পেনশনের পূর্বের সকল নিয়মই প্রযোজ্য তবে সরকার সংশোধনীগুলো অন্তর্ভূক্ত করে পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ জারী করেছে। পেনশন আদেশ ২০২০ ভালভাবে পড়লে পেনশনের সকল নতুন নিয়ম ও বিধি বিধান জানতে পারবেন। পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০০৯ এরপর সর্বশেষ পেনশন আদেশ ২০২০ জারি করা হয় নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখ করা হল-পেনশনের নতুন নিয়ম ২০২৪
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ
প্রবিধি অনুবিভাগ
প্রবিধি শাখা-১
www.mof.gov.bd
নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০২.১৮-০৮ তারিখ:- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
প্রজ্ঞাপন
অবসরগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারী ও সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাহাদের পরিবারবর্গের অবসরজনিত সুবিধাদি সঠিক সময়ে প্রাপ্তি নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২৭-০১-২০০৯ খ্রিঃ তারিখের অম/অবি/প্রবি-১/৩পি২/২০০৫(অংশ-১)/5 নং স্মারকে জারীকৃত “বেসামরিক সরকারি কর্মচারীদের পেনশন মঞ্জুরি ও পরিশােধ সংক্রান্ত বিধি/পদ্ধতি অধিকতর সহজীকরণ আদেশ, ২০০৯” নিম্নরূপ আদেশ দ্বারা প্রতিস্থাপন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যাহা “সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০” নামে অভিহিত হইবে।
আদেশের প্রয়ােগ/প্রযােজ্যতা
(ক) সরকারি কর্মচারী, যাহারা সরকারি পেনশন স্কীমের আওতাভুক্ত তাহাদের জন্য এই আদেশ প্রযােজ্য হইবে।
(খ) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য এই আদেশ প্রযােজ্য হইবে না।
২.০০ অবসরজনিত পেনশন
২.০১ কল্যাণ কর্মকর্তা মনােনয়ন ও দায়িত্ব
(ক) অবসরগমনকারী সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন কেইস প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করিবার জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর পেনশন কেইস প্রক্রিয়াকরণে সরাসরি সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তাকে কল্যাণ কর্মকর্তা হিসাবে মনােনয়ন নিশ্চিত করিয়া অর্থ বিভাগকে অবহিত করিবে।
(খ) পেনশন কেইস নিষ্পত্তিতে পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/হিসাবরক্ষণ অফিসের সাথে কল্যাণ কর্মকর্তা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করিবেন। অর্থ বিভাগের ২০-১২-২০১৬ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৩.১৬-১৪১ নং স্মারকে (সংযােজনী-১৮) উল্লিখিত দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ কল্যাণ কর্মকর্তাকে যথাযথভাবে অনুসরণ করিতে হইবে।
২.০২ নন-গেজেটেড কর্মচারীগণের সার্ভিস বুক ও চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণ:
(ক) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর নন-গেজেটেড কর্মচারীগণের ২ (দুই) কপি সার্ভিস বুক যথাযথভাবে পূরণ করিয়া প্রতি বৎসর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হালনাগাদ করিবার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। সার্ভিস বুক-এ কোন ঘষামাজা/অস্পষ্টতা গ্রহণযােগ্য হইবে না, সকল তথ্য স্পষ্টভাবে লিখিত থাকিতে হইবে। সার্ভিস বুক-এ জন্ম তারিখ সংখ্যায় ও কথায় লিখিতে হইবে। সার্ভিস বুক এর দুই কপি নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষের অফিসে রক্ষিত থাকিবে, তবে উক্ত কর্মচারী বদলি হইলে সার্ভিস বুক-এর দুই কপি সিলগালা অবস্থায় কর্মচারীর বদলিকৃত কর্মস্থলে প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। প্রত্যেক কর্মস্থলে বদলিকৃত কর্মচারীর সার্ভিস বুক এর ফটোকপি যথাযথ কর্তৃপক্ষাদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করিয়া তাহার ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে। কোন সঙ্গত কারণ ব্যতীত সার্ভিস বুক ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হালানাগাদ না করিলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ দায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(খ) সার্ভিস বুক-এর পাশাপাশি নন-গেজেটেড সরকারি কর্মচারীগণের ইলেকট্রনিক চাকরি (ই-চাকরি) বৃত্তান্ত নির্ধারিত ফরম্যাটে (সংযােজনী-৯) প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ ও নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করিবেন। সরকারি কর্মচারীগণের চাকরি সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি যথা: নিয়ােগ, চাকরিতে স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, শাস্তি, ছুটি, টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে), উচ্চতর স্কেল, পিআরএল, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য সার্ভিস বুক-এর মতই ধারাবাহিকভাবে ই-চাকরি বৃত্তান্তে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি বাসায় বসবাস সংক্রান্ত তথ্য (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ও সরকারি আদায়যােগ্য পাওনার বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করিতে হইবে। সরকারি কর্মচারী বদলি হইলে বদলিকৃত কর্মস্থলে সার্ভিস বুকের সহিত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হার্ড ও সফট কপি সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের নিকট প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে এবং একই সাথে উক্ত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হার্ড ও সফট কপি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস ও বদলিকৃত কর্মচারীর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(গ) মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারীর চাকরি বৃত্তান্ত IBAS++ এ এন্ট্রি দেওয়ার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তের হালনাগাদ তথ্যাদি নিয়মিতভাবে অর্থ বিভাগের IBAS++ এ প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। অর্থ বিভাগ এই কার্যক্রমের জন্য প্রয়ােজনের নিরিখে system develop করিবে।
(ঘ) সংশ্লিষ্ট নন-গেজেটেড কর্মচারীর বদলির সময় অডিট কোড-এর এপেনডিক্স-৩ এর ৫ম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছুটির হিসাবসহ এলপিসি-র সকল ঘর উপযুক্ত তথ্য সহকারে যথাযথভাবে পূরণ করিতে হইবে। এলপিসি যথাযথভাবে পূরণ না করিবার কারণে সরকারি পাওনা সংক্রান্ত তথ্য অনুদঘাটিত থাকিলে এলপিসি জারিকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী হইবেন। বদলিকৃত কর্মচারীর কর্মস্থল হইতে অব্যাহতি প্রাপ্তির ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে এলপিসির হার্ড ও সফট কপি পরবর্তী কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান এবং উহার অনুলিপি হিসাবরক্ষণ অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিকট প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে।
২.০৩ গেজেটেড কর্মকর্তাগণের চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণ
(ক) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তাগণের চাকরি সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি যথাকর্মকর্তাদের নিয়ােগ, চাকরিতে স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, শাস্তি, ছুটি, টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে), উচ্চতর স্কেল, পিআরএল, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু ইত্যাদি তথ্য নির্ধারিত ফরম্যাট অনুযায়ী সংযােজনী-১০) ধারাবাহিকভাবে ‘ই-চাকরি বৃত্তান্তে’ সংরক্ষণ করিবে। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তরকে কর্মরত কর্মকর্তাগণের ই-চাকরি বৃত্তান্তের তথ্যাদি IBAS++ এ অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং নিয়মিত হালনাগাদ করিতে হইবে।
(খ) ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। সরকারি বাসায় বসবাস সংক্রান্ত তথ্য (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ও সরকারি আদায়যােগ্য পাওনার বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।
(গ) কর্মকর্তার বদলির সময় অডিট কোড-এর এপেনডিক্স ৩ এর ৫ম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এলপিসি-র প্রয়ােজনীয় সকল ঘর ছুটির। হিসাবসহ উপযুক্ত তথ্য সহকারে যথাযথভাবে ইলেকট্রনিকেলি (Electronically) পূরণ করিতে হইবে। এলপিসি যথাযথভাবে পূরণ না করিবার কারণে সরকারি পাওনা সংক্রান্ত তথ্য অনুদঘাটিত থাকিলে এলপিসি জারিকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী হইবেন। বদলিকৃত কর্মকর্তার আবেদন প্রাপ্তির ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে ইলেকট্রনিকেলি জেনারেটেড (Electronically Generated) এলপিসি পরবর্তী কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস ও উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট অনলাইনে প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণকারী প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র বহির্ভূত স্থানে কর্মকর্তার বদলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্ত বদলিকৃত কর্মস্থলের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণপূর্বক উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস এবং কর্মকর্তার নিকট একই সময়ে প্রেরণ করিতে হইবে।।
২.০৪ অবসরগ্রহণকারীগণের অগ্রিম তালিকা প্রণয়ন ও প্রেরণ
(ক) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মচারীগণের মধ্যে যাহারা পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষে অবসর-উত্তর ছুটিতে যাইবেন, কল্যাণ কর্মকর্তা তাহাদের তালিকা ফরম্যাট (সংযােজনী-১১) অনুযায়ী প্রস্তুত এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (প্রতি বৎসর জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই ও অক্টোবর মাসে) হালনাগাদ করিয়া উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর দপ্তর প্রধান, হিসাবরক্ষণ অফিস ও আবাসন পরিদপ্তরে (সরকারি বাসায় বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে) অবসর-উত্তর ছুটি আরম্ভের তারিখের কমপক্ষে এক বৎসর পূর্বে প্রেরণ নিশ্চিত করিবেন।
(খ) উক্ত তালিকার সঙ্গে অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলার তথ্যসহ হালনাগাদ ই-চাকরি বৃত্তান্তের (প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত) অনুলিপি সংযােজন করিতে হইবে।
২.০৫ অবসরগ্রহণের পূর্বে প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র (ইএলপিসি) (Expected Last Pay Certificate) জারি
(ক) সরকারি কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটিতে গমনের ১১ (এগার) মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস/আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা তাহার “অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার অব্যবহিত পূর্বের তারিখে” এবং “চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বের তারিখে” শেষ আহরণযােগ্য/নির্ধারণযােগ্য প্রত্যাশিত বেতন উল্লেখপূর্বক ইএলপিসি (Expected_Last Pay Certificate) (সংযােজনী-১) জারি করিবেন। আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা কর্তৃক জারীকৃত নন-গেজেটেড কর্মচারীর ইএলপিসি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ০৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিস্বাক্ষর করিবেন। হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণকালে ইএলপিসি-এর সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হালনাগাদ অনুলিপি সংযুক্ত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তে অনিষ্পত্তিকৃত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলার তথ্য থাকিলে তাহা ইএলপিসি-তে ক্রমিক ৪(ঢ)-এ লাল কালিতে উল্লেখ করিতে হইবে।
