পেনশনারদের জন্য আরও একটু অতিরিক্ত আরও একটি সুবিধা প্রদান করা হলে তাদের জন্য ভাল হয়। নিম্নগ্রেডের পেনশনারগণ তার প্রাপ্য পেনশন দিয়ে অবসরজীবন স্বাচ্ছন্দে কাটাতে পারে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ পেনশনারদের পক্ষে তাদের যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবও তুলে ধরেছেন, জনৈক মুহাম্মাদ আবদুল মালেক Audit & Accounts Forum নিচের বক্তব্যটি সরকারের কাছে আবেদন হিসাবে তুলে ধরেন।
পেনশনের বিদ্যমান হার অনুযায়ী একজন কর্মচারী সর্বশেষ প্রাপ্য মূল বেতনের সর্বোচ্চ ৪৫% পেনশন প্রাপ্য হন। বাকী ৪৫% এর ভিত্তিতে এককালীন যে আনুতোষিক প্রাপ্য হন, তা অবসর-উত্তর নানাবিধ পারিবারিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেশিদিন হাতে রাখা সম্ভব হয়না। শেষমেশ সংশ্লিষ্ট পেনশনারের ঐ সর্বোচ্চ ৪৫% পেনশনই একমাত্র সম্বল থাকে। সদাশয় সরকার পেনশনারদের চিকিৎসা, উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ভাতাসহ ৫% হারে বার্ষিক পেনশন বৃদ্ধির সুবিধা প্রদান করছেন।
তবে, চিকিৎসা ভাতা ছাড়া বাকীগুলো বার্ষিক ও এগুলোর ভিত্তি ঐ সর্বোচ্চ ৪৫% পেনশন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সদাশয় সরকার শুধুমাত্র বাড়িভাড়া ভাতা ব্যতীত পেনশনারদের চাকরিকালীন প্রাপ্ত সকল প্রধান ভাতাই প্রদান করে তাদেরকে উপকৃত করছেন। বর্তমানে পেনশনারদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাড়িভাড়া ভাতাও প্রাপ্তির জন্য জোর আকুতি অনুভূত হচ্ছে। তাই সদয় হয়ে পেনশনারদের মাসিক পেনশনের ৫০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা মঞ্জুরের মাধ্যমে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সদাশয় সরকারের কাছে বিনীত আবেদন পেশ করা হলো।
জনাব মুহাম্মদ আবদুল মালেক এর আবেদনের প্রেক্ষিতে Dwijen Sarkar একমত হয়ে স্বপক্ষে বলেছেন “বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এটি একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বাড়িভাড়া সংযোগের জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে।”
আরেক মন্তব্যে জনাব MD Yeahia Molla বলেছেন যে, মালেক সাহেব, আরে ভাই দাবী করলে যথাযথ দাবী করুন। বাড়ী ভাড়া ভাতা ২০% নয় বরং চাকুরীতে থাকাকালীন অবসরের অব্যবহিত পূর্বে যে যেভাবে পেয়েছেন সেভাবে।কবে যেন একটা পোষ্টে উল্লেখ করেছিলাম আওয়াজ দিলে এবং আওয়াজে যুক্তি থাকলে কোন না কোন সময় সেটা বাস্তবায়ন হয়। তবে সেক্ষেত্রে মাদবরদের সহয়তা লাগে। আর অবসরে যাওয়ার পরে মাদবরদের খাই বেশী হয়। সারা জীবন মাদবরি করার পর অবসরে গেলে সেই মাদবরি থাকে না। তখন পেটের চাহিদা সঙ্গত কারণে কমে কিন্তু চোখের চাহিদা বেড়ে যায়।
এটা যে আমি বলি তাই নয়–বাট্রান্ড রাসেল, ভলতেয়ার, উডি এ্যালেন,রবীন্দ্রনাথ অনেকেই বলেছেন। কথায় আছে নাই ঘরে খাই বেশী। এতদপ্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেই…..বৃদ্ধ পুরুষের শারিরীক অক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার চোখে অনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় (ব্যতিক্রম ব্যতীত)।অনৈতিক সম্পর্কের নানাবিধ দিক আছে। ফোরামে এতদ্বিষয়ে বিস্তর আলোচনার নীতিগত সুযোগ নেই। তাই সেদিকে না যাই।অবসরপ্রাপ্ত মাদবরগণ পেনশনের ক্ষেত্রে বাড়ী ভাড়া ভাতা সংযোজনের বিষয়ে উদার হওয়ার জন্য চাকুরীতে থাকাকালীন বিষয়টি নিয়ে ভাববেন-এ প্রত্যাশা। সবাইকে ধন্যবাদ।
সব শেষে একটি কথা সুষ্পষ্ট করে বলা যায় যে, অবসর সময়ে মাসিক পেনশন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতার পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া যুক্ত করলে শেষ বয়সে তাদের বাড়ি করার ঝুকি নিতে হয় না অথবা নিরাশ্রয় হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
সরকারী চাকুরীজীবীরা অবসরের দিন থেকেই গৃহহীন নিরাশ্রয় হয়ে যান।
আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী। এই দুর্দিনে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চরম অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছি। এমতাবস্থায় আমার সবিনয় আবেদন যে আমার পরিবারকে পুলিশের রেশনের সুবিধার আওতাভুক্ত করা হোক। এবং বাড়িভাড়া ভাতা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
পেনশনারদের বাড়ি ভাড়া ভাতা পাওয়ার দাবি যুক্ত হওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মনে করি।
সহমত। কিন্তু সরকার ব্যয় সাশ্রয়ে প্রচলিত পেনশন বাতিল করছে।
পেনশনারদের বাড়ী ভাড়া ভাতা যুক্ত করা সময়ের দাবী । উক্ত বাড়ী ভাড়া পিআরএল এ থাকতে সর্বশেষ বেতনের সাথে যে বাড়ী ভাড়া ভাতা পেয়েছেন তা প্রদানের আবেদন রইল ।
চিকিৎসা ভাতা বাড়ানো প্রয়োজন ।