সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ ( ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) মোতাবেক বয়োবৃদ্ধজনিত কারণে অবসর গ্রহণ করতে হয়– Govt. Retirement Rules 2025
কত বছরে চাকরি শেষ হয়? বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৯ বছর। তবে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫ বছর চাকরি করার পