সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ ১৬ মোতাবেক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করা যাবে। সরকারের আর্থিক ক্ষতির অর্থ আদায়ের দন্ডাদেশের বিরুদ্ধেও আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে এবং ২২ নং অনুচ্ছেদ বিধিতে পুনর্বিবেচনা এবং ২৩ নং বিধিতে পুননিরীক্ষণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

১৬। আদেশের বিরুদ্ধে আপিল।-

(১) কোনো সরকারি কর্মচারী এই উদ্দেশ্যে সরকারের সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট, অথবা যে ক্ষেত্রে এইরূপ কোনো কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত নাই, সেইক্ষেত্রে আদেশদানকারী কর্তৃপক্ষের পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট, অথবা যে ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোনো কর্তৃপক্ষ আদেশ দান করিয়াছেন, সেইক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্সের নিকট, নিম্নবর্ণিত যে কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন, যথা:

ক) তাহার উপর যে কোনো দন্ড আরোপের আদেশের বিরুদ্ধে;

খ) চুক্তি ভিত্তিতে নিযুক্ত হইয়া চুক্তির শর্তানুসারে চাকুরীর অবসানের সময় পর্যন্ত একনাগারে ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিককাল চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিলে, উক্ত ক্ষেত্রেচাকুরীর অবসান ঘটানোর আদেশের বিরুদ্ধে;

গ) তাহার বেতন, ভাতাদি, পেনশন বা চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলি যাহা চাকুরীর বিধি বা চুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাহার স্বার্থের প্রতিকূলে পরিবর্তন, রদবদল বা অগ্রাহ্য করিবার আদেশের বিরুদ্ধে; অথবা

ঘ) চাকুরীর যে বিধি বা চুক্কিত দ্বারা তাহার বেতন, ভাতাদি, পেনশন বা চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলি নিয়ন্ত্রিত হয় উহার কোনো বিধানে তাহার স্বার্থের প্রতিকূলে ব্যাখ্যা সংবলিত আদেশের বিরুদ্ধে।

সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোনো কর্তৃপক্ষ কোনরূপ দন্ড আরোপ করিতে পারে না। যাহার কারণে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বা কর্মচারী নিকট আপিল দায়ের করিতে হইবে।

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 2985 posts and counting. See all posts by admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *