সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন ২০২৩ । সুরক্ষা স্কীমে ৫০০০ টাকা চাঁদায় মাসিক ১,৭২,৩২৭ টাকা?

ডিপিএস না করে সরকারি সুরক্ষা পেনশন স্কিমে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা চাঁদা জমা করে বুড়ো বয়সে মাসিক ১,৭২,৩২৭ টাকার আর্থিক সুরক্ষা পাওয়া যাবে – সর্বজনীন পেনশন ২০২৩

জাতীয় পেনশন স্কীম কবে চালু হবে?  –চলতি মাসের ১৭ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পেনশন স্কীম উদ্বোধন করবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এনআইডি ব্যবহার করে, প্রবাসীরা পাসপোর্ট ব্যবহার করেও পেনশন স্কীম খুলতে পারবেন- মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেও প্রতিমাসে বা বার্ষিক ভিত্তিতে চাঁদা জমা করা যাবে।

পেনশন স্কীম কি যখন তখন ভাঙ্গা যাবে? হ্যাঁ। যখন তখন পেনশন স্কীম ভাঙ্গা যাবে অথবা চাঁদার হার হ্রাস বা বৃদ্ধি করা যাবে। বিলম্ব মাসুল সহ একাধিক বকেয়া কিস্তি পরিশোধ করা যাবে। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব কর্মক্ষম নাগরিক সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীগণও এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন।

পেনশন কত বছর বয়স হলে শুরু হবে? ৬০ বছর পূর্ণ হলেই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বৎসর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বৎসর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বৎসরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীগণও এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি ৭৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন।

প্রান্তিক বা গরীর মানুষের জন্য কি আছে? গরীর বা প্রান্তির ভাতা ভোগী মানুষ যদি ভাতা বাতিল করে এ স্কীম গ্রহণ করে তবে ৫০০ টাকা চাঁদা দিলে সরকার ৫০০ টাকা ভর্তুকী দিয়ে ১০০০ টাকা স্কীম চালু করবে। নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পেনশন কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারে। পেনশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সরকার নির্বাহ করবে। পেনশন কর্তৃপক্ষ তহবিলে জমা করা টাকা নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী বিনিয়োগ করবে।

দেশের যে কোন বৈধ নাগরিক জাতীয় পেনশন স্কীমের আওতায় আসতে পারবেন / সরকারি কোষাগারে চাঁদা জমা হবে তাই কোনক্রমেই আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে না।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের আপাতত নতুন জাতীয় পেনশন–ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁদের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩ । ন্যূনতম মাসিক ১৫৩০ টাকাসহ সরকারি ৪টি পেনশন স্কীম দেখে নিন

Download Full Pension Scheme PDF Download

চাঁদা জমার ক্ষেত্রে শর্তাবলী । চাঁদা প্রদানকারী মারা গেলে কি স্ত্রী/স্বামী পেনশন পাবেন?

  1.  ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। হ্যাঁ। চাঁদা দাতা ১০ বছর পূর্ন করে মারা গেলে অথবা পেনশন পাওয়া অবস্থায় মারা গেলে স্ত্রী/স্বামী পরবর্তীতে পেনশন প্রাপ্ত হবে।
  2. প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি আলাদা পেনশন হিসাব থাকবে। ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে।
  3. সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে কর্মী বা প্রতিষ্ঠানের চাঁদা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে।
  4. মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারিত থাকবে। তবে প্রবাসী কর্মীরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
  5. সুবিধাভোগীরা বছরে ন্যূনতম বার্ষিক জমা নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় তাঁর হিসাব সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে হিসাব সচল করতে হবে।
  6. সুবিধাভোগীরা আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে চাঁদা হিসেবে বাড়তি অর্থ (সর্বনিম্ন ধাপের অতিরিক্ত যেকোনো অঙ্ক) জমা করতে পারবেন।
  7. পেনশনের জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা অর্থাৎ ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত লভ্যাংশসহ জমার বিপরীতে নির্ধারিত হারে পেনশন দেওয়া হবে।
  8. পেনশনধারীরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন–সুবিধা ভোগ করবেন।
  9. নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি বাকি সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।

পেনশন স্ক্রীমে জমাকৃত টাকা কি এককালীন তোলা যাবে?

না। পেনশন কর্মসূচিতে জমা করা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে নিবন্ধিত চাঁদা দানকারী মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। এ ব্যবস্থা স্থানান্তরযোগ্য ও সহজগম্য অর্থাৎ কর্মী চাকরি পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তন করলেও তার অবসর হিসাবের স্থিতি, চাঁদা প্রদান ও অবসরসুবিধা অব্যাহত থাকবে।

Pension for All People । সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

2 thoughts on “সর্বজনীন পেনশন ২০২৩ । সুরক্ষা স্কীমে ৫০০০ টাকা চাঁদায় মাসিক ১,৭২,৩২৭ টাকা?

  • পেনশন পাবো কি ৬০ বছরের পর থেকে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *