), (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধান মোতাবেক দাখিল করা হইলে ট্রাইবুনাল উক্ত আবেদন গ্রহণ করিবে।
(৭) যে ট্রাইবুনালে দাখিলযোগ্য উক্ত ট্রাইবুনালে দাখিলের জন্য ট্রাইবুনাল যে কোন সময় আবেদন ফেরত প্রদান করিতে পারিবে।
(৮) আইন দ্বারা বারিত হইলে এবং উপ বিধি (১), (২), (৩), (৪) ও (৫) বিধি এর বিধান অনুযায়ী দাখিল করা না হইলে ট্রাইবুনাল আবেদন নাকচ করিতে পারিবে।
তবে বিধান থাকে যে, ট্রাইবুনাল যথাযথ মনে করিলে নাকচের পূর্বে আবেদনকারীকে বিধি মোতাবেক আবেদন দাখিলের সুযোগ প্রদান করিতে পারিবে।
(৯) আইনের দ্বারা বারিত না হইলে উপ-বিধি (৮) এর অধীন নাকচ সত্ত্বেও একই বিষয়ে পুন: নতুন আবেদন করিতে পারিবেন।
(১০) আবেদন নাকচ করার ক্ষেত্রে ট্রাইবুনাল উহার কারণ উল্লেখপূর্বক আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন।
বিধি-৫। বিরোধীপক্ষকে নোটিশ প্রদান এবং লিখিত বিবরণী।-প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল আবেদন গ্রহণ করিলে, বিরোধীপক্ষকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হইয়া অথবা অনুমোদিত প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা রেজিস্ট্রি ডাকে, দুই প্রস্থ লিখিত বক্তব্য দাখিল করার জন্য নোটিশ প্রদান করিবে। নোটিশের সংগে আবেদনকারী কর্তৃক দাখিলকৃত কাগজপত্রের অনুলিপি প্রদান করিতে হইবে। বিরোধীপক্ষের লিখিত বক্তব্যর নিম্নের অংশে এই মর্মে প্রত্যয়ন করিতে হইবে যে, উল্লিখিত তথ্যাদি পরীক্ষিত এবং এই প্রত্যয়ন স্বাক্ষরিত হইবে।
বিধি-৬। আবেদন নিষ্পত্তির পদ্ধতি।-লিখিত বক্তব্য প্রাপ্তির পর ট্রাইবুনাল ইহার এক প্রস্থ রেজিস্ট্রি ডাক মারফত আবেদনকারীর নিকট প্রেরণ করিবে এবং লিখিত বক্তব্য দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখের পর পনের দিন গত হইলে ট্রাইবুনাল শুনানির দিন ধার্য করিবে এবং উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবে। নোটিশ জারির পর কোন পক্ষ হাজির না থাকিলে ট্রাইবুনাল মামলাটি ডিসমিস করিতে পারিবে। নির্ধারিত তারিখে বিরোধীপক্ষ অনুপস্থিত থাকিলে এক তরফ শুনানিগ্রহণ করিতে পারিবে। নির্ধারিত দিনে আবেদনকারী অনুপস্থিত থাকিলে আবেদন ডিসমিস করিতে পারিবে। তবে বিরোধিপক্ষ আবেদনকারীর দাবী স্বীকার করিলে এবং রেকর্ডপত্র দৃষ্টে দাবী গ্রহণযোগ্য হইলে ট্রাইবুনাল প্রতিকার প্রদানপূর্বক আদেশ দিতে পারিবে।
পরবর্তী পর্যায়ে যদি কোন পক্ষ ট্রাইবুনালকে এই মর্মে পরিতুষ্ট করিতে পারেন যে, অনুপস্থিতির স্বপক্ষে যুক্তসংগত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে ট্রাইবুনাল ডিসমিস অথবা এক তরফা ঘোষণার আদেশ বাতিলপূর্বক পুনরায় বিচার আরম্ভ করিতে পারিবে।
বিধি-৭। সিদ্ধান্ত ও আদেশ বাস্তবায়ন। – ট্রাইবুনাল দেওয়ানি কার্য বিধি, ১৯০৮ এ বর্ণিত ডিগ্রি কার্যকর করার পদ্ধতি সিদ্ধান্ত ও আদেশ কার্যকর করিতে পারিবে।
প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিধিমালা, ১৯৮২: ডাউনলোড
উপরোক্ত বিধিমালা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে দেখে নিতে পারেন: প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল ও প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুনাল কি?