(খ) পিআরএল কালীন কোন বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি থাকিলে তারিখসহ বর্ধিত বেতনের পরিমাণ উক্ত বেতনপত্রে উল্লেখ করিতে হইবে। অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার অব্যবহিত পূর্বের তারিখে প্রাপ্য ছুটি, ভবিষ্য তহবিলের মুনাফাসহ জমা এবং সরকারের পাওনা সংক্রান্ত তথ্যাদি অগ্রিম হিসাব করিয়া ইএলপিসি-তে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। ইএলপিসি প্রাপ্তির পর চাকরি সংক্রান্ত কোন পরিবর্তন ঘটিলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ ই-চাকরি বৃত্তান্ত হিসাবরক্ষণ অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কাছে প্রেরণ নিশ্চিত করিবেন। ইএলপিসি-এর ৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত তথ্য সম্পর্কে পরবর্তীতে আর কোন আপত্তি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে দাবীকারী প্রতিষ্ঠান উত্থাপন করিতে পারিবে না।
২.০৬ অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), ভবিষ্য তহবিলের স্থিতি, আনুতােষিক ও পেনশনের আবেদন দাখিল এবং মঞ্জুরির সময়সীমা
(ক) ইএলপিসি প্রাপ্তির ১ (এক) মাসের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্মচারী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), ভবিষ্য তহবিলের স্থিতি ও পেনশন মঞ্জুরির আবেদন নির্ধারিত ফরমে (সংযােজনী-৪) যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিবেন । পেনশনের আবেদন প্রাপ্তির ৫(পাঁচ) মাসের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত কর্মচারীর সার্ভিস বুক (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ও ই-চাকরি বৃত্তান্ত হালনাগাদ করিবেন এবং ইএলপিসি ও পিআরএল-এ গমনের তারিখের পূর্বের ৩ (তিন) বৎসরের রেকর্ডের ভিত্তিতে তাহার নিকট সরকারের দেনা-পাওনা অগ্রিম হিসাব করিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে না-দাবী প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করিবেন। উক্ত ০৩ (তিন) বৎসরের পূর্বের কোন কাগজপত্র/রেকর্ড/না-দাবীপত্র চাওয়া যাইবে না। অর্জিত ছুটির হিসাব নিরূপণক্রমে পিআরএল ও নগদায়নের (লাম্পগ্রান্ট) জন্য প্রাপ্য ছুটির পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সরকারের আদায়যােগ্য অর্থের হিসাব নিরূপণ করিয়া তাহা আদায়ের ব্যবস্থা করিবেন।।
(খ) উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীর অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট) ও পেনশন মঞ্জুরিপত্র যুগপৎ জারি করিবেন। কল্যাণ কর্মকর্তাকেও অনুরূপ জারির তথ্য অবহিত করিবেন।।
(গ) পেনশন পরিশােধ আদেশ (পিপিও) জারির জন্য প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ পেনশন মঞ্জুরির কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করিবেন।
(ঘ) কর্তৃপক্ষ (অফিস প্রধান) সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর আবেদনপত্রে তিনি যেই তারিখে (পিআরএল-এ গমনের ৬ (ছয়) মাসের উর্ধ্বে নহে) ভবিষ্য তহবিল বাবদ জমা ও মুনাফা উত্তোলনের ইচ্ছা প্রকাশ করিবেন সেই তারিখ পর্যন্ত মুনাফাসহ (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ভবিষ্য তহবিল স্থিতি প্রদানের আদেশ জারি করিবেন। কল্যাণ কর্মকর্তাকে জারির তথ্য অবহিত করিতে হইবে।
(ঙ) কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি থাকিলে তাহার পেনশন কেইস এই পেনশন আদেশের ৪.১০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(চ) উপরােক্ত (ক) নং অনুচ্ছেদে যাহাই বলা থাকুক না কেন উন্নয়ন প্রকল্প হইতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত, আত্মীকরণের মাধ্যমে যােগদানকৃত এবং এডহক ভিত্তিতে নিয়ােগকৃত কর্মচারীগণকে পেনশন আবেদনের সাথে তাহার চাকরি স্থায়ীকরণের/নিয়মিতকরণের (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) আদেশ দাখিল করিতে হইবে।
২.০৭ ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), আনুতােষিক ও পেনশন প্রদান
(ক) ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট) মঞ্জুরির আদেশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বিল দাখিল করিবেন। ছুটি নগদায়ন (সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ) অর্থাৎ লাম্পগ্রান্টের অর্থের চেক/EFT হিসাবরক্ষণ অফিস বিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে পিআরএল-এ গমনের পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিকট/ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ নিশ্চিত করিবে।।
(খ) পেনশন মঞ্জুরির কাগজপত্র প্রাপ্তির ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে পেনশন নির্ণয় সংক্রান্ত হিসাব যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস পেনশন পরিশােধ আদেশ (পিপিও) জারি করিবে। পেনশন ও আনুতােষিক নির্ণয়ের জন্য অর্থ বিভাগের ১৪-১০-২০১৫ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫-৮১ নং প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করিতে হইবে (সংযােজনী১৯)। আনুতােষিকের টাকার চেক/EFT পিআরএল শেষ হওয়ার পর দিন/চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিকট/ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। (গ) চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের পর পেনশনারের মাসিক পেনশন EFT এর মাধ্যমে তাহার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে নিয়মিত প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে।
২.০৮ প্রেষণে/লিয়েনে থাকাকালীন লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত/আধা-স্বায়ত্বশাসিত/কর্পোরেশন/রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক/অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রেষণে নিয়ােজিত থাকাকালীন সরকারি কর্মচারীগণের লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন সরকারি খাতে জমা দেওয়ার প্রয়ােজন হইবে না। এই সুবিধা পূর্বের প্রেষণে নিয়ােজিত সরকারি কর্মচারীগণের জন্যও প্রযােজ্য হইবে। তবে দেশের অভ্যন্তরে কোন সংস্থা/প্রকল্পে এবং বিদেশী সরকার/সংস্থায় লিয়েনে কর্মরত সরকারি কর্মচারীগণের লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন প্রদানের প্রথা প্রচলিত বিধান অনুযায়ী যথারীতি চালু থাকিবে।
২.০৯ বিতর্কিত চাকরিকাল
বিতর্কিত চাকরিকাল বাদ দিয়া অবশিষ্ট পেনশনযােগ্য চাকরি ২৫ (পঁচিশ) বৎসর অথবা তদূরে ক্ষেত্রে পূর্ণ হারে পেনশন মঞ্জুর করিতে হইবে। বিতর্কিত চাকরিকালের কারণে পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব করা যাইবে না। ২.১০ পেনশন কেইস নিষ্পত্তির অগ্রগতি পরিদর্শন ও মনিটরিং: নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পেনশন মঞ্জুরি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হইতেছে কিনা তাহা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক/পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ মনােনীত কল্যাণ কর্মকর্তার মাধ্যমে এবং যথাসময়ে পিপিও ইস্যু করা হইতেছে কিনা তাহা হিসাবরক্ষণ অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মনিটরিং করিয়া পরিদর্শন বহিতে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিবেন।
২.১১ সাময়িক (Provisional) পেনশন প্রদান
যে সকল পেনশন কেইস না-দাবী প্রত্যয়নপত্র অথবা অন্যান্য প্রয়ােজনীয় কাগজপত্রাদির অভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না সেই সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর/উপযুক্ত উত্তরাধিকারীর আবেদনক্রমে প্রাপ্য আনুতােষিকের শতকরা ৮০ ভাগ এবং প্রাপ্য পূর্ণ নিট পেনশন সাময়িকভাবে প্রদান করিতে হইবে। পরবর্তীকালে কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রয়ােজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করিয়া পেনশন কেইসটি চূড়ান্ত করিবে। অন্যথায় উক্ত ৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত হওয়ার অব্যবহিত পর সাময়িকভাবে প্রদত্ত নিট পেনশন, পেনশনারের নিজস্ব বিবরণীর ভিত্তিতে চূড়ান্ত করিতে হইবে এবং আনুতােষিকের বাকী অংশ পরিশােধ করিতে হইবে। তবে অডিট আপত্তি থাকিলে তাহা এই আদেশের ৪.১০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
২.১২ পেনশন সমর্পণ ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট
অর্থ বিভাগ কর্তৃক ০৯-০১-২০১৭ খ্রিঃ তারিখে জারীকৃত ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৫.১৬-০৬ নং প্রজ্ঞাপন (সংযােজনী-১৭) অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীগণ গ্রস পেনশনের শতকরা ৫০ ভাগ বাধ্যতামূলক সমর্পণ করিবেন এবং অবশিষ্ট শতকরা ৫০ ভাগের জন্য নির্ধারিত হারে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ইহাছাড়া পেনশনারগণ/পারিবারিক পেনশনারগণ মাসিক পেনশনের উপর ৫% হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হইবেন।।
২.১৩ পেনশন পুনঃস্থাপন
(ক) অর্থ বিভাগের ০৮-১০-২০১৮ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১৩.১৪-১১৮ নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীগণের অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে ১৫ বৎসর সময় অতিক্রান্তের পর তাহাদের পেনশন পুনঃস্থাপন করা হইবে। কর্মচারীর এলপিআর/পিআরএল যে তারিখে শেষ হইয়াছে তাহার পর দিন হইতে উক্ত ১৫ বৎসর সময় গণনা করা হইবে। আর যিনি পিআরএল ভােগ করেন নাই তাহার ক্ষেত্রে অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে উক্ত ১৫ বৎসর সময় গণনাযােগ্য হইবে (সংযযাজনী-১৫)।
(খ) শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর পেনশন পুনঃস্থাপিত হইয়া থাকিলে তাহার মৃত্যুর পর তাহার বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামী ও প্রতিবন্ধী সন্তান (যদি থাকে) আজীবন পুনঃস্থাপিত পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হইবেন (সংযােজনী-২২)।
২.১৪ চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা
পেনশনার/শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী/পুনঃস্থাপিত পেনশনার/পরিবার (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) মাসিক পেনশনের পাশাপাশি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রাপ্য হইবেন।।
৩.০০ পারিবারিক পেনশন
৩.০১ উত্তরাধিকারী মনােনয়ন
পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী চাকরিতে থাকা অবস্থায় অথবা পরবর্তী যে কোন সময়ে তাহার পরিবারের যে কোন এক বা একাধিক সদস্যকে তাহার পারিবারিক পেনশনের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষের উত্তরাধিকারী মনােনীত করিতে পারিবেন। মনােনয়নের অবর্তমানে পারিবারিক পেনশন ও আনুতােষিক প্রদানের ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-০৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ সেংযােজনী-২১) এবং অর্থ বিভাগের ২৮-০৫-২০১২ খ্রিঃ তারিখের স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০২.১২(অংশ-১)-৫৭ (সংযােজনী-২০) অনুসরণে উত্তরাধিকারী নির্ণয় করিবেন। মৃত পেনশনারের স্ত্রী/স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নাই মর্মে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর/পৌরসভার মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সাটিফিকেট গ্রহণযােগ্য হইবে (সংযােজনী-৩)। কোর্ট হইতে সাকসেশন সার্টিফিকেট প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকিবে না।
৩.০২ বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামী
(ক) পূর্বে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যে সকল বিধবা স্ত্রী ০১-০৬-১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্ত হইতেন অথবা পরবর্তী সময়ে প্রাপ্য হইবেন, তাহারা পুনঃবিবাহ না করিবার শর্তে আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। তবে কর্মচারীর বিধবা স্ত্রীর পুনঃবিবাহ না করার অংগীকারনামা বা প্রত্যয়নপত্র দাখিলের শর্ত ৫০ বৎসরের উর্ধ্ব বয়সী বিধবার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হইবে না (সংযােজনী-১৯)।
(খ) অর্থ বিভাগের ১৪-১১-২০১৮ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৩.১৮-১৩৮নং প্রজ্ঞাপন (সংযােজনী-১৪) অনুযায়ী মৃত মহিলা কর্মচারীর স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হইলে বিধবা স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার অনুরূপ হারে ও পদ্ধতিতে তিনি আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
৩.০৩ প্রতিবন্ধী সন্তান
(ক) কোন সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান যদি দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন হইয়া উপার্জনে অক্ষম হন তবে তিনি নিম্নবর্ণিত শর্তে আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন:
শর্তাবলি:
(১) সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র থাকিতে হইবে; (২) কোন কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান থাকিলে তিনি চাকরিরত অবস্থায় কিংবা পেনশন ভােগরত অবস্থায় উক্ত প্রতিবন্ধী সন্তানের বিষয়ে উপযুক্ত দলিল-দস্তাবেজসহ তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন; (৩) কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন ও উপার্জনে অক্ষম মর্মে ‘খ’ উপ-অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত মেডিকেল বাের্ড কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করিতে হইবে; (৪) পেনশনারের প্রতিবন্ধী সন্তান/সন্তানগণ প্রতিবন্ধী কোটায় সরকারি চাকরি করিলে পিতা/মাতার উত্তরাধিকারী হিসাবে তিনি/তাহারা আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন না; (৫) কর্মচারীর মৃত্যুর পর তাহার প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পারিবারিক পেনশন ভােগের অধিকারী হইলে উক্ত সন্তান নিজে বা তাহার পক্ষে তাহার পরিবারের কোন সদস্য বা আত্মীয়কে তাহার পিতা/মাতার নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবন্ধিতার নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র, তাহার পিতা/মাতার পেনশন মঞ্জুরির আদেশ এবং পিপিওসহ আবেদন করিতে হইবে; (৬) কর্মচারীর পারিবারিক পেনশন ভােগের যােগ্য সদস্যের মৃত্যুর পর একবার পারিবারিক পেনশন বন্ধ হইলে পরবর্তীতে শুধুমাত্র প্রতিবন্ধিতার দাবীতে উক্ত পারিবারিক পেনশন পুনরায় চালু করা যাইবে না; এবং (৭) কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের পেনশন প্রাপ্যতার বিষয়ে উক্ত কর্মচারীর নিয়ােগকারী কর্তৃক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(খ) সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীনতা ও উপার্জনে অক্ষমতা নির্ণয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে নিম্নরূপ স্থায়ী মেডিকেল বাের্ড থাকিবে :
মেডিকেল বাের্ডের কার্যপরিধি
১. মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা/সংশ্লিষ্ট বিভাগ/দপ্তর/প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীনতা ও উপার্জনে অক্ষমতার বিষয়টি পরীক্ষাপূর্বক প্রত্যয়ন প্রদান; ২. আবেদনপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সদস্য-সচিব কর্তৃক মেডিকেল বাের্ডে উপস্থাপন করা এবং উক্ত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সদস্য-সচিবের দপ্তরে সংরক্ষণ করা; এবং ৩. সদস্য-সচিব কর্তৃক মেডিকেল বাের্ডের সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে মেডিকেল পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাের্ডে উপস্থিত হইবার জন্য অবহিতকরণ।
৩.০৪ পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমা
পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের বয়সসীমা হইবে ২৫ বৎসর। প্রচলিত বিধানের যেই সকল ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের কোন বয়সসীমা বর্তমানে উল্লেখ নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে বয়স নির্বিশেষে সকল পুত্র সন্তান পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-০৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ এর অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(ii)-এর অনুসরণে ১৫ বৎসরের মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে শুধু উক্ত সময় পৃর্তি পর্যন্ত তিনি পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত সরকারি কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে পেনশন/আনুতােষিক প্রাপ্য হইবেন।
৩.০৫ অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যার বয়সসীমা
পেনশনারের অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে মােট ১৫ বৎসর মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে উক্ত অবশিষ্ট সময়ের জন্য অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যা বয়স নির্বিশেষে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
৩.০৬ অবসরগ্রহণের পরে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের হার
একজন সরকারি কর্মচারী অবসরগ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় যে হারে পেনশন প্রাপ্য হইতেন, তাহার মৃত্যুর পর তাহার পরিবার/মনােনীত উত্তরাধিকারী একই হারে পরিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
৩.০৭ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে পেনশন
আত্মহত্যার কারণে মৃত কর্মচারীর পরিবারকে (যদি থাকে) স্বাভাবিক মৃত্যুর ন্যায় প্রচলিত বিধি অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন ও আনুতােষিক প্রদান করিতে হইবে।।
৪.০০ পেনশন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াবলি
৪.০১ পেনশন/পারিবারিক পেনশন পুন:মঞ্জুরি সংক্রান্ত পেনশনারের মৃত্যুর পর তাহার বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামীর পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরায় পেনশন মঞ্জুরির প্রয়ােজন হইবে না। তবে পেনশনারের বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামীর মৃত্যুর পর তাহার উত্তরাধিকারীগণের পারিবারিক পেনশন প্রদানের ক্ষেত্রে পুনরায় মঞ্জুরির প্রয়ােজন হইবে।।
৪.০২ জরুরিভিত্তিক পেনশন প্রদান
বাধ্যতামূলক অবসর, অক্ষমতাজনিত অবসর এবং মৃত্যুজনিত কারণে পেনশনের ক্ষেত্রে আবেদনপত্র প্রাপ্তির ১ (এক) মাসের মধ্যে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং পরবর্তী ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে হিসাবরক্ষণ অফিস সকল আনুষ্ঠানিকতা সমাপনান্তে যথাক্রমে পেনশন মঞ্জুরি ও পিপিও জারি করিবেন। অন্যথায় এই স্মারকের ২.১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাময়িক পেনশন প্রদান করিতে হইবে।
৪.০৩ বার্ষিক গােপনীয় প্রতিবেদন:
পেনশন মঞ্জুরির ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীর বার্ষিক গােপনীয় প্রতিবেদন বিবেচনার প্রয়ােজন হইবে না। ৪.০৪ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত তথ্যাদি গ্রহণ: প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত জন্ম তারিখ, নমিনী (মনােনীত উত্তরাধিকারী), প্রতিস্বাক্ষর, নমুনা স্বাক্ষর ও হাতের পাঁচ আংগুলের ছাপ (সংযােজনী-৬) ইত্যাদি হিসাবরক্ষণ অফিসে পুনঃযাচাই ব্যতিরেকেই গৃহীত হইবে। তবে এফিডেভিট দ্বারা জন্ম তারিখ পরিবর্তন করিলে তাহা গ্রহণযােগ্য হইবে না।
৪.০৫ বিভিন্ন প্রকার দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি
(ক) অবসর-উত্তর ছুটির আদেশ জারির এক মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ/হিসাবরক্ষণ অফিস সকল দেনা-পাওনার হিসাব প্রস্তুত করিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সর্বশেষ তিন বৎসর যেই সকল দপ্তরে কাজ করিয়াছেন অনাপত্তির জন্য সেই সকল দপ্তরে এবং সরকারি আবাসনসংশ্লিষ্ট দপ্তরে (সরকারি বাসায় বসবাস করিলে) ক্লিয়ারেন্সের জন্য পত্র প্রেরণ করিবেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর পত্র প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে অনাপত্তিপত্র প্রদান করিবে অথবা পাওনা/আপত্তি থাকিলে তাহা বিস্তারিত জানাইবে। পাওনাদি থাকিলে উক্ত পাওনাদি পরিশােধের পর ২১ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করিতে হইবে। ২১ দিনের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট অথবা মতামত প্রদান না করিলে পাওনাদি যথাযথভাবে পরিশােধিত হইয়াছে গণ্য করিয়া পেনশন মঞ্জুর করিতে হইবে। সরকারি পাওনার বিষয় যথাসময়ে না জানানাে হইলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিই দায়ী থাকিবেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনাপত্তি ২১ দিনের মধ্যেও পাওয়া না গেলে তাহা উল্লেখসহ পরবর্তী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পেনশন মঞ্জুরিপত্র হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠাইতে হইবে।।
(খ) চাকরি বৃত্তান্তে/ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি বাসায় বসবাস সংক্রান্ত তথ্য (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ও সরকারি আদায়যােগ্য পাওনার বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করিতে হইবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সরকারি আদায়যােগ্য পাওনা আদায় নিশ্চিত করিতে হইবে। অবসরগ্রহণের তারিখের পর অতিরিক্ত সময়ের জন্য বাসা বরাদ্দ প্রদান করা হইলে আবাসন পরিদপ্তর/বাসা বরাদ্দকারী সংস্থা অনাপত্তি পত্র প্রদান করিবে। এই ক্ষেত্রে অবসরগ্রহণের তারিখের পরবর্তী সময়ে সরকারি বাসায় বসবাস-সংশ্লিষ্ট সরকারি পাওনা আদায় বরাদ্দ প্রদানকারী সংস্থা নিশ্চিত করিবে।
৪.০৬ পিপিও (Pension Payment Order) ও ডি-হাফ (Disburser’s half)
(ক) পেনশনের পিপিও-তে পেনশনারের উত্তরাধিকারীর নাম, পেনশনারের সহিত তাহার সম্পর্ক, বৈবাহিক অবস্থা ও বয়স ইত্যাদি উল্লেখ থাকিতে হইবে। পিপিও এবং ডি-হাফ এর সহিত সংযােজনী-২ মােতাবেক উপরিউক্ত তথ্যাবলি অবশ্যই সংযুক্ত করিতে হইবে। সরকারি কর্মচারী সর্বশেষ যে কর্মস্থল হইতে অবসরগ্রহণ করিয়াছেন সেই মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর এর নাম পিপিও এবং ডি-হাফ এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ/লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। কর্মচারী/অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী জীবিত থাকা অবস্থায় সংযােজনী-২ মােতাবেক তথ্যাদি সরবরাহ না করিলে পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে সংযােজনী-৭ মােতাবেক তথ্যাদি দাখিল করিতে হইবে এবং সংযােজনী-৭ মােতাবেক তথ্যাদি পিপিও এবং ডি-হাফ এর সহিত অবশ্যই সংযুক্ত করিতে হইবে।
(খ) হিসাবরক্ষণ অফিস পিপিও (Pension Payment Order) এবং ডি-হাফ (Disburser’s half) যথাযথভাবে পূরণ করা নিশ্চিত করিবে। কাগজের মান উন্নত করা এবং পেনশন বইটি ভালােভাবে বাঁধানাের ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর গ্রহণ করিবে।।
৪.০৭ পেনশন ফরম
এই আদেশ জারির তারিখ হইতে সংশােধিত পেনশন ফরম ২.১ (সংযােজনী-৪) এবং পারিবারিক পেনশন ফরম 2.2 (সংযােজনী-৫) ব্যবহৃত হইবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়ােজনীয় ও পর্যাপ্ত ফরম সরবরাহের ব্যবস্থা করিবে। ফরমে উল্লিখিত তথ্যের বাহিরে আর কোন তথ্য অবসরগ্রহণকারী/উত্তরাধিকারীর নিকট চাওয়া যাইবে না। ফরম ২.১ ও ফরম ২.২ ভিন্ন ভিন্ন রঙের হইবে। পারিবারিক পেনশনের জন্য উত্তরাধিকারী/উত্তরাধিকারীগণের (স্বামী/স্ত্রী/সন্তানগণ) নমুনা-স্বাক্ষর ও ছবি পেনশন ফরমে সংযােজনের নিমিত্তে স্থান/ঘর নির্দিষ্ট করিতে হইবে।
