সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে কর্মকর্তাদের একই পদে সাধারণত ১০ বছর কর্মরত থাকতে হয় না। বিপদ হচ্ছে কর্মচারীদের, কিছু আছে ব্লক পোস্ট, কিছু পদে সময়মতো পদোন্নতি হতে বিলম্ব হয় ২০ বছরও।
তাই নিচে প্রদত্ত আদেশ অনুসারে কর্মচারীগণ শর্তসাপেক্ষে উচ্চতর গ্রেড নিয়ে নিচ্ছে। কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলছি, নিচের আদেশ ও প্রমানক যুক্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে শর্তসাপেক্ষে নিয়ে নিন উচ্চতর গ্রেড। রায়ের আদেশ কর্মচারীদের পক্ষেই থাকবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
সিজিডিএফ কার্যালয় কর্তৃক উল্লেখ করা হয়েছে যে, জনাব আমজাদ হোসেন, এসএএস অধীক্ষক (চ: দা:) এবং জনাব মুহাম্মদ রুহুল আমিন, এসএএস অধীক্ষক (চ:দা:) ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট ২০০৪ সালে অডিটর পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ৮ বছর পূতিতে ২০১২ সালে ১ম টাইম স্কেল এবং পরবর্তীতে জাতীয় বেতনস্কেল/২০১৫ এর ৭(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একই পদে ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে ৯ম গ্রেড প্রাপ্ত হয়েছেন। উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ -৭ (১-৪) এর ব্যাখ্যা প্রদান করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২১/০৯/২০১৬ খ্রি: তারিখে পরিপত্র নং-০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০২.১৬ (অংশ-১)-২৩২ জারী হলে সে অনুসারে তাদের উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে উল্লিখিত কর্মকর্তাদ্বয় সমেত আরও অনেক কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রীট মামলা দায়ের করা হলে রীটের শুনানী অন্তে তাদের পক্ষে রুল জারী করা হয়।
এছাড়া জনৈক ইব্রাহিম আলম ভূঁইয়া এবং অন্যান্য আরো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিগন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আরো রীট পিটিশন দায়ের করেন। এ রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট থেকে ১৪/২/২০১৭ খ্রি: তারিখে রায় প্রদান করা হয়। সে রায়ে অর্থ বিভাগের ২১/০৯/২০১৬ খ্রি: তারিখের পরিপত্রটি সংবিধান পরিপন্থী বিবেচনায় এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই মর্মে উল্লেখপূর্বক এ জাজমেন্ট দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
হাইকোর্টের উক্ত রায়ের বিপরীতে অর্থ বিভাগ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যথাসময়ে কোন লিভ টু আপীল দায়ের করা হয়নি বিধায় তা দায়েরের সময়সীমা উর্ত্তীণ হয়ে যায়। এ অবস্থায় বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে হাইকোর্ট থেকে অর্থ বিভাগ, সিএন্ডএজি অফিস ও হাইকোর্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর কমিটি গঠিত হয়। কমিটি বিগত ১৮/০৪/২০১৭ খ্রি: তারিখে সভার আয়োজন করেন। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:-
(ক) চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৭ এর বিধান অনুযায়ী আবেদনকারী কোন অফিসারগণ বর্তমান পদে দুই বা ততোধিক সিলেকশন গ্রেড স্কেল বা উচ্চতর স্কেল বা টাইম স্কেল (যে নামেই অভিহিত হোক) পেয়ে থাকলে তারা এ সুবিধা পাবেন না। এছাড়া, একই পদে ১০ (দশ) বছরের অধিককাল সন্তোষজনকভাবে চাকরি পূর্তি হলেই কেবল বর্ণিত উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হইবেন। যদি কোন কর্মকর্তা বর্ণিত সময়ে চাকরিকাল সন্তোষজনক না হয় তবে তিনি বর্ণিত উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হবেন না।
