দন্ড হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান।
সরকারি চাকরি যেমন সহজ ও তেমনি জটিলও বটে। সরকারি চাকরিকালে বেশ কিছু অপরাধ খুবই কোঠার ভাবে দেখা হয়। এসব অপরাধ করলে চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কর্তৃপক্ষ চাইলে বাধ্যতামূলক অবসরের শাস্তিতে দন্ডিত করতে পারেন।
সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ মোতাবেক শৃঙ্খলামূলক কারণে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক দন্ড হিসাবে যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়, উহাকেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর বলে। এরূপ শাস্তিমূলক অবসর সংক্রান্ত বিধানসমূহ নিম্নরূপ-
(১) বাধ্যতামূলক অবসর গুরুদন্ড হিসাবে গণ্য। অদক্ষতা, অসদাচারণ, পালায়ন, দূনীর্তিপরায়ণ ও নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপযোগ্য।
(২) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোন কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কোন কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারেন না।
(৩) কর্ম কমিশনের আওতাধীন কর্মচারীদের (পূর্বতন ১ম ও ২য় শ্রেণীর কর্মচারী) বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কর্মকমিশনের পরামর্শগ্রহণ বাধ্যতামূলক। তবে পরামর্শকরণ অনুচ্ছেদ- ৭ অনুসারে প্রতিরক্ষার সহিত সংশ্লিষ্ট পদে নিযুক্ত বেসামরিক কর্মচারী এবং এনএস আই এর কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কর্মকমিশনের পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮: ডাউনলোড
মহোদয়, ভ্রমণ শেষে মাসিক ভ্রমণ ভাতা বিল অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট বিল কত দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে। এ সংক্রান্ত ভ্রমণভাতা বিধি ১৯৮৮ নামে কোন বিধিমালা আছে কি? যদি থাকে অনুগ্রহ করে তা পাওয়া যাবে কি।
ভ্রমণ শেষেই প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অফিস আদেশেই উল্লেখ থাকে। ১৮ মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। এর মধ্যে যে কোন সময় ভ্রমণ বিল দাখিল করতে পারেন।