সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ নয় দফা দাবি পেশ করছেন এই নয় দফা দাবি নিয়েই ৪ই ডিসেম্বর মহাসমাবেশ হওয়ার কথা ছিল সেটি তারা স্থগিত করেছে– ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত ২০২৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কি বলেছেন? তিনি বলেছেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেক দাবিই যুক্তিক। কিছু দীর্ঘমেয়াদী এবং কিছু স্বল্পমেয়াদি অর্থাৎ সবগুলো দাবি দ্রুততর সময়ে সমাধান বা মেনে নেওয়া সম্ভবপর নয়। কিছু দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমাধান করা হবে। পে স্কেলের মত বড় দাবিগুলো সমাধান করতে বেশ সময় লেগে যাবে। দাবি মেনে নেওয়ার তার আশ্বাসেই মূলত কর্মচারীগণ সমাবেশ প্রত্যাহার করেন।
পে স্কেল কি দীর্ঘমেয়াদী দাবী? হ্যাঁ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সচিবালয়ে ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মচারী আছেন দুই হাজারের ওপর। দীর্ঘদিন তাঁরা বেতন ও পদোন্নতি-বঞ্চিত ছিলেন। তাঁদের ৯ দফা যে দাবি, সেগুলোর কোনোটিই অযৌক্তিক নয়। এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তবে সময়সাপেক্ষ। কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা গেলেও কয়েকটি রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি।
স্বল্প মেয়াদী দাবি কোনগুলো? মহার্ঘ ভাতা প্রদান স্বল্পমেয়াদি দাবি হতে পারে এবং পে কমিশন গঠনের জন্য কমিটি গঠন করা হতে পারে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তিত হয়ে নতুন পদনাম হয়েছে সে প্রেক্ষিতে, সচিবালয় কর্মচারীদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পদনাম হওয়া আবশ্যক বিধায় নতুন পদনাম করণের প্রস্তাব করা হলো। সচিবালয় কর্মচারীদের বিদ্যমান পদনাম পরিবর্তন করে প্রস্তাবিত পদনাম অনুযায়ী আদেশ জারি করা। বাংলাদেশ সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিদ্যমান পদসমূহ পরিবর্তন করে প্রস্তাবিত পদে পদনাম পরিবর্তন।
বিশ গ্রেড থেকে কমিয়ে ১০ গ্রেড করা যেতে পারে / বৈষম্যনিরেশনে শীঘ্রই কমিটি গঠন করা হতে পারে
পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংযুক্ত সার-সংক্ষেপে বর্ণিত পদসমূহ সংখ্যানুপাতে সংরক্ষণের আদেশ জারীর নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান এবং কর্মচারীদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত পর্যালোচনা কমিটিতে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একজন প্রতিনিধি অথবা তাদের পক্ষ থেকে মনোনীত একজন প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে
Caption: Social Media
সরকারি কর্মচারীদের দাবি দাওয়া ২০২৪ । ৯ দফা দাবি গুলোর মধ্যে কি কি আছে?
- জাতীয় পে-কমিশন গঠন করতে হবে।
- বেতন বৈষম্য দূরীকরণ করতে হবে।
- ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে।
- পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য (১ থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত) ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং
- পরবর্তী পে-কমিশন চূড়ান্ত বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের মধ্যে ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে ও ১৭তম গ্রেড (ক্যাশ সরকার) ১৫তম গ্রেডে, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-৯, হিসাব রক্ষক গ্রেড- ১২ হতে উপ সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গ্রেড-১০, ক্যাশিয়ার গ্রেড-১৪ হতে গ্রেড-১২ ও ফটোকপি মেশিন অপারেটর/ডিএমও গ্রেড-১৮ হইতে গ্রেড-১৬-তে উন্নীত করতে হবে।
- পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন ও গ্রাচুইটির হার ৪০০ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে।
- সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখতে হবে।
- সচিবালয় কর্মচারীদের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা। যেহেতু দেশের মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং
- সরকারি কর্মচারীরা পূর্বের চেয়ে দীর্ঘদিন কর্ম সম্পাদনে সক্ষম, সেহেতু চাকরি থেকে অবসরের বিদ্যমান ৫৯ বছরের বয়স বা সময়সীমা আরও ৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলেও কি এই দাবিগুলো করা হয়েছিল?
হ্যাঁ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান, নতুন পে–কমিশন গঠনের আগপর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু, রেশনিং প্রথা চালু, অবসরের বয়স বাড়ানো, পদের নাম পরিবর্তন, পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন ফল হয়নি এবং কর্মচারীদের মধ্যে এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আমিও একজন গার্মেন্ট শ্রমিক হিসেবে বিনয়ের সহিত বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ট্রীর কাছে দৃষ্টি আকষর্ন করে দাবী করছি আমাদের ও বেতন ভাতা বাড়ানো হোক তাহলে পরিবার বাচবে দেশ বাছবে
আমি একজন ২০ গ্রেড এর অন্তর্ভুক্ত এই অবস্তায় খুব সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি।
সবারই একই অবস্থা