ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রণীত ইফতার ও সেহরির সময়সূচি বাংলাদেশের মুসলমানগণ অনুসরণ করে থাকে-প্রতিবছরই ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইফতার ও সেহরী সময়সূচি প্রকাশ করে থাকে- সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪
মুসলমানদের রোজা বলতে কি বুঝায়? – রোজা হলো ইসলামের একটি পবিত্র প্রকল্প, যেটি মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা মাস রমজানের সময় পালন করা হয়। রোজা অর্থ হলো দিনের শুরু থেকে সূর্যাস্তের পর্যন্ত খাবার এবং পানীয় সেবন করা বন্ধ রাখা। এর মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর কাছে অধিক নির্ভরশীলতা ও উত্তম আচরণ প্রদর্শন করে। রোজা বলতে বোঝায় সুবহে সাদেক (ভোরের আলো ফোটার সময়) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, যৌনতা, এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকা। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয়টি।
রোজার সময় মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা সাধারণত দোষারোপ করা কোন কাজ, জানুনী কিংবা সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা হয় না। রোজার মধ্যে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাজকর্ম নিয়মিত চলতে থাকে, কিন্তু দিনের আহার ও পানীয়ের সেবন করা বন্ধ রাখা হয়। রোজার সময় মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া আহার ও পানীয় পরিহার করা হয় এবং এটি ইফতার নামে পরিচিত।
১ লা রমযান চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। সাহরীর শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবৃহি সাদিকের ৩ মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহি সাদিকের ৩ মিনিট পর রাখা হয়েছে। অতএব, সাহরীর সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
ইফতার ও সেহরী সময়সূচি ২০২৪ / Seheri and ifter Calender 2024
ইবাদত ছাড়াও রোজা মানুষের যে শারিরিক পরিবর্তন আনে- রোজার সময় মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম কম হয়ে যায় এবং খাবারের সময় একাধিক খাবার না খেয়ে থাকা দরকার হয় যা ওজন কমানোতে সহায়তা করে। রোজার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত এনার্জি খরচ হয় না, যা শরীরের বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধারের সামান্য সুযোগ দেয়।
সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ ও ঢাকার সময়ের সাথে অন্যান্য জেলার সময়ের পার্থক্য PDF Download
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত ইফতার সূচি – ঢাকার সময় হতে বাড়াতে হবে
- বাগের হাট -০১ মি.
- মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, শেরপুর-০২ মি.
- মাগুরা, খুলনা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর- ০৩ মি.
- রাজবাড়ী, যশোর, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ- ০৪মি.
- কুষ্টিয়া, পাবনা, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনির হাট- ০৫ মি.
- নাটোর চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট-০৬ মি.
- মেহেরপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী-০৭ মি.
- দিনাজপুর- ০৮ মি.
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও- ০৯ মি.
ঢাকা সাথে কোন জেলার সময় বাড়াতে বা কমাতে হবে?
হ্যাঁ। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলার ক্ষেত্রে সময় বাড়াতে হবে এবং দক্ষিন বঙ্গের কিছু জেলার সময়ের সাথে সময় যোগ করতে হবে। ২৮.০৬.১৯৯৩ খ্রি. তারিখে প্রনীত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী ১৪৪৪ হিজরী (২০২৩ খ্রি.) সাহরী ও ইফতার এর ক্ষেত্রে ঢাকার সময়ের সাথে অন্যান্য জেলার সময়ের পার্থক্য দেখে নিন। কিছু জেলার ক্ষেত্রে সেহরী ও ইফতাররের ঢাকার সময় সূচির সাথে মিনিট যোগ করতে হবে এবং কিছু জেলার ক্ষেত্রে সময় কমাতে হবে।