৪.০৮ অনুত্তোলিত পেনশন এবং বকেয়া পেনশন প্রদানের পদ্ধতি
(ক) পেনশনার কোন কারণে এক বৎসর বা তদূর্ধ্ব সময় পেনশনের টাকা উত্তোলন করিতে না পারিলে এবং পরবর্তীতে তাহা উত্তোলন করিতে চাহিলে পেনশন অনুত্তোলিত/বকেয়া থাকিবার কারণ সংবলিত আবেদন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে দাখিল করিতে হইবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাহার অফিসে প্রাপ্ত পিপিও এবং ডি-হাফ-এর ভিত্তিতে অনুত্তোলিত বকেয়া পেনশন পরিশােধ করিতে পারিবেন। এই ক্ষেত্রে পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নূতনভাবে অনুমােদন/মঞ্জুরি গ্রহণের প্রয়ােজন হইবে না।
(খ) যে সকল পেনশনার ব্যাংক হইতে পেনশন উত্তোলন করেন তাহাদের ক্ষেত্রে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবেদন প্রাপ্তির ৭(সাত) দিনের মধ্যে তাহার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অবহিত করিবেন। উক্ত সময়ের মধ্যে সিন্ধান্ত গ্রহণ না করিলে আবেদনকারীর আবেদন মােতাবেক যুক্তিসংগত দাবী পরিশােধ করিতে হইবে। বর্ণিত ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না দেওয়ার কারণে সরকারের কোন আর্থিক ক্ষতি হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দায়ী হইবেন।।
(গ) প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, পেনশন এন্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এর আওতায় EFT এর মাধ্যমে পেনশন প্রদান করা হইলে ‘ক’ ও ‘খ’ অনুচ্ছেদের বিধানাবলি প্রযােজ্য হইবে না।
(ঘ) পেনশনার/পারিবারিক পেনশনার মৃত্যুবরণ করিলে/নিয়মিত পেনশন উত্তোলন না করিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিষয়টি প্রধান। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, পেনশন এন্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকাকে অবহিত করিবে।
৪.০৯ পেনশন মঞ্জুরির প্রয়ােজনীয় ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি
(ক) কর্মচারীর নিজের অবসরগ্রহণের ক্ষেত্রে
আনুতােষিক ও অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য নিম্নবর্ণিত ১ থেকে ১০ নং ক্রমিকে উল্লিখিত ফরম, সনদ ও কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করিতে হইবে এবং উক্ত ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদির ভিত্তিতে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত পেনশন মঞ্জুরির আদেশসহ ১-১০ নং ক্রমিকে উল্লিখিত কাগজপত্র হিসাবরক্ষণ অফিসে দাখিল করিতে হইবে। হিসাবরক্ষণ অফিস ইহার অতিরিক্ত কোন ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি চাহিতে পারিবে নাঃ
(খ) পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে
আনুতােষিক ও অবসর ভাতা পাইবার জন্য নিম্নবর্ণিত ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ/হিসাবরক্ষণ অফিসে দাখিল করিতে হইবে এবং প্রশাসনিক অফিস/হিসাবরক্ষণ অফিস ইহার অতিরিক্ত কোন ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি চাহিতে পারিবে না। তবে প্রতিবন্ধী সন্তানের অনুকূলে আজীবন পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরির ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ৩.০৩ অনুসরণে। ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
(গ) অফিসে থাকা ডকুমেন্ট দ্বিতীয়বার চাওয়া
কোন ডকুমেন্ট নিয়ন্ত্রকারী কর্তৃপক্ষের অফিসে অথবা অন্য কোন অফিসে থাকিলে তাহা দ্বিতীয়বার পেনশনারের/উত্তরাধিকারীগণের নিকট চাওয়া যাইবে না।
৪.১০ অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি
(ক) প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ অবসরগামী কর্মচারীগণের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিসমূহ (যদি থাকে) পর্যালােচনা করিয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অডিট অধিদপ্তরে (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) জবাব প্রেরণ করিবেন। প্রয়ােজনে সংশ্লিষ্ট অডিট অধিদপ্তরের সহিত দ্বি-পক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় সভার মাধ্যমে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে। অবসরগমনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির বিষয়ে অডিট অধিদপ্তরসমূহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করিবে। কল্যাণ কর্মকর্তা এই বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হইবেন।
(খ) অবসরগমনকারী সরকরি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি থাকিলে/উত্থাপিত হইলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কন্ট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের (সিএন্ডএজি) বার্ষিক অডিট রিপাের্টভুক্ত অডিট আপত্তি ব্যতীত অন্যান্য অডিট আপত্তিতে তার ব্যক্তিগত দায় আছে কিনা তাহা অনধিক ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে নির্ধারণ করিবেন। অডিট আপত্তিতে অবসরগমনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর ব্যক্তিগত দায় না থাকিলে যথারীতি পেনশন মঞ্জুর করিতে হইবে। ব্যক্তিগত দায় থাকিলে তাহা পেনশনারের নিকট হইতে আদায়পূর্বক অথবা তাহার প্রাপ্য আনুতােষিক হইতে কর্তনপূর্বক (পরবর্তীতে সমন্বয় সাপেক্ষে) পেনশন কেইস নিষ্পত্তি করিতে হইবে। অডিট আপত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যদি কোন ব্যক্তিকে দায়ী করা না হয় অথবা আর্থিক সংশ্লেষ না থাকে তবে উক্ত অডিট আপত্তির জন্য কোন সরকারি কর্মচারীর পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব করা যাইবে না।।
(গ) উপযুক্ত (ক) ও (খ) উপ-অনুচ্ছেদে উল্লিখিত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বলিতে অর্থ বিভাগের ৩০-০৯-২০১৮ খ্রিঃ তারিখের জারীকৃত ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০১১.১৪-১১১ নং পত্রে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে (সংযােজনী-১৬)। (ঘ) অবসরগ্রহণকারী কর্মচারীর এক বা একাধিক কর্মস্থলের কোন সময়ের অডিট অসম্পন্ন থাকার কারণে তাহার পেনশন মঞ্জরিতে বিলম্ব করা যাইবেনা। এই বিষয়ে অর্থ বিভাগের ০৬-০১-২০১৯ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০২.১৪-০১ নং পরিপত্র অনুসরণীয় হইবে (সংযােজনী- ১৩)। কর্মচারীর অবসরগ্রহণের পর যদি পেনশনারের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হয় এবং অডিট আপত্তিতে উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর ব্যক্তিগত আর্থিক সংশ্লেষ প্রমাণিত হয় তাহা হইলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলােকে পেনশনার/পারিবারিক পেনশনারের নিকট থেকে অডিট আপত্তিতে উল্লিখিত অর্থ আদায় করা যাইবে।
৪.১১ পেনশন মঞ্জুরির ক্ষমতা
অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ কর্তৃক জারীকৃত ১৬-০৮-২০১৫ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৫১.২২.০০৩.১২৩৫১(১) নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুন্নয়ন বাজেটে প্রদত্ত আর্থিক ক্ষমতার ৩৩ ও ৩৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ পেনশন মঞ্জুর করিবেন।
৪.১২ বিভাগীয়/বিচারিক কার্যক্রম চালু থাকিলে অবসরকালীন সুবিধাদি
(ক) অবসরে গমনকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনাে বিভাগীয় মামলা থাকিলে কল্যাণ কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সহিত যােগাযােগক্রমে অবসরগমনের ০১ (এক) বৎসরের মধ্যে তাহা নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করিতে হইবে। বিভাগীয় মামলা যথাসময়ে নিষ্পত্তির বিষয়টি কল্যাণ কর্মকর্তা নিয়মিত মনিটরিং করিবেন।।
(খ) বিভাগীয় মামলা যখনই দায়ের হউক না কেন তাহা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের ০১ (এক) বৎসর সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(গ) কোন সরকারি কর্মচারী চাকরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত হইলে তিনি কোন অবসর সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না। তবে সরকার বিশেষ বিবেচনায় অনুকম্পা হিসাবে তাহাকে অবসর সুবিধা প্রদান করিতে পারিবে।
(ঘ) কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও ঐ মামলায় সরকারের কোন আর্থিক সংশ্লেষ না থাকিলে তিনি অবসর সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন।
৪.১৩ নিখোঁজ সরকারি কর্মচারীর উত্তরাধিকারীকে পেনশন/আনুতােষিক ইত্যাদি প্রদান
(ক) পেনশন প্রাপ্তির জন্য ন্যূনতম চাকরিকাল সম্পাদন সাপেক্ষে নিখোঁজ সরকারি কর্মচারীর উত্তরাধিকারী/উত্তরাধিকারীবৃন্দ নিকটস্থ থানায় এ সম্পর্কিত জিডি এন্ট্রির অনুলিপিসহ পেনশন প্রাপ্তির আবেদন করিলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ০২ (দুই)টি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৬(ছয়) মাস অতিবাহিত হইলে উত্তরাধিকারীকে বিধি মােতাবেক পারিবারিক পেনশন মঞ্জুর করা যাইবে।।
(খ) পূর্বে পরিশােধিত না হইলে নিখোঁজ হইবার অন্যূন ৩(তিন) বৎসর পর প্রচলিত আইন অনুযায়ী যােগ্য আদালত কর্তৃক সাব্যস্তকৃত উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট দাখিল করা হইলে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে নিখোঁজ সরকারি কর্মচারীর ভবিষ্য তহবিলের স্থিতি, লাম্পগ্রান্ট ও আনুতােষিকের অর্থ প্রদান করা যাইবে।
(গ) উপ-অনুচ্ছেদ ‘ক’ মােতাবেক পারিবারিক পেনশন মঞ্জুর শেষে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী ফিরিয়া আসিলে তিনি নিখোঁজ হইবার পূর্বে অবসরে গমন না করিলেও তিনি পূর্ব চাকরিতে পুনর্বহালযােগ্য হইবেন না।
৪.১৪ পেনশন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক কার্যক্রমের নমুনা
অবসরগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ/পেনশন মঞ্জুরি কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর মনােনীত কল্যাণ কর্মকর্তা অবসরগমনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের জন্ম তারিখ, পিআরএল-এ গমনের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখসহ একটি পেনশন প্রসেস ম্যাপ প্রস্তুত করিয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর প্রেরণ করিবেন (সংযােজনী-১২)।
৫.০০ কর্তব্যে অবহেলার কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা
পেনশন মঞ্জুরির সহিত জড়িত কোন কর্মচারী যদি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী পেনশন কেইস নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হন বা এ সহজীকরণ আদেশের কোন বিধান প্রতিপালনে অবহেলা করেন তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
৬.০০ এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।।
৭.০০ এই আদেশবলে পেনশন সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি/পদ্ধতি এবং আদেশ/স্মারক ইত্যাদির সংশ্লিষ্ট অংশ সংশােধিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
৮.০০ এই আদেশে বর্ণিত হয় নাই এমন কোন বিষয় বর্তমানে প্রচলিত বিধি-বিধান/পদ্ধতি/আদেশসমূহ পরিবর্তন/পরিবর্ধন সংশােধন না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে
(মােঃ শাহজাহান)
অতিরিক্ত সচিব (প্রবিধি)
পরিচিতি নং-৪১৪৪
ফোন: ৯৫৭৬৫৫৪ Email: shahjahanmail@yahoo.com
নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০২.১৮-০৮(১০০০০)
পেনশনের নতুন নিয়ম ২০২১ : ডাউনলোড
৬৫ শতাংশ পেনশণ কত টাকা হয়
total pention koto taka
মূল বেতন বলুন।
মূল বেতন দিন বের করে দিচ্ছি।
Sslary 38510
৩৮৫১০*৯০%/২ = ১৭৩২৯ টাকা মাসিক পেনশন। ১৭৩২৯*২৩০ = ৩৯,৮৫,৭৮৫ টাকা।
স্বামী স্ত্রী উভয়ে যদি সরকারী চাকুরীজীবী হয়, দুজনেই কী পেনশন পাবেন?
অবশ্যই। শুধু তাই নয় একজন মারা গেলে অপরজন দুটি পেনশন একইসাথে পেতে থাকবেন আজীবন।
অামি একজন বাংকার।গত ২৫ ফেব্রুয়ারী/২০২২ িপ অার এল শেষ করেছি।অদ্যাবধি পেনশন সহ কিছুই পাই নাই।
সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হচ্ছে তা হলো অামার পেনশনের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় গৃহিত ৫৫ লাখ টাকার গৃহনির্মাণ ঋণের সুদ বেড়েই চলেছে।
এ অবহেলা এবং শৈথিল্যের কারণে যে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে তার কি প্রতিকার পেতে পারি?
বাংলাদেশ ব্যাংকে লেখালেখি করুন এবং প্রয়োজনে উকিল নোটিশ পাঠান পরবর্তীতে রীট করুন।
আমি একজন বিধবা মৃত্যুর পূর্বে আমার স্বামী আমাকে ১০০% একমাত্র পোষ্য হিসাবে নির্বাচন করে গেছেন।আমার দু সন্তান তারা দুজনেই ও তাদের স্ত্রী চাকুরী করে। কিন্তু বর্তমানেতারা আমার নিকট বাবার পেনশান এর অংশীদারত্বের দাবী করছে? তাদের ভাষ্য তাদের বাবার পেনশানের টাকার বেশীর ভাগ তারা পাবে এ ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
মাসিক পেনশন আপনার নামে হবে। জিপিএফ যদি আপনার নামে নমিনি করে থাকেন তবে সেটিও সম্পূর্ণ আপনি পাবেন। আনুতোষিকের ক্ষেত্রে এই বিধি প্রযোজ্য। পরিবারের সদস্যদের আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রসমূহ।
আমার বাবা অবসর গ্রহন করার পরে মাসিক পেনশন ভোগরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তার ২ জন স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী মানে আমার মা এর আমরা ২ জন সন্তান। ২য় স্ত্রীর এক সন্তান যার বয়স ১০। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ওয়ারিশগণের মধ্যে যাতে পেনশন উত্তোলন নিয়ে ঝামেলা না হয় তাই তিনি পেনশন আবেদন করার সময় বৈধ উত্তরাধিকারি ঘোষণাপত্র (সংযোজনী-২) অনুযায়ী আমার মা কে ১০০% মনোনীত করে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে কি পেনশন ভাগাভাগি হবে নাকি আমার আম্মাই পাবে?
ভাগাভাগি হবে না। তবে ২য় স্ত্রী যদি অভিযোগ করেন এবং মামলা করেন তবে তিনি খোরপোষ প্রাপ্যতা অনুসারে অর্ধাংশ পেনশন পাবেন যেহেতু আপনার বাবা তাকে ডিভোর্স দেনি।
স্যার, আসসালামুআলইকুম, আশা করি ভাল আছেন, আমার আম্মু শাহিদা খানম, প্রধান হিসাব সহকারী(অবসর) রাজশাহী, গত 07/07/2021 সালে মারা যান, তিনি গত ৩০/০৬/১৬ইং তারিখে বিটিসিএল রাজশাহী অবসর গ্রহণ করেন, ওয়ারিশ হিসেব সন্তান ১৫ বছর পূতিতে অবশিষ্ট সময়কাল (২০১৬হতে-২০২১) ১০ বছর ঈদ বোনাস, ভাতা, মেডিক্যাল ভাতা প্রাপ্য বলে আমি মনে করছি। উল্লেখ্য যে, পুলিশ বাহিনী হতে দিয়েছে যার প্রমান পত্র আমি এজি অফিস রাজশাহী হতে সংগ্রহ করেছি কিন্ত বিটিসিএল রাজশাহীতে আমি ১০ বছর ঈদ বোনাস, ভাতা, মেডিক্যাল পাবার আবেদন করেছি আমাকে তা দিচ্ছে না । যে পেয়েছে তিনিও ১০০ ভাগ পেনশন বিক্রয় করেছে, বয়স ২৫ বছরের উপরে, আমাদের মধ্যে কোন প্রতিবন্ধী সন্তান/বিধবা কোন ওয়ারিশ নেই। আমি ঈদ বোনাস, ভাতা পেতে পারি কি না, যদি অনুগ্রহ করে জনালে অনেক উপকৃত হতাম,
২০১৬ সালে তো ফুল পেনশন বিক্রির সুযোগ ছিল না। আপনি কাগজপত্র ভাল করে চেক করে দেখুন। পেনশনার যদি পেনশন পুন:স্থাপন করে না যায় তবে পেনশন পুন:স্থাপিত করা যায় না। অন্যদিকে আপনার আম্মু পেনশনের যাওয়ার পর ১৫ বছরের মধ্যে মারা গেলে অবশিষ্ট সময়ে জন্য আপনি পেনশন পাবেন তা আপনার বয়স ৩০ পেরোলেও।
If I want to retire voluntarily after 12 years of qualifying service am I entitled to any gratuity or pension. In previous pension policies proportionate pension with respect to the length of qualifying service was mentioned. But in the latest SRO no mention was made on this issue. May I expect a feedback from you Sir.
No. Before 25 years of service completion, You are not entiled to gratuity or pension. If you are unable to continue service for disablity or paralisys or any disease and Medical board consider you as useless. You may go for pension voluntarily otherwise not.
বিচারপতি মাহবুব মোরশেদ এর স্বেচ্ছা অবসর বিষয়ক হাইকোর্টের রায় বিবেচনায় বর্তমানে সব সরকারি চাকুরীজীবীই কি যেকোন সময় অবসর নিতে পারবে এবং পেনশন সুবিধা পাবে?
না। সরকার আদেশটি গ্রহণ করে কোন বিজ্ঞপ্তি, প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। তাই ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে স্বেচ্ছায় অবসর আবেদন গ্রহণ যোগ্যই হবে না।
বৈধ উত্তরাধিকারী ঘোষণাপত্রে যদি মুল অংশ বা হার উল্লেখ না করে এক্ষেত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা আছে তারা কি উক্ত ঘোষণা পত্রের ক্ষমতা রাখে।উল্লেখ প্রথম স্ত্রী ও সন্তান্দের মাযে বৈধ মনোনয়ন দিয়ে যায়। দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উল্লেখ নাই। এ ঘোষণা পত্র আনুতোষিক ও অন্যান্য অনুদান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে। পেনশন নিয়ম অনুসারে প্রথম ও ২য় স্ত্রীর নামে বন্টন হবে।
আমার মা চাকুরিরত অবস্থায় করনা আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালে জুলাই মাসে মারা যান । আমার বাবা বেচে নাই । আমরা তিন বোন এক ভাই । মা মারা যাবার পরে আমরা সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ন্ত্রনকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাখিল করার পর আমার লামগ্রান্ড জিপি্এফ আনুতোষিক ও পেনশান মন্জুর করে হিসাব রক্ষন অফিসে প্রেরণ করেন। কিন্তু হিসাব রক্ষন অফিস থেকে আমাকে লামগ্রান্ড জিপি্এফ দিয়েছে ্আনুতোষিক ১৫ বছর মেয়াদে যে পেনশান পাবার কথা সেটা দেওয়া যাবেনা মর্মে ফেরত দিয়েছে। কারন জানিয়েছে ্আমাদের বয়স পচিশ পার। পেনশান না হয় পাবোনা আনুতোষিকও কি পাবনা ।২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কি কোন ্আদেশ অর্থমন্ত্রনালয় থেকে জারি হয়েছে
আমার মা চাকুরিরত অবস্থায় ৩৩ বছর চাকুরি করার পর করনা আক্রান্ত হয়ে ২১ সালে জুলাই মাসে মারা যান। আমার বাবা ও বেচে নাই । আমরা তিন বোন ১ ভাই । সবাই মিলে আমাকে ক্ষমতা পত্র দিয়েছে। সে মোতাবক আমার নামে লামগ্যন্ড জিপি্এফ আনুতোষিক ও পেনশান মন্জুর হয়। হিসাব রক্ষন অফিস থেকে আমাকে আনুতোষিক ও ১৫ বছর যে পেনশান পাওয়া যাবে তা দেওয়া যাবেনা বলে ফেরত দিয়েছে । এখানে ছেলে মেয়ের কি কোন আইন আছে । এখন আমার ভাই য়ের নামে কি আনুতোষিক ও পেনশান পাশ করতে হবে। হিসাব রক্ষন অফিসার বলেছেন আমরা আনিুতোষিক ও পেনশান পাবো না । এ বিষয়ে জানতে চায় । এখন আমাদের করনীয় কি
অবশ্যই পাবেন। কেন পাবেন না তার কারণ দর্শাতে বলেন হিসাবরক্ষণ অফিসকে।
পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ এর পরে কোন আদেশ জারি হয়নি। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, বয়স যাই হোক না কেন ১৫ বছর পর্যন্ত বিবাহিত ও ২৫ বছর উর্ধ্ব বয়সীরা পেনশন পাবেন। আনুতোষিকতো অবশ্যই পাবেন।
স্যার,আসালামুআলাইকুম, আমার পিতা,মৃত মোঃ আব্দুল হামিদ সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আমার মা,মৃত্যুর কারনে পারিবারিক পেনশন কি পাবো না,উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসার আমার হাতে,০৯/০৯/২০২১ সালের একটা কাগজ দেয় তাতে লিখা,বেসামরিক বিমান কতৃপক্ষের মৃত কর্মচারী ফজলুল হকের,তার স্ত্রীও মৃত, তার ছেলে পাবে না,উপ সচিব খালেদা নাছরিন এর সাক্ষর,আমাকেও না করেছে উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসার,সুসং দুর্গাপুর,নেত্রকোণা, আমি কি তাহলে পারিবারিক পেনশন পাবো না,অর্থ মন্ত্রণালয় কি এ রকম আদেশ দিয়েছে যে পারিবারিক পেনশন বন্ধ, জানালে উপকার হয়,ধন্যবাদ স্যার।
পারিবারিক পেনশন বন্ধ না। বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। গ্র্যাচুইটি পাবেন এবং অন্যান্য সুবিধা পাবেন আমার জানামতে।
ব্যাংকে ইএফটির মাধ্যমে পেনশন জমা হলে,পেনশনার মারা যাওয়ার সাথে সাথেই কি পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে? যদি মৃত্যুর তারিখের পরও ইএফটির মাধ্যমে পেনশন টাকা জমা হয়,সে ক্ষেত্রে, মৃত্যুর তারিখের পরবর্তী জমা কিভাবে ফেরত দিতে হবে? ধন্যবাদ।
চালানের মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে। মৃত্যুর সাথে সাথেই অনলাইনে মৃত্যুর সনদ আপলোড করুন। পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে। পেনশন অটো বন্ধ হবে না। ১১তম মাস পর্যন্ত পেনশন জমা হতেই থাকবে লাইফ ভেরিফিকেশনের সময় না আসা পর্যন্ত।
মৃত্যুর তারিখ পরবর্তী পেনশানের একাউন্টে ইএফটির মাধ্যমে জমা আর্থ কি তার সাকসেসর উত্তরাধিকারিরা দাবি করতে পারে?ধন্যবাদ।
অবশ্যই। ব্যক্তির সম্পদ বা টাকা বা গহনা উত্তরাধিকার আইন এবং ওয়ারিশ অনুসারে প্রাপ্য হবেন। তা সে পেনশন বা যে কোন টাকা ব্যাংকে জমা থাক না কেন?
মৃত পেনশান গ্রহীতার হিসাবে মৃত্যু তারিখের পরে যে টাকা ইএফটির মাধ্যমে অতিরিক্ত জমা হয়েছে, সেই অতিরিক্ত ড়ড়টাকা তার ওয়ারিশগন দাবি করলে,ব্যাংক দিতে পারবে ওয়ারিশগনকে?ধন্যবাদ।
ব্যাংক অন্যান্য কেস যেভাবে নিষ্পত্তি করে ঠিক সেভাবেই নিষ্পত্তি করবে।
সাধারনত ব্যাংক মৃত ব্যক্তির হিসাবে জমাকৃত অর্থ, তার নমিনি বা সাকসেসরগনকে নিয়মমাফিক দিয়ে থাকে।কিন্তু পেনশন গ্রহনকারীর হিসাবে যদি মৃত্যুর তারিখের পরও ইএফটির মাধ্যমে পেনশন জমা হয়,তখন পেনশন হিসাবধারির নমিনি,বা সাকসেসরগন উক্ত অর্থ ( মৃত্যু তারিখের পরে জমা) পাবেন কি? নাকি সংশ্লিষ্ট পেনশন কর্তৃপক্ষকে চালানের মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে? ধন্যবাদ।
মৃত্যুর পূর্বে জমাকৃত অর্থ নমিনি বা সাকসেসরগণ পাবেন কিন্তু মৃত্যুর পরের অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য। চাকরিতে প্রবেশের সময় সনদে বাংলা & ইংরেজি দুটোতেই মোহাম্মদ পুরো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মোহাম্মদের স্হলে মোঃ হয়ে সকল কাগজপত্রে আপডেট হয় NID সহ। এমনকি পেনশনের জন্য সকল তথ্য আপডেট করনের সময়ও মোহাম্মদের স্হলে মোঃ হয়।
চাকরি শেষ হলে পেনশনের ক্ষেত্রে কোন কোন সমস্যা হবে কি না?
জানালে উপকৃত হবো।
না কোন সমস্যায় পড়বেন না।
মৃত সরকারি চাকরি জীবি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে মারা যান,তাহলে কি মৃত ব্যক্তির মা ভাই বোন পেনশনের টাকা আংশ পাবে
যদি নমিনি না দিয়ে যায় তবে জিপিএফ ও আনুতোষিকের অংশ পাবে। মাসিক পেনশন স্ত্রী পাবেন প্রতিমাসে।
আমার খালা প্রাইমারী স্কুলে চাকুরী করতেন। ২০১৫ সালে পেনশনে যান। উনি অবিবাহিত ছিলেন বিধায় তিনি তার ছোট বোনকে পেনশনের নমিনী দিয়ে যান। উনি ২০২২ এর এপ্রিলে মারা যান। এরপর নমিনী ৩ মাস পেনশন পান। কিন্তু গত মাসে পেনশন ও উৎসব বোনাস জমা না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করা হলে বলা হয় উনি আর পেনশন পাবেন না; নতুন নিয়ম অনুযায়ী স্বামী/স্ত্রী অথবা সন্তান ছাড়া কেউ পেনশন পাবে না।
এটা কতটুকু সত্য? আমার খালা কি এখন পেনশন পাবেন???
এমন কোন নতুন আদেশ জারি হয়নি। https://bdservicerules.info/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%A8/
আসসালামু আলাইকুম স্যার, আমি ১১ বছর চাকরি করার পরে সেচ্চাই চাকরি থেকে অবসর নি, আমি কি পেনশনের দাবি করতে পারবো? দয়া করে জানাবেন!
না। ২৫ বছরের পূর্বে সেচ্ছায় অবসরে যাওয়া যায় না।
১৫ বৎসর সময় অতিক্রান্তের পর তাহার পেনশন পুনঃস্থাপন করার পাঁচ বছর পর যদি পেনশনার মারা যায় তাহলে তার সন্তান কি পেনশন পাবে?
অন্যান্য পারিবারিক পেনশনের মতই হবে। স্ত্রী, প্রতিবন্ধী সন্তান বা ২৫ বছরের নিচের বয়সী ছেলে মেয়েরা পাবেন। ২৫ বছর অতিক্রান্ত ছেলে মেয়েরা পাবেন না।
আমার বাবা, পুলিশ বাহিনী তে ছিলেন। তিনি অবসর গ্রহণ করে ছিলেন ২০১০ (এল, পি আর মাধ্যমে )।
তিনি ২০২০ সালে মারা যান, অবসর প্রাপ্ত ভাতা (পেনশন) পেতেন নিয়মিত পরে আম্মার নামে পেনশন দাখিল করি, আম্মা ও পেনশন পেতেন, তিনি (আম্মা) ২০২২ সালে মারা যান। আমরা তিন ভাই বোন।
বোন বয়স, ৩৪ বছর, ভাই ৩১ বছর, ভাই, ২৮ বছর।
আমার প্রশ্ন হল, বাবা, মা, দুইজনই ১৫ বছর অতিক্রম করতে পারে নাই, এখন কি আমরা পেনশন এর টাকা পাবো?
হ্যাঁ। পাবেন। আবেদন করুন।
আমি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত আছি। আমার স্বামী ও এক ছেলে আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি যদি হটাৎ মারা যাই তাহলে আমার জিপিএফ,লামগ্রান্ড,আনুতোষিক, ও মাসিক পেনশন কে পাবে,,,,,,,, আমার স্বামী সন্তান নাকি আমার মা বাবা?
আপনার স্বামী সন্তান। মাসিক পেনশন স্বামীই পাবেন। তবে যদি নমিনি দিয়ে যান তবে জিপিএফ তিনিই পাবেন।
আমি যদি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ১৬ বছর সরকারি চাকরি করে ইস্তফা দেই তাহলে কি আমি কোনো টাকা পাব?
না কোন টাকা পাওয়া যাবে না।
পেনশন ভোগরত অবস্হায় পেনশন বিক্রি করা যাবে কি?
না। কোন সুযোগ নেই।
আমার বড় ভাই ১১ বছর চাকুরী করে ইন্তেকাল করেন।তার মাসিক মূল বেতন ১৩৯০০ টাকা হলে তিনি আনুতোষিক কত টাকা পাবেন আার পেনশন কত টাকা পাবেন? তিনি আর কিকি সুবিধা পাবেন? দয়া করে জানাবেন।
আনুতোষিক ২৪৩২*২৬০ = ৬,৩২,৪৫০ টাকা আনুতোষিক। মাসিক পেনশন ৩০০০ টাকা+১৫০০ = ৪৫০০ টাকা। মৃত্যুর জন্য ৮,০০,০০০ টাকা। জিপিএফ এ যা জমা আছে। এবং লাম্পগ্র্যান্ট ছুটি যা জমা হয়েছে। ১৩৯০০*১২ মাস ছুটি যদি জমা থাকে = ১৬৬৮০০ টাকা। এই তো এসবই।
১ বছর পিআরএল শেষে মূল বেতনের সাথে ১ টি বর্ধিত বেতন যোগ করে পেনশন নির্ধারিত হয়। চাকরি কালিন কেউ মারা গেলে এভাবে সেই সময়ের মূল বেতনের সাথে বর্ধিত বেতন যোগ করে পেনশন নির্ধারিত হবে কি?
অবশ্যই হবে।
জটিল বিষয়। দয়া করে সমাধান দিন।
জনাব ক চাকরিতে ২৭ বছর অতিক্রম করার পর চাকরিরত অবস্থায় মারা গেছেন।
চাকরিরত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন, সেখানে তার একটি নাবালক পুত্র সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী অন্যত্র সংসার করছেন।
প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে। একজন বিবাহিতা, একজন অবিবাহিতা।
প্রশ্ন হচ্ছে পেনশন ও আনুতোষিক কে কিভাবে পাবেন? তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাবালক পুত্র কি পেনশন পাবে? আনুতোষিক কিভাবে ভাগ হবে?
পেনশন শুধুমাত্র ১ম স্ত্রী পাবেন। স্ত্রী- সন্তানগণ আনুতোষিক পাবেন। দ্বিতীয় স্ত্রী কোন কিছু পাবেন না কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান আনুতোষিক পাবেন। জীবিত বিধবা স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের সংখ্যা (প্রতিবন্ধী সন্তান ব্যতীত ২৫ বছরের অধিক বয়স্ক পুত্র সন্তান এবং বিবাহিত কন্যা বাদে) একত্রে ৪ এর অধিক হইলে প্রত্যেক জীবিত বিধবা স্ত্রী ১/৪ অংশ হারে পেনশন পাইবে। প্রত্যেক স্ত্রীকে ১/৪ অংশ হারে দেওয়ার পর কোন অংশ অবশিষ্ট থাকিলে উক্ত অংশ অবশিষ্ট অংশ প্রত্যেক যোগ্য সন্তান সমহারে পাইবেন। আরও বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন: https://bdservicerules.info/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87/
আদাব,বাবা পেনশন সমাপনকারী ১৪ বছর ২ মাস পরে মারা গিয়েছিলেন, মেডিকেল ২৫০০ টাকা পেতেন, আমার ভাই পতিবনধি, এখন আমার কি করার আছে?
পেনশন পুনস্থাপন হবে না। আজীবন মেডিকেল ও উৎসব ভাতা পাইবে। সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করুন।
আবেদনের ৪ বছর,কোন জবাব নেই,সমস্য বাবা ডাক নাম দিয়ে গেছেন,নমিনি পতিবনধি দেওয়া নাই, এখন আমার কি করার আছে,পতিবনধি কাগজ সবকিছু টিক আছে আমার
এককালীন পেনশন সমাপনকারী ১৪ বছর ২ মাস পরে মারা গেছেন।পতিবনধি ছেলে উল্লেখ করেন নাই, নমিনি ছেলের ডাক নাম দেওয়া,পরের নমিনি নামে সঠিক দেওয়া, আবেদন করেছি ৪ বছর, এখন কি করার আছে আমার।
প্রকৃত ডকুমেন্ট জমা করুন। সুরাহা হবে নিশ্চয়ই।
ডাক নাম দিয়েছেন সেটি কোন সমস্যা নয়। স্থানীয় সরকার বা ইউপি হতে প্রত্যয়নপত্র নিন।
আসসালামু আলাইকুম স্যার, আমি বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমানে কর্মরত আছি। আমার বাবা বাংলাদেশ পুলিশ থেকে ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন, 06/03/2023 উক্ত তারিখে আমার মা মারা যান। আমরা এক ভাই এক বোন (তালাকপ্রাপ্ত)+(একটি ছেলে আছে)।আমার প্রশ্ন হল, উত্তরাধিকার হিসেবে আমি এবং আমার বোন কি পারিবারিক পেনশন পরবর্তীতে পাবো কিনা!?? বা আমরা দুজন পারিবারিক পেনশন উত্তোলন করতে পারব কিনা? এক্ষেত্রে আমার বাবার করনীয় কি??? যাতে উনার মৃত্যুর পরে আমরা কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে চাচ্ছি না। কি করলে আমরা ঝামলামুক্ত থাকবো????
২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে এবং মেয়ে পাবেন। এছাড়াও আপনার বাবা পেনশনে যাওয়ার পর ১৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত আপনারা পেনশন পাবেন। এ দুটি শর্তেই বিধবা এবং কন্যা বা পত্র সন্তান পেনশন প্রাপ্য হন।
আলাইকুম স্যার, আমি বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমানে কর্মরত আছি। আমার বয়স ২৮। আমার বাবা বাংলাদেশ পুলিশ থেকে ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন, 06/03/2023 উক্ত তারিখে আমার মা মারা যান। আমার বয়স ২৮, বোনের বয়স ২৯(তালাকপ্রাপ্ত) । পিতার মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা দুই ভাই বোন কি পারিবারিক পেনশন উত্তোলন করতে পারবো???? এর জন্য কি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আগে থেকে আমার পিতা আবেদন করতে পারবে কি???
২০১৯ সাল থেকে ১৫ বছর পূর্তি পর্যন্ত পেনশন পাবেন।
১.) ২১/০২/২০২২ সালে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করে।তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন।কনস্টেবল পদে। তার চাকরির বয়স মাত্র সাত বছর। মৃত্যু কালীন সময়ে তার একমাস তিন দিনের একটি পুত্র সন্তান রেখে যায়।এখন আমি কি তার বকেয়া রেশন এবং পারিবারিক পেনশন উত্তোলন করতে পারব কিনা???
২.) আমি যদি বিবাহ করি তাহলে উত্তরাধিকার সূত্রে আমার সন্তানের নামে পারিবারিক পেনশন স্থানান্তর করতে পারব কি??
৩.)পুলিশ কমিউনিটি ব্যাংকে তার একটি লোনও আছে।মারা যাওয়ার আগেই নেওয়া হয়েছে।
৪.)এখনো আমি কোনো আর্থিক সহায়তা পাই নি।কতো টাকা পাবো?
১। বকেয়া রেশন ও পারিবারিক পেনশন তুলতে পারবেন।
২। পারবেন। ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান তা পাবেন।
৩। লোনটি মৃত্যু জনিত ও আর্থিক অক্ষমতাজনিত কারণে দেখিয়ে মওকুফের আবেদন করুন।
৪। অনুগ্রহ করে শেষ কর্মস্থলে যোগাযোগ করুন দ্রুত পাবেন। বেশ কয়েক রকমের আর্থিক সহায়তা পাবেন ন্যুনতম পেনশন ৩০০০ টাকা পাবেন। আনুতোষিক ও জিপিএফ ও কল্যানবোর্ডের আর্থিক অনুদান পাবেন।
আমার পারিবারিক পেনশন শুরু 1/2/2016,শেয 8/11/2022 ৷লাইভ ভেরিফিকেশন দরকার আছে কি !দয়া করে জানাবেন সার ৷
শেষ হলে দরকার নেই। তবে প্রতি ১১ মাস পূর্ণ হলেই পরবর্তী পেমেন্ট পেতে লাইভ ভেরিফিকেশন লাগে।
আমার ভাই দৃযটি পতিবনদি সমাজ কল্যাণ অফিসের কাড আছে | আমার বাবা মা মারা জাওয়ার আগে এজি অফিসে অবগত করেন নাই! আমি কি উনাদের পেনশন পেতে পারি সার !
একই সাথে সরকারি দুটি সুবিধা পাওয়া যাবে না। আপনার বয়স যদি ২৫ এর নিচে হয় তবে আপনি পেনশন পাবেন। আবার যদি আপনার পিতা পেনশনের যাওয়ার সময় থেকে ১৫ বছর অতিক্রান্ত না হয় তবেও পেনশন পেতে পারেন।
আমি বিধবা আমার বাবা মারা যাবার পর আমার মা পেনশন পেতেন। আমার মা মারা গেছেন ১২ বছর।এখনবিধবা মেয়ে হিসেবে আমি কি আমার মৃত বাবা-মায়ের পেনশন পাবো?
না। যদি পেনশন শুরুর তারিখ হতে ১৫ বছর পূর্ণ হয় এবং আপনার বয়স ২৫ বছর অতিক্রম করে তবে দুটি ক্ষেত্রেই পাবেন না।
শতভাগ সমর্পনকারী একজন ২০১০সালে অবসরে গেছেন, ২০১৬ সালে ওনার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২০১৯সালে উনি আবার বিয়ে করেন, এখন প্রশ্ন হলো ২০২৬ সালে পেনশন পুনঃস্থাপনের পর উনি মারা গেলে ২য় স্ত্রী কি পেনশন ও অন্য ভাতা পাবেন?
পেনশনে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করলে স্ত্রী পেনশন পায় না। তবে পূর্বের স্ত্রী মারা গেলে সেক্ষেত্রে কোন নির্দেশনা নেই।
এককালীন পেনশন সমাপনকারী পতিবনধি ছেলে নতুনভাবে আবেদন ১ মাস হয়েছে, পতিবনধি ছেলে বয়স ৩৮, বাবা ১৪ বছর ২ মাস বেঁচে ছিলেন। সুরহা হতে কত দিন লাগবে
৩ মাসের মধ্যেই হয়ে যায়।
এককালীন পেনশন সম্পন্নকারী তার মৃত্যুর আগে প্রতিবন্ধী ছেলে উল্লেখ করে যান নি,এখন কাগজ পত্র ঠিক আছে,২ বার আবেদন করতে জানতে পারলাম মেডিকেল পাবে না,এখন আমার করণীয়
প্রমানক থাকলে অবশ্যই পাবেন। আপনি সমাজসেবা থেকে প্রতিবন্ধী সনদ নিন এবং সর্বশেষ কর্মস্থলে যোগাযোগ করুন।
সমাজ সেবা অফিস থেকে জানতে পারলাম, সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে কাড আসে,ব্য্ংক ফরম দিসে,আদাব
আদাব,এককালিন পেনশন সমাপনকারী ১৫ বছর পরে মারা গেলে, ছেলে নমিনি, ২ জন, একজন পতিবনধি ও একজন সুস্থ তখন কি হবে
১৫ বছর পর পেনশন পুন:স্থাপন করে মারা গেলে স্ত্রী বা প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তবে তারা দুজনের একজন পেনশন পাবেন। ১৫ বছর পর পেনশন পুন:স্থাপন করে মারা গেলে ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে পেনশন পাবেন না।
Pensioner dead .his waife dead but one son damage his two eyes.he got his mother pension.tell me sir.
সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে প্রতিবন্ধী সনদ সংগ্রহ করে পেনশনের আবেদন করতে হবে। পাবে।
Sir ,father&mother no infrom his office his son two eyes damage.anyway his son got pension life time.answer me please.other pepars all OK.his card somag seba office pay 5/7/2018.
নো প্রবলেম। অফিসকে আপনারা উপযুক্ত প্রমানক সহ অবগত করুন।
Familly Pension stat 2/4/91 and pensioner dead 5/6/2020 .one son protibondi eye.his father&mother no information his office.his son get pension .tel me sir.Ag office say pabe na.
Pension stat 3/7/1991&she is dead 3/6/2020 one son eyes protibondi but no information ag office .son got pension.somag seba card ase. Card give him 4/1/2018
কার্ড যেহেতু পরে পেয়েছে। তবুও কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করুন।
আপনি কর্মচারীর শেষ কর্মস্থল থেকে মঞ্জুরী নেয়ার আবেদন করুন।
Pensioner dead his waife dead one son protibondi no in from Ag office &pensioner office .he got pension.he is protibondi card paysen 1/5/2018.Ag office say pabana.why ?kono notun niom ass ki sir.tel me.
Familly pension pabe sons 15 years ?
না। পেনশনে যাওয়ার ১৫ বছর পর্যন্ত অথবা ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত।
না। সর্বশেষ অফিসে যোগাযোগ করে মঞ্জুরি নিতে পারলে এজি অফিস দিতে বাধ্য।
Pensioner dead 2/5/1991and his waife dead 6/5/2021 one son protibondi .no infrom Ag&his office .Ag office say he pension Pa be na .protibondi card paysen 1/5/2018.kano Pa be na answer me sir.
আপনি সর্বশেষ কর্মস্থল হতে যদি পেনশন মঞ্জুর করাতে পারেন তবে পাবে।
এককালীন পেনশন সমাপনকারী পতিবনধি ছেলে নতুনভাবে আবেদন করেছি সবগুলো কাগজ টিক টাক,সোনালী ব্যাংক বলছে হবে না,নতুন আবেদনের ২.৫ মাস এখন কি করার আছে আমার
সম্পূর্ণ পেনশন সমপর্ণকারীদের পেনশন পুন:স্থাপন হলে তবেই সন্তান পূর্ণ পেনশন দাবী করতে পারবেন। অপর দিকে সন্তানের বয়স যদি ২৫ এর নিচে থাকে অথবা পেনশনার পেনশনে যাওয়ার দিন থেকে ১৫ বছর পূর্ণ না হয়ে থাকে তবেই সন্তান পেনশন পাবেন অন্যথায় নয়।
পেনশন পাবে না বুঝলাম পতিবনধি ছেলে, মেডিকেল ভাতা পাবে না সোনালী ব্যাংক, বাবা ১৪ বছর ২ মাস বেঁচে ছিলেন, পতিবনধি ছেলে কাগজপত্র হাতে আসার আগে বাবা মারা যান, পতিবনধি ছেলে বয়স ৩৯ বছর, ১ ম বার আবেদন ৪ বছর,এখন আবেদন ২.৫ মাস, এখন ও তারা ফাইল দেখে নি,খবর নিয়ে জানতে পারলাম হবে না,
সোনালী ব্যাংকের হেড অফিসে অভিযোগ করুন। তবে এক্ষেত্রে প্রতিনিধি ছেলে পেনশন কয়েক মাসের জন্য পাবেন। তবে যেহেতু শুধু মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতা ৭-৮ মাসের জন্য তাই হয়তো ব্যাংক আমলে নিচ্ছে না ।
বাবা মারা যাবার পর মা পেনশন পেতেন… মা ও মারা গেছেন…. কিন্তু পেনশনের মেয়াদ ১৫ বছর পূর্ণ হতে ২ বছর মত বাকি আছে….AG অফিস থেকে বলা হইছিল বাকি ২ বছর পেনশন মেয়েরা পাবে….সেই হিসাবে সব কাগজ রেডি করে জমা দেয়ার পর এখন বলতেছে যে পাবে না…দুই কন্যা সন্তানই বিবাহিত এবং দুইজনের বয়স ৩০+
এখন কি কোন নতুন নিয়ম করছে বয়স এর হিসাব নিয়ে ??
নতুন নিয়ম করেনি। ২ বছর পাওয়ার কথা। আপনি পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ দেখুন। https://bdservicerules.info/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A6/
পেনশনার চিকিৎসার নিমিত্তে দেশের বাইরে কিছুদিনের জন্য গেলে তার পক্ষে নমিনি, বা ওয়ারিশান কেউ কি পেনশনের টাকা উঠাতে পারে?
পারবেন। অথরিটি লাগবে। তবে এখনতো ব্যাংক হিসেবে পেনশন পাঠানো হয় তাই ব্যাংক চেক বা কার্ড হলেই হয়।
আমার মা পি আর এল থাকা অবস্থায় গত ০২/০৪/২০২৩ এ মৃত্যুবরন করেন। বাবা বেঁচে নেই। আমরা ২ ভাই ১ বোন। সবার বয়স ৩০ বছরের উপরে। আমরা কি আনুতোষিক এবং পেনশন পাবো?
