বর্তমান বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতিশীল হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানিনর সংখ্যা ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের চলমান ঝুকিঁ বিবেচনায় দেশের যে কোন ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
সমন্বয় অধিশাখা
www.mora.gov.bd
স্মারক নম্বর: ১৬.০০.০০০০.০০১.২১.০০৩.২০২০.১৯৭; তারিখ: ১৩ জন, ২০২০
বিষয়: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে লাল জোন হিসেবে ঘোষিত এলাকাসমূহের সর্বসাধারণকে ইবাদত/উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের নির্দেশ।
বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যাায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে ইবাদত/ উপাসনার বিষয়ে নিম্নোক্ত নির্দেশ প্রদান করা হলো:
১. ভয়ানক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতী, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীয় অন্য সকল মুসুল্লীকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামায আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামায আদায়ের নির্দেশ দেখা যাচ্ছে।
২. মসজিদে জামায়ত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে অনধিক ৫ জন এবং জুময়ার জামাতে অনধিত ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোন মুসল্লী মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৩. একই সাথে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেখুন: ডাউনলোড