(খ) চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৭ এর বিধান অনুযায়ী আবেদনকারী কোন অফিসারগণের মধ্যে যাদের প্রাপ্যতা আছে ভবিষ্যতে সুপ্রীম কোর্টে আপীল বিভাগ হতে রীট পিটিশন মামলা নং ১৩৩০০/২০১৬ এর বিপরীত কোন সিদ্ধান্ত হলে উত্তোলিত/আহরিত অর্থ ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকিবেন এরূপ শর্তে তাদেরকে উচ্চতর গ্রেডে বেতন স্কেল প্রদানের সুপারিশ করা যেতে পারে।
সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত উক্ত সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্টার (প্রশাসন), অতিরিক্ত রেজিস্টার (সার্বিক), রেজিস্ট্রার এবং অর্থ বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব ও সিএন্ডএজি কার্যালয়ের উপ-মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) মহোদয় একমত পোষন করে স্বাক্ষর করেন। উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বেঞ্চ অফিসারদেরকে তাদের চাকুরী ১০ (দশ) বৎসর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা হয়েছে।
উপরোল্লিখিত বর্ণনার আলোকে বর্ণিত বিষয়ে সিজিডিএফ কার্যালয় কর্তক নিম্নরূপ মতামত প্রদানপূর্বক এ কার্যালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে:-
“অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২১/০৯/২০১৬ খ্রি: তারিখের পরিপত্রটি উচ্চ আদালত থেকে যেহেতু অকার্যকর করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক উচ্চ আদালয় এবং অর্থ বিভাগ ও সিএন্ডএজি অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যেহেতু জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৭(১) অনুসারে ১০ (দশ) বৎসর সন্তোষজনক চাকরিপূর্তিতে ১১ তম বৎসর উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সুবিধা বহাল রাখার সিদ্ধান্তে সর্বসম্মতিক্রমে একমত পোষন করা হয়েছে সেহেতু উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগের ২১/৯/২০১৬ খ্রি: তারিখের পরিপত্রের কার্যকারিতা না থাকায় উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই ধরনের দাবী বিবেচনায় বর্ণিত দু’জন কর্মকর্তার জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৭ (১) অনুসারে গৃহীত উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা বহাল এবং সে সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এমতাবস্থায় উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে সিজিডিএফ কার্যালয়ের উক্ত মতামতের সাথে এ কার্যালয় একমত পোষন করে।
সিএজি মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে।
রওনক তাসলিমা
অতি: উপ-মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি)
ফোন: ৮৩২২০৬৯।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ৭ (১ হতে ৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে অডিটর পদে গৃহীত ১০ (দশ) বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সুবিধার প্রাপ্যতার সম্মতি পত্র: ডাউনলোড
আদালতের রায় ও উপরোক্ত আদেশ বলে অনেকেই নিচ্ছে উচ্চতর গ্রেড প্রমানক হিসাবে একটি আদেশের কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হলো: ডাউনলোড
প্রশ্নোত্তর পর্ব:
- প্রশ্ন: ২১/৯/২০১৬ খ্রি: তারিখের কোন পরিপত্রের কার্যকারিতা বাতিল করা হয়েছে?
- উত্তর: পে স্কেলের স্পষ্টীকরণ আদেশ: ডাউনলোড
সর্বশেষ ব্যক্তিগত মতামত, নির্দ্বিধায়, আপনি উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হলে শর্তসাপেক্ষে মুসলেকা দিয়ে নিয়ে নিতে পারেন। ধন্যবাদ
আরও দেখুন:
- উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য অগ্রিম বর্ধিত বেতন প্রাপ্তির আদেশ।
- উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে বেতন কমে যেভাবে।
- ১০/১৬ বৎসর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়ন স্থগিত, অদ্যবধি বলবৎ।
- ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পেতে ডিপিসি বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অফিস আদেশ লাগবে।
- উচ্চতর গ্রেড স্পষ্টিকরণ পে স্কেল ২০১৫
- চাকরি ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড (৪র্থ গ্রেড) মঞ্জুরের বিষয়ে মতামত।
- ব্যাটালিয়ন আনসার, ল্যান্স নায়েক ও নায়েক পদের বেতনগ্রেড উন্নীতকরণ।
- প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদটি এখন দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ করা হয়েছে।
- কানুনগো/ উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণ প্রদান করা হয়েছে (ছকসহ)
- উন্নীত স্কেলে টাইমস্কেল গণনা করে মূল বেতন নির্ধারণ হবে।
- ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতার সম্মতিপত্র।
- উন্নীত স্কেলে সমমানের ধাপ না থাকলে নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ।
- যে আদেশ বলে উচ্চতর গ্রেড নেয়া যেতে পারে।
- উচ্চতর গ্রেড পেয়ে জুনিয়র সিনিয়র এর থেকে বেশি বেতন পাচ্ছে।
- কর্মচারী উচ্চতর স্কেল পেয়ে ৯ম গ্রেডে বেতন পেলেও যাতায়াত ও টিফিন ভাতা পাবেন।
- বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরী এখনও হচ্ছে।
- কৃষি ডিপ্লোমাধারী উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এখন ১০তম গ্রেডে উন্নীত।
- বকেয়া টাইম স্কেল এখনও মঞ্জুর করা হচ্ছে।
- গাড়ি চালকগণ এখনও উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন।
- ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড মঞ্জুর হচ্ছে।
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা প্রশাসন শাখা বা হিসাব শাখায় কাজ করেন তারাই কেবল চাকরি সম্পর্কিত বিধি বিধানগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন। অবশিষ্ট ৮০% কর্মকর্তা/ কর্মচারীই সরকারি চাকরির বিধানাবলী, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, হালনাগাদ পেনশন রুলস, ভ্রমণ বিধি ও প্রাপ্যতা , উৎসব ভাতার প্রাপ্যতা, সরকারি কর্মচারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা বা চিকিৎসা শেষে ব্যয় উত্তোলন, বিভিন্ন ভাতাদির প্রাপ্যতা, বিভিন্ন ধরনের অগ্রিম সুবিধা গ্রহণ, নিয়োগ ও বদলি নীতিমালা, বিভিন্ন ধরনের ছুটি কিভাবে নিতে হয়, বাসা বরাদ্দ বা বাড়ি ভাড়া প্রাপ্যতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা বা রেশন সুবিধা ইত্যাদি সর্ম্পকে ভাল ধারনা রাখেন না। এই ওয়েবসাইটটিতে উপরোক্ত বিষয়গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ কর্মচারী যাতে সহজেই ব্যাপার গুলো বুঝতে পারে এবং যদি কোন বিধি বুঝতে সমস্যা হয় তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ যদি কোন বিধি বা নীতিমালা বুঝতে অসমর্থ হয় তবে আমাদের ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ এবং ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিটি পোস্টের রেফারন্স পোস্টের শেষে “ডাউনলোড” নামের যে লিংক দেওয়া আছে সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ডাউনলোড ফাইল Google Drive or Box.com এ স্টোর করা আছে। কারও যদি ফাইলটি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে আপনি আপনার নিজের gmail Account এ Login করে নিন। লগইন করার পর ঠিকই ফাইলটি ডাউনলোড হবে। তবুও যদি আপনি রেফারেন্স ফাইল ডাউনলোডে সমস্যায় পড়ে তবে আপনি এডমিনকে alaminmia.tangail@gmail.com এ ফাইলের নাম দিয়ে নক করুন। এডমিন আপনার ইমেইলের উত্তর দিবে।
