সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৪

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ২০২৪ । সাংগঠনিক কাঠামোতে ৫৭টি পদ সৃষ্টি করা হলো?

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইউপেনশনের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য পেনশন সুবিধা পরিচালনা করবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাঁদা সংগ্রহ এবং পেনশন বিতরণ করবে–জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন কি? সর্বজনীন পেনশন হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে দেশের প্রায় সকল নাগরিকই একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত নিয়মিত অর্থ জমা দিয়ে ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেনশন হিসাবে পেতে পারেন। এটি এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তার জাল, যা বয়স্কদের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

কেন সর্বজনীন পেনশন গুরুত্বপূর্ণ? বয়স্কদের আর্থিক সুরক্ষা বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকে কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। সর্বজনীন পেনশন এই সময়ে তাদের আর্থিক সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করে। সামাজিক স্থিতিশীলতা বয়স্কদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেশের উন্নয়ন সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের একটি সূচক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন কেন? বাংলাদেশ সরকার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে, যার লক্ষ্য দেশের সকল নাগরিককে এই সুবিধার আওতায় আনা। এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো বয়স্কদের জন্য আর্থিক সুরক্ষা বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। সঞ্চয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলা মানুষকে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তোলা। দারিদ্র্য হ্রাস দারিদ্র্যের হার কমাতে সহায়তা করা।

নির্বাহী চেয়ারম্যান পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রধান / ইউপেনশন জনবল কাঠামো দেখুন

১০ জন অফিস সহকারী ও একজন হিসাবরক্ষকের পদ সৃজিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভাবে এটি পরিচালিত হবে বিধান জেলাভিত্তিক মঞ্জুরী দেয়া হয়নি।

Caption: Full pdf download

স্কিমে অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও নিবন্ধন । বয়স ৫০ হলেও কি ভর্তি হওয়া যাবে?

  1. ১৮ (আঠারো) বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়স হইতে ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক তাহাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর ঊর্ধ্ব বয়সের নাগরিকগণও স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সেইক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ হইতে নিরবচ্ছিন্ন ১০ (দশ) বৎসর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হইবেন সেই বয়স হইতে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
  2. প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ যাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই, তাহারা তাহাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিয়া তাহার অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা প্রদান করিতে হইবে: আরও শর্ত থাকে যে, নিয়মিতভাবে পাসপোর্ট নবায়ন বা পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে নবায়নকৃত বা পুনঃইস্যুকৃত পাসপোর্টের অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা প্রদান করিতে হইবে।
  3. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিগণ তাহাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, স্কিমে অংশগ্রহণ করিবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করিতে হইবে।
  4. কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকগণকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করিয়া আবেদন করিতে হইবে যাহার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর প্রদান করা হইবে।
  5. আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা প্রদানের তারিখ অবহিত করা হইবে।

মাসিক চাঁদা কিভাবে পরিশোধ করবো?

যে কোনো স্কিমে নিবন্ধিত হইলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত স্কিমের জন্য ধার্যকৃত হারে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করিতে হইবে। নিবন্ধনের পর আবেদনকারী বিধি ৪ এর উপ-বিধি (৫) এ উল্লিখিত তারিখের মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, Online banking, credit card বা debit card এর মাধ্যমে বা তফসিলি ব্যাংকের কোনো শাখায় OTC (Over the Counter) পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে মাসিক চাঁদা জমা করিবেন।
   
   
   

এটি কি সরকারি পেনশন? না। আপাতত সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সর্বজনীন পেনশনের আওতা বহির্ভূত হবেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত যে কোন সুবিধাভোগী সর্বজনীন পেনশনের আওতা বহির্ভূত। তবে যদি এরূপ সুবিধা ভোগীদের মধ্যে কেউ উক্ত সুবিধা সমর্পণ করে সর্বজনীন পেনশনের অন্তর্ভুক্ত হতে চান তবে তিনি তাতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *