জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল মোতাবেক নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দায়িত্বে বন্টন করা হয়ে থাকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, এর ৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোগগ্রহণকারী কর্মকর্তা অথাৎ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের উদ্দেশ্যে রির্টানিং অফিসার কর্তৃক একটি প্যানেল প্রস্তুত করার বিধান রয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার তাঁর অধীনস্থ নির্বাচনী এলাকা বা জেলায় স্থাপিত সকল সরকারি অথবা বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানদের নিকট হতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের উদ্দেশ্যে যে যে শ্রেনী ও গ্রেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রয়োজন তার প্যানেল প্রস্তুতের জন্য লিখিত নির্দেশ দেন।
প্রিজাইডিং অফিসার:
সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত /আধা- স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেনীর /প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা; কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষক, ব্যাংক বীমা, কর্পোরেশন, উচ্চ বিদ্যালয় নির্ভরযোগ্য যে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার:
সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত /আধা- স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা, কলেজ, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক, বীমা ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক/ প্রধান শিক্ষকদের বানানো হয়।
পোলিং অফিসার:
সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত /আধা- স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের, কলেজ, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক, বীমা ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
পোলিং অফিসারদের কাজই থাকে ভোটার তালিকা দেখে ভোট দিতে আসা ভোটারদের শনাক্ত করা। এসময় উচ্চস্বরে ভোট দিতে আসা ব্যক্তির নাম বলেন পোলিং অফিসার। যদি কোন পোলিং এজেন্ট আপত্তি না করেন তবে পোলিং অফিসার ওই ব্যক্তির হাতে অমোচনীয় কালি দিয়ে দাগ দিয়ে দেন। যাতে করে সহজে ভোট দাতাকারীদের চিহ্নিত করা যায়।
নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রে সরকারি কর্মচারীরা কে কি দায়িত্ব পায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে আদেশ দেখুন: ডাউনলোড