কিছু কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কাছে সরকারি চাকরির বিধি বিধানের কিছু বইও হয়তো সংগ্রহে আছে কিন্তু তা মূলত সংগ্রহেই মাত্র বের করে পড়ার সময় বা সুযোগ নেই। কারও সময় বা সুযোগ থাকলেও বের করে পড়া পর্যন্ত হয় না। আবার দেখা যায় যে, অসংখ্য বইয়ের মধ্যে একটি সামারি বই চাকরির বিধানাবলীই শুধুমাত্র সংগ্রহ রয়েছে। সরকারি চাকরি সংক্রান্ত অসংখ্যা বই রয়েছে যেগুলো আবার প্রতি বছরই আপডেট হয়ে থাকে আপনি যদি শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তবে আপনি সকল আপডেট তথ্যই পেয়ে যাবেন। ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২ টি টাইমস্কেল পেয়েছেন, এরপর ২ য় শ্রেনী তে আপগ্রেড অটো হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কতদিন পরপাবে। একই পদে আছেন, ২০১২ তে।
পোস্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ডাউনলোড লিংক কোনটিই কাজে আসছেনা ।
মোস্তফা নামে একটা কমেন্ট করেছিলাম উত্তরটা পেলে উপকৃত হতাম।
অনুগ্রহ করে সম্পূর্ণ কমেন্টটি পুনরায় করুন। ব্লগে প্রতিটি কমেন্টের জবাব দেওয়া হয়।
আসসালামু আলাইকুম আমি একজন পুলিশ কর্মচারী বর্তমানে আমার চাকুরী ১৭ বছর চলছে আমি ২০১৯ সালে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হই কিন্তু উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতে অনেক দেরি করে ফেলে এরই মধ্যে দুর্ঘটনা বসত ২০২০ সালে একটি সমস্যার কারণে আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে, আমি উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতে বললে অফিস থেকে আমাকে বলা হয় আপনার বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আপনার উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতে পারছিনা,এমতাবস্থায় আমার বিভাগীয় মামলার নিস্পত্তি হয়,এবং আমার বিরুদ্ধে গুরুদণ্ড হিসাবে আমার আগামীতে বার্ষিক বর্ধিত বেতন তিন বছরের জন্য স্থগিত করা হয় এমতাবস্থায় ২০২২ সালে আমার উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতে গিয়ে অনলাইনে আমার বেসিক যেখানে আছে ১৬৭৬০/- টাকা উচ্চতর গ্রেডের কাজ করে আমার বেসিক হিসেবে হওয়ার কথা ১৭৫১০/- টাকা কিন্তু অনলাইনে উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতে গিয়ে বেসিক কম দেখাচ্ছে বলতে ১৫৮৭০/- টাকা দেখাচ্ছে এরকমটি হওয়ার কারণটা কি জানতে চাচ্ছি,আর এমতাবস্হায় কিভাবে আমার উচ্চতর গ্রেডের কাজটি করবে জানতে চাচ্ছি এবং আমার উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতে কোন সমস্যা আছে কিনা আর থাকলেও কিভাবে তা সমাধান করবো জানালে উপকৃত হতাম, আসসালামু আলাইকুম।
উত্তর দেওয়া হয়েছে। নিম্নধাপে বেতন নির্ধারণ হওয়ার কারণে বেতন কমে যাচ্ছে। এটির কোন উপায় নেই। এখানে দেখুন-https://bdservicerules.info/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3/
উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার পর পরবর্তীতে যদি ব্যাচমেটদের থেকে বেতন কমে যায় বা বেসিক কমে যায় সেক্ষেত্রে কি উচ্চতর গ্রেডে নেওয়া ভাল/ নাকি না নেওয়াটা ভাল,উচ্চতর গ্রেড লাগানোর পর যদি বেসিক কিছুটা কম থাকে আর তা যদি পিপি দিয়ে পূরণ করে দেওয়া হয় তাহলে কি পরবর্তী বছরে পিপি ছাড়া ব্যাচমেটদের সমমানের বেসিক হবে নাকি ব্যাচমেটদের থেকে আমি জুনিয়রই থেকে যাব,এই উচ্চতর গ্রেড বা বেসিক সমতা নিয়ে সুস্পষ্টভাবে একটা ধারণা দিলে উপকৃত হতাম।
তবুও নিবেন পুন: পে স্কেল হলেই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাই নিয়ে রাখুন বেতন কমে গেলেও।