আসুন নতুন নিয়মে আয়কর গণনা করে প্রদেয় কর নির্ণয় করে দেখে নিই। আয়কর প্রদানের সর্বনিম্ন আয়সীমা বাড়ানোর ফলে কিছু নিম্নবেতনভোগী কর্মচারী আয়কর প্রদানের হাত থেকে রেহাই পাবে। তবে নতুন নিয়মে আয়কর প্রদানের পরিমাণ বেশ কমে যাওয়ায় এই জুন মাস থেকে বেতন বিল সাবমিটের সময় আয়কর কর্তন কমাতে হবে। সামনের ২০২০-২০২১ আয়বর্ষে বেতন ও ভাতা হতে কার কি পরিমাণ আয়কর আসবে তার একটা সংক্ষিপ্ত হিসাব করে নেয়া যাক।
আয়কর গণনা:
যদি মূলবেতন ২১,৪৫০/- টাকা হয় তাহলে ১২ মাসের মূল বেতন ও ২ টি উৎসবভাতার উপর করযোগ্য আয় (অন্যান্য করযোগ্য আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি): ২১,৪৫০*১৪=৩,০০,৩০০/-
করমুক্ত আয় বাদে করযোগ্য আয়: (৩,০০,৩০০-৩,০০,০০০)=৩০০/- (মহিলা করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩,৫০,০০০/- টাকা)
প্রদেয় আয়কর:
১ম ১,০০,০০ টাকার ৫% = ১৫/-
পরবর্তী ০০ টাকার উপর ১০%= ০০/-
মোট প্রদেয় আয়কর (ক)= (১৫+০০)=০০/-
কর রেয়াত গণনা :
করযোগ্য আয়ের ২৫% বিনিয়োগ ধরে (প্রচলিত এবং এর বেশী বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যাবে না) এর ১৫% হারে। ৩,০০,৩০০/- এর ২৫% = ৭৫,০৭৫/-
কর রেয়াত (খ) : ৭৫,০৭৫/- এর ১৫% = ১১,২৬১/-।
নিট প্রদেয় আয়কর (ক)-(খ): (১৫-১১,২৬১) = ১১২৪৬/-
প্রতি মাসের বেতন বিল হতে কর্তন= ৩,০০০÷১২ = ২৫০/- টাকা
যদি আয়কর রেয়াত, প্রদেয় আয়করের বেশী হওয়ায় ফলাফল মাইনাস হয়েছে, সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কর হিসেবে ৩০০০ টাকা অর্থাৎ মাসে ২৫০ টাকা কর্তন করলেই চলবে।