GPF Profit Calculation above 30 Lacs – ধাপে ধাপে মুনাফা নির্ণয় করা হয়– স্ল্যাব ভিত্তিক জিপিএফ মুনাফার নির্ণয় করার নিয়ম ২০২৩
জিপিএফ মুনাফা হার ২০২৩-২৪ – এ বছর জিপিএফ এর মুনাফার হার স্ল্যাব ভিত্তিক করা হয়েছে। এ জন্য কারও স্থিতি ৩০ লাখ এর বেশি হলেও তিনি ১ম ১৫ লাখ ১৩ % এবং ২য় ১৫ লাখ ১২% হারে এবং অবশিষ্ট অর্থের জন্য ১১% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবেন। শুধু তাই নয় গত বছর প্রতিমাসে জমাকৃত চাঁদার উপরও ১১% হারে মুনাফা হিসাব করা হয়েছে। স্ল্যাব ভিত্তিক জিপিএফ মুনাফার নির্ণয় করার নিয়ম ২০২৩
প্রজ্ঞাপনে কি বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে? প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করেই বলা আছে প্রারম্ভিক জেরের ক্ষেত্রে ১৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১৩% মুনাফা এবং ১৫-৩০ লক্ষ পর্যন্ত ১২% মুনাফা এবং ৩০ লক্ষের উপরে হলে ১১% প্রযোজ্য এবং ঠিক একইভাবে যদি আপনার প্রারম্ভিক জের ৩১ লক্ষ টাকা হয় তবে আপনার ক্রমপুঞ্জিভূত অর্থের উপর অর্থাৎ জমাকৃত চাঁদার উপর ১১% হারে মুনাফা প্রযোজ্য হইবে।
নিম্ন চাঁদা জমাকরণ বা ছোট বিনিয়োগকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তাগণের অর্থাৎ যাদের জমা ১৫ লক্ষ টাকার নিচে তাদের ক্ষেত্রে কোন মুনাফার তারতম্য হয়নি। ছোট মুনাফা ভোগীর ক্ষেত্রে ১৩% মুনাফাই কার্যকর রয়েছে। তাই আপনার প্রারম্ভিক জমা যদি ১৫ লক্ষ টাকার নিচে বা ৫-১০ লক্ষ টাকার মধ্যে যাদের জমা বা প্রারম্ভিক জমা বা চাঁদা জমা হচ্ছে তাদের মুনাফা ১৩% প্রযোজ্য হইবে। GPF Calculation Excel Sheet । সূত্রের মাধ্যমে জিপিএফ হিসাব কার্যকর নয়।
জিপিএফ মুনাফা কিভাবে নির্ধারণ হয়েছে / ১১% মুনাফা কি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরই কার্যকর হয়েছে?
হ্যাঁ, প্রজ্ঞাপন অনুসারে গত অর্থ বছর বা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জিপিএফ স্লিপ দেখলে বুঝা যায় যে, এটি কার্যকর হয়েছে।
Caption: GPF Profit Calculation 2023 / GPF interest Calculation process 2023
জিপিএফ স্লাবভিত্তিক মুনাফা নির্ণয় পদ্ধতি ২০২৩
- ১৫ লক্ষ টাকার উপর ১৩% হার প্রযোজ্য হইবে সে হিসাব অনুযায়ী ১৫,০০,০০০*১৩% = ১,৯৫,০০০ টাকা।
- ১৫ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১২% হারে ১৫,০০,০০০*১২% = ১,৮০,০০০ টাকা।
- ৪২ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ৩০ লক্ষ তদুর্ধ্ব পর্যন্ত ১১% হারে ৪২,০০,০০০*১১% = ৪,৬২,০০০ টাকা।
- ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা অর্থাৎ ক্রম স্থিতির উপর ১১% হারে ২,১৩,০০০*০.৮৪৫ = ১৫,০৪১ টাকা।
জিপিএফ এ চাঁদা জমা করা কেন ঐচ্ছিক রাখা হয়নি?
জিপিএফ চাঁদা বাধ্যতামূলক– জি চাকরির দু’বছর পূর্ণ হলে জিপিএফ চাঁদা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন কর্মচারী বা কর্মকর্তা যদি নাও চান তবে চাঁদা জমা করতে হবে। চাঁদা জমাকরণ বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে প্রথম কারণ হচ্ছে আর্থিক নিরাপত্তা অংশ। কর্মচারী বা কর্মকর্তা যাতে আর্থিক ভাবে দেওলিয়া না হয়, তার অতি প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্য একটি তহবিল হতে পায় সেজন্যই এটি করা হয়েছে। কোন কর্মচারী চাইলে যে কোন সময় তার জিপিএফ স্লিপে জমার ৭৫% পর্যন্ত অর্থ ফেরতযোগ্য অগ্রিম হিসেবে তুলতে পারেন। ১২-৪৮ কিস্তিতে নিজের জমাকৃত টাকা হতে গৃহীত উত্তোলনের পরিশোধ নির্ধারণ করে পুন:জমা করতে হয়। নিজের টাকা নিজে তুলেও ৫২ বছর পূর্ণ না হলেও আপনাকে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। সর্বোচ্চ ৩টি অগ্রিমের কিস্তি চলমান রাখা যাবে। বিশেষ কারণ বশত ৪টি কিস্তিতেও চলমান রাখা যাবে। মোট কথা আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ এবং নিরাপদ রাখার জন্যই এমন বিধান করা হয়। তাছাড়া অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা করে ১৩% মুনাফা পাওয়া সম্ভব না যা এই রাষ্ট্রীয় তহবিল অর্থাৎ জিপিএফ থেকে পাওয়া যায়। জিপিএফ কর্তনের হার । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সাবস্ক্রিপশন নির্ধারণ ২০২৩
বি:দ্র: অনেকেই মনে করছেন যে, ৩০ লক্ষ টাকা অতিক্রম করলে পুরো টাকার উপরই মুনাফা ১১% হবে। বিষয়টি এমন নয়। স্ল্যাব বা ১৫ লক্ষ, ৩০ লক্ষ এবং তদুর্ধ্ব এই তিনটি ধাপে ১৩%, ১২% এবং ১১% মুনাফা হিসাব হবে।