আনুতোষিক পাবেন। পেনশনও ১৫ বছর পাবেন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও পাবেন।
আমার মা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পিআরএল উপভোগ করার সময় তিনি 02.04.2023 তারিখে মারা যান। তার মৃত্যুর পর আমরা গ্র্যাচুইটি এবং পেনশনের জন্য আবেদন করি। আমরা পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য কি না জানতে চেয়ে শিক্ষা অফিস অ্যাকাউন্টস অফিসে চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু অ্যাকাউন্ট অফিস মৌখিকভাবে আমাদের জানায় যে, আমরা পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি ভোগ করার যোগ্য নই কারণ আমরা দুই ভাই এবং এক বোনের বয়স 25 বছরের বেশি। আমাদের বাবাও মারা গেছেন। তারা আমাদের 20.07.2023 তারিখে প্রকাশিত একটি রেফারেন্স সার্কুলার দিয়েছে। আমরা এই বিষয়ে পরামর্শ চাইছি।
সাকুর্লারটি মেইল করুন: alaminmia.tangail@gmail.com আমার জানামতে গ্র্যাচুইটি তো পাবেনই। পেনশনও ১৫ বছর পর্যন্ত পাবেন।
a mail sent to alaminmia.tangail@gmail.com pension regarding circular.
৩.০৪ পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমা
পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের বয়সসীমা হইবে ২৫ বৎসর। প্রচলিত বিধানের যেই সকল ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের কোন বয়সসীমা বর্তমানে উল্লেখ নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে বয়স নির্বিশেষে সকল পুত্র সন্তান পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-০৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ এর অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(ii)-এর অনুসরণে ১৫ বৎসরের মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে শুধু উক্ত সময় পৃর্তি পর্যন্ত তিনি পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত সরকারি কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে পেনশন/আনুতােষিক প্রাপ্য হইবেন।
২০২০ সালে জারিকৃত এই আইন অনুসারে স্পষ্টভাবেই প্রাপ্য হইবেন। কিন্তু যে আদেশ আমাকে মেইল করেছেন সেই আদেশ পুরোপুরি এই আইনের সাংঘর্ষিক দেখা যাচ্ছে। এমন আইন বা আদেশ আজও আমি দেখি নাই। ভাল হয়। আপনারা কাগজপত্র সহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করুন এবং এজি অফিসকে বলুন যেন কেসটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠায়।
আমার বাবা একটি সরকারি স্কুল এ চাকরিরত অবস্থায় গত 08/07/2012 ইংরেজি তারিখে মারা যান।মারা যাবার সময় তিনি প্রথম স্ত্রীর একজন পুত্র সন্তান বয়স 25+ (প্রথম স্ত্রী ডিভোর্সড) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর এক পুত্র সন্তান +এক মেয়ে সন্তান রেখে যান।এখন প্রশ্ন হলো, প্রথম ডিভোর্সড স্ত্রীর 25+ বয়সের পুত্র সন্তান কি তাহার বাবার আনুতোষিক এবং পেনশনের অংশ পাবেন?বা অন্যান্য সম্পদের অংশ কি পাবেন?জানালে উপকৃত হব।। বেলায়েত হোসেন/নওগাঁ।
মাসিক পেনশন পাবে না। তবে জিপিএফ ও আনুতোষিকের অংশ পেতে পারেন। আনুতোষিক ও অবসর ভাতা উত্তোলন করিবার জন্য ক্ষমতা অর্পণ ফর্মে তার স্বাক্ষর লাগবে।
স্যার, আসসালামু আলাইকুম। আমার একটি সমস্য শেয়ার করছি। আশা করি আপনার কাছ থেকে সঠিক উত্তর পাব।
২০০৮ সালে আমার বাবা ভূমি মন্ত্রনালয়ে (বেঞ্চ সহকারী, উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস) চাকুরী করাবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। আমার বাবার মৃত্যুর ৪০ দিনের মধ্যে আমার আম্মাও মারা যায়। পরে অফিসের পরামশে আমার অবিবাহিত বোন কে পেনশন উত্তোলনের ক্ষমতা দিলে তার নামে পেনশন ও মাসিক সুবিধা শুরু হয়। ২০১২ সালে আমার উক্ত বোনের বিবাহ হয়ে গেলে তাহার মাসিক পেনশন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা ২ ভাই ৫ বোন। সবাই বিবাহিত। আমরা জানতে পারি যে, এইক্ষেত্রে ১৫ বছর আমার বাবার পেনশন পাওয়া যাবে। এছাড়া পেনশন সহজীকরণ আইন ২০২০ ৩.০৪ পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমায় বাকী পেনশন উত্তোলন করার সুবিধা আছে মনে হয়। কিন্তু অফিস বলছে আমরা বাকী ১১ বছরের মাসিক পেনশন পাব না । এই বিষয়ে আপনার পরামর্ প্রয়োজন।
২০১২ সালে মারা যায়। তখনই আপনাদের আবেদন করা দরকার ছিল। ১৫ বছর পাবেন তা বিবাহিত বা অবিবাহিত হোক। পেনশন বন্ধ করা উচিৎ ছিল না। তবে আপনার বাবার শেষ কর্মস্থল হতে ফাইল পুনরায় প্রেরণ করলে বকেয়া পেনশন পেতে পারেন। ১৬ বছর ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে।
আসসালামু আলাইকুম, স্যার আমার বাবা-মা দুজনেই সরকারি চাকরি করতেন আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মা পেনশন পেতেন, এখন আমার মা ও মারা গেছেন এই অবস্থায় আব্বা ও আম্মার পেনশন কি আমরা যারা ছেলে সন্তানরা আছি তারা কি পেতে পারি।
সন্তানেরা পাবেন যদি বয়স ২৫ ক্রস না করে অথবা তারা পেনশনে যাওয়ার যদি ১৫ বছর অতিক্রম না করে তবে ৩০ ক্রস করলেও পাবেন। হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাবা পেনশন সমাপনকারী ১৪ বছর ২ মাস বেঁচে ছিলেন। পতিবনধি ছেলে পয়োজনিয় কাগজ আবেদন ১ বছর কোন সুরহা হয় নাই, এখন আমার করনিয়।
পেনশন কি পুনস্থাপন করে গিয়েছিলেন? যদি না গিয়ে থাকে। তবে শুধু চিকিৎসা ভাতা প্রতিমাসে এবং বছরে ২টি উৎসব ভাতা ও একটি বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন।
স্যার আদাব,পেনশন পুনঃ সাপন করে যান নি,চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা কোনটিই হবে না বলছে শীমঈল সোনালী ব্যাংক ম্যনেজার,আমার করণিয় স্যার।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। পেনশন এন্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্ট হেল্প লাইনে কল করে অভিযোগ করুন এবং সহযোগিতা নিন।
স্যার, আসসালামু আলাইকুম। আমার একটি সমস্য শেয়ার করছি। আমার বাবা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মচারী ২০১৬ সালে অবসরে যান এবং ২০১৬ সালের নভেম্বরে মারা যান । আমার নামে পেনশন চালু হয়। মা ২০২৪ সালে মারা যান। আমরা ১ভাই ২বোন সাবাই বিবাহিত এং সবার বয়ষ ৩০ এর উপরে। এই ক্ষেত্র আমরা কি বাবার পেনশন এর কোন সুবিধা পাবকি যানাবেন।
পাবেন। ২০১৬ সাল হতে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পাবেন।
আসসালামু আলাইকুম, একটা জানার বিষয় যে আমার বাবা বাংলাদেশ পানি উন্নয়নে বোর্ডের একজন কর্মচারী ২০১৬সালে তিনি অবসরে যান এবং একই বছরের (২০১৬ সাল) মার্চ মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে মনোনিত হিসাবে আমার মা পেনশনের টাকা পান। আমার মা ২০২৪সালের ১৯মে ইন্তেকাল কনরন। আমরা এক ভাই দুই বোন সাবাই বিবাহিত এবং সবার বয়স ৩০বছরের উর্ধে। এছাড়াও আমাদের পরিবারে কোন প্রতিবন্ধি/বিধবা এবং তালাকপ্রাপ্ত কেও নাই। এক্ষেত্রে আমাদের একটি জানার বিষয় যে, পেনশনের টাকা আমাদের পরিবারের কেও পাবার যোগ্যতা রাখে কিনা?
রাখে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পরিবারের ৩০ এর নিচে বা তদুর্ধ্ব যাই থাকুক না কেন পেনশন পাবেন।
আসসালামু আলাইকুম। আমার মা একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশ (CAAB) এ কর্মরত ছিলেন। চাকরিররত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে। আমি তার সন্তান আমার বয়স ৩০। আমি আমার মায়ের অফিসে অনেকবার যোগাযোগ করেছি। তারা বলছে বয়স ২৫ এর উপরে হওয়ায় আমি পেনশন সহ আদার্স কোন সুবিধাই পাবো না। শুধুমাত্র জিপিএফ এর টাকাটাই পাবো। তারা বলছে নতুন সরকার এসেছে তারা যদি এই রুলস চেঞ্জ করে তাহলে পেনশনের টাকা সহ সমস্ত টাকা পয়সা পাবেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার কি পেনশনের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে? কাইন্ডলি স্যার আমাকে বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করবেন। আমি এই বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করবেন। ধন্যবাদ।
অবশ্যই আছে। এটি পূর্বেও কার্যকর ছিল কিন্তু হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো প্রয়োগ করছিল না। আপনি পুনরায় যোগাযোগ করে দেখুন।
আমার শাশুড়ী সরকারি চাকুরী অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তার ওয়ারিশ বলতে আমার ওয়াইফ ছাড়া অন্য কেউ নাই।সেক্ষেত্রে আমার ওয়াইফ কি মাসিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
পাবেন। পেনশনে যাওয়ার ১৫ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পাবেন।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাবা রেলওয়েতে চাকুরী করতেন। তিনি ২০২১ সালে মৃত্যুবরন করেন। তার মৃত্যুকালে ওয়ারিশ হিসেবে একজন স্ত্রী, একজন অবিবাহিত কন্যা, ২জন প্রাপ্তবয়স্ক পুএ একজনের (বয়স২৪), আর একজনের (বয়স-৩৪) রেখে যান। (৩৪ যার বয়স) তিনি পূর্বে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সন্তান। ১৯৯৫ সালে সেই তালাক কার্যকর হয়।
তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সন্তানের হয়রানির কারনে এখন পর্যন্ত কোন টাকা রেলওয়ে থেকে পাওয়া হয়নি। আগে ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে কোন সন্তান পেনশন এবং গ্রাচুইটির টাকা পাইতেন না। বর্তমানে পেনশনের নতুন নিয়ম ২০২৪, আনুযায়ী ২৫ বছরের উর্ধ্বে সন্তান কি টাকা পাবে??
পেনশনের নতুন নিয়ম ২০২৪, (১ জুলাই ২০২৩) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাবার মৃত্যু সাল ২০২১ সে অনুযায়ী কি নতুন আইন কার্যকর হবে???
পূর্বেও পেত। পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০০৯ দেখুন। এখনও সন্তান হিসেবে তার প্রাপ্য অংশ পাবেন। নতুন আইন নাতি ও জামাতা পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে।