সঞ্চয়পত্র খবর । ক্রয় সীমা । নগদায়ন

সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৫ । ১ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনলে ০৩ মাস অন্তর অন্তর ২৯২১.২৫ টাকা পাওয়া যাবে?

সঞ্চয়পত্র হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চিত অর্থের উপর মুনাফা পাওয়ার একটি উপায়। এটি সাধারণত সরকার বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। সঞ্চয়পত্র সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য থাকে এবং মেয়াদ শেষে সঞ্চিত অর্থের সাথে মুনাফা পরিশোধ করা হয়–সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৫

সঞ্চয়পত্র কেন ব্যবহার করা হয়? সঞ্চয়পত্র ব্যবহার করে আপনি আপনার অর্থ সহজেই সঞ্চয় করতে পারেন এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি তহবিল তৈরি করতে পারেন। সঞ্চয়পত্র একটি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের উপায়। এতে আপনি আপনার অর্থ নিরাপদে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট হারে মুনাফা পেতে পারেন।সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে আপনি একটি আর্থিক নিরাপত্তা তৈরি করতে পারেন, যা আপনাকে অপ্রত্যাশিত খরচ বা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করতে পারে। সঞ্চয়পত্র সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ সংগ্রহ এবং অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক।

কয় ধরনের সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়? সঞ্চয়পত্র বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন: ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয় হিসাব একটি তরল বিনিয়োগ যা সহজে অর্থ সঞ্চয় ও ব্যবহারের সুবিধা দেয়। সঞ্চয়পত্র জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে কেনা ও নগদীকরণ করা যায়।

সঞ্চয়পত্র কিভাবে কিনতে হয়? সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে, আপনাকে নিম্নলিখিত স্থানে যেতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিস। নগদ টাকা বা চেকের মাধ্যমে আপনি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এছাড়াও, ক্রেতা এবং নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি প্রয়োজন। জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় করা যায়। নগদ টাকা এবং চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।

সবচেয়ে বেশি লাভজনক হচ্ছে পেনশনার সঞ্চয়পত্র / পুরুষদের জন্য ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে লাখে ২৯২১.২৫ টাকা প্রতি তিন মাস পর পর পাওয়া যাবে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে? ক্রেতা ও নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি। আবেদনপত্র: কিছু সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে আবেদনপত্র পূরণ করতে হতে পারে, যেমনটা বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে। নগদায়ন: মেয়াদপূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের প্রয়োজন হলে, যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হয়েছে, সেই অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। কেনার নিয়ম: সঞ্চয়পত্র কেনার সময় কিছু নিয়মকানুন আছে, যা প্রতিটি সঞ্চয় ব্যুরো, ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসে পাওয়া যায়।

Caption: Sanchayapatro Scheme 2025

সঞ্চয়পত্র বিভিন্ন প্রকারের হয় এবং এদের ক্রয়মূল্যও ভিন্ন। পরিবার সঞ্চয়পত্র সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা, পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা, এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকায় কেনা যায়।

  1. পরিবার সঞ্চয়পত্র: ক্রয় মূল্য: সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা। অন্যান্য মূল্যমান: ২০,০০০ টাকা, ৫০,০০০ টাকা, ১,০০,০০০ টাকা, ২,০০,০০০ টাকা, ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।
  2. পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: ক্রয় মূল্য: সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা। অন্যান্য মূল্যমান: ১০,০০০ টাকা, ২৫,০০০ টাকা, ৫০,০০০ টাকা, ১,০০,০০০ টাকা, ৫,০০,০০০ টাকা, ১০,০০,০০০ টাকা, ২৫,০০,০০০ টাকা।
  3. তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: ক্রয় মূল্য: সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা।
  4. পেনশনার সঞ্চয়পত্র: ক্রয় মূল্য: সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা। সঞ্চয় স্কিম নির্বিশেষে একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যায়, Portal.gov.bd অনুযায়ী.

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কি আলাদা কোন স্কিম আছে?

হ্যাঁ। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানরা সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। ৫০ হাজার টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে চেকের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ।বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিগণ।সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ. প্যারেন্টাল পেনশনের আওতায় পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তানগণ।
বিশেষ সুবিধা: এই সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র উল্লিখিত ক্যাটাগরির ব্যক্তিরাই কিনতে পারেন, সাধারণ মানুষ নয়।অন্যান্য সঞ্চয়পত্র: অন্যান্য সঞ্চয়পত্র যেমন – পরিবার সঞ্চয়পত্র, সাধারণ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। 
   

১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায়?

১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে, ব্যাংক সাধারণত সুদ দেয়। এই সুদের পরিমাণ ব্যাংক ভেদে এবং হিসাবের ধরনভেদে বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (যেমন, এক বছর, পাঁচ বছর) টাকা জমা রাখেন (ফিক্সড ডিপোজিট), তবে আপনি একটি নির্দিষ্ট সুদের হার পাবেন, যা সাধারণত ৬% থেকে ১০% পর্যন্ত হতে পারে। এই সুদের হিসাব করে দেখা যায় যে, আপনি প্রতি মাসে আপনার মূল টাকার উপর প্রায় ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন। যদি আপনি একটি সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখেন, তবে সুদের হার সাধারণত কম থাকে, যা ১% থেকে ৩% পর্যন্ত হতে পারে। ক্ষেত্রে, আপনি প্রতি মাসে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন। আপনি যদি মাসিক আয় পেতে চান, তাহলে আপনি একটি মাসিক আয় প্রকল্পের (MIS) মাধ্যমেও টাকা জমা রাখতে পারেন। এই প্রকল্পের অধীনে, ব্যাংক আপনাকে আপনার জমা করা টাকার উপর একটি নির্দিষ্ট সুদের হার দেবে, যা সাধারণত ৩% থেকে ৫% পর্যন্ত হতে পারে। এই সুদ প্রতি মাসে আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে। অতএব, ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা সুদের হার এবং আপনার হিসাবের ধরনের উপর নির্ভর করে। তবে সঞ্চয়পত্র মাথায় রাখতে পারেন।

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার নতুন হার ২০২৫ । ১ লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে নিট মুনাফা ৯৮৯ টাকা?

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে alaminmia.tangail@gmail.com ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *