বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তাগণের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কিত নীতি ও পদ্ধতি ১৯৯২ এবং জন প্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা (PATP) ২০০৩ অনুযায়ী বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য সরকারী মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন মেয়াদী বৃত্তি (Scholarship) আন্ত: মন্ত্রণালয় বৃত্তি বরাদ্দ কমিটির অনুমোদনে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে বন্টন করা হয়ে থাকে। সমপ্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আন্ত:মন্ত্রণালয় বৃত্তি বরাদ্দ কমিটির সিদ্ধান্ত মতে বা তার কার্যোত্তর অনুমোদনের শর্তে যে সকল বৈদেশিক বৃত্তির সুযোগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে বরাদ্দ করা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে সকল কর্মসূচী/প্রোগ্রামে কর্মকর্তা মনোনায়নের সময় উল্লিখিত নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
বিদেশ প্রশিক্ষণ শাখা
নং সম/বিঃপ্রঃ)/৮০/৯২(অংশ-১)-৭৮৫(১৫০), তারিখ: ১৭-১২-২০০৮।
বিষয়: বিদেশ প্রশিক্ষণ নীতিমালার প্রতিপালন সংক্রান্ত।
উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তাগণের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কিত নীতি ও পদ্ধতি ১৯৯২ এবং জন প্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা (PATP) ২০০৩ অনুযায়ী বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য সরকারী মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন মেয়াদী বৃত্তি (Scholarship) আন্ত: মন্ত্রণালয় বৃত্তি বরাদ্দ কমিটির অনুমোদনে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে বন্টন করা হয়ে থাকে। সমপ্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আন্ত:মন্ত্রণালয় বৃত্তি বরাদ্দ কমিটির সিদ্ধান্ত মতে বা তার কার্যোত্তর অনুমোদনের শর্তে যে সকল বৈদেশিক বৃত্তির সুযোগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে বরাদ্দ করা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে সকল কর্মসূচী/প্রোগ্রামে কর্মকর্তা মনোনায়নের সময় উল্লিখিত নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না।
বিশেষতঃ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে
প্রস্তাবিত কর্মকর্তার হালনাগাদ তথ্য যাচাই এবং (Personal Data Sheet (PDS) নিরীক্ষা না করে দাতা সংস্থায় মনোনয়ন প্রেরণ করার পর যখন চূড়ান্ত মনোনয়ন আসে তখন জটিলতার সৃষ্টি হয়। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাড়পত্র প্রদানের সময় PDS নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় একই কর্মকর্তার পূর্বে কোন দীর্ঘ মেয়াদী বৈদেশিক কোর্সের সমাপ্তির পর সুনির্দিষ্ট চাকুরির মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়নি। এতে বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী ঐ কর্মকর্তার জন্য ছাড়পত্র প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
পক্ষান্তরে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তির পর আর কোনো বিকল্প কর্মকর্তা নির্বাচনের সুযোগ থাকে না। এভাবে সিভিল কর্মকর্তাদের বৈদেশিক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নষ্ট হওয়া দুর্ভাগ্যজনক।
২। বিদেশ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা, ১৯৯২ এবং জন প্রশাসন প্রশিক্ষণ নীতিমালা, ২০০৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী বৈদেশিক বৃত্তির সুযোগের সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার নিশ্চিত হওয়া উচিত। প্রার্থী মনোনয়নের সময়ে প্রস-াবিত বৃত্তি/উচ্চ শিক্ষা কর্মসূচীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তার বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি শর্ত বিবেচনার সঙ্গে সঙ্গে যে কর্মকর্তা পূর্বে কখনো বিদেশে কোনো কোর্সে অংশগ্রহণ করেননি এবং ব্যাচভিত্তিক মেধা তালিকা উভয় বিষয়কে প্রাধিকারের ভিত্তি নির্ধারণ করার জন্য বিগত ২০-১১-২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী বাছাই কমিটির ১০/২০০৮ নং সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বৈদেশিক প্রশিক্ষণে মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ প্রার্থী/কর্মকর্তাকে মনোনীত করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হতে ইতোপূর্বে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
৩। এমতাবস্থায়, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/বিদেশে উচ্চ শিক্ষা কোর্সে কর্মকর্তা মনোনয়নের পূর্বে কর্মকর্তাদের PDS ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই এবং প্রচলিত বিদেশ প্রশিক্ষণ সংক্রান- নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
৪। দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে উক্ত রূপ মনোনয়ন, চূড়ান্ত নির্বাচন (Final Acceptance) প্রাপ্তিতে আবেদন অনুমোদনের জন্য অগ্রায়ন এবং বিদেশে বিভিন্ন মেয়াদে সফর/সৈমিনার/ওয়ার্কশপ/প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের সকল কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডার হতে আগত উপ-সচিব এবং তদূর্ধ কর্মকর্তাগণের নাম, পরিচিতি নম্বর ও বর্তমান কর্মস্থল উল্লেখসহ জারিকৃত সরকারী আদেশের (জিও) কপি আবশ্যিকভাবে সংস্থাপন মন্ত্রালয়ের সচিব (দৃষ্টি অকর্ষণঃ যুগ্ম-সচিব, সিপিটি অনুবিভাগ) এবং সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, পিএসিসি বরাবর প্রেরণ নিশ্চিত করণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
দেবব্রত চক্রবর্তী
সিনিয়র সহকারী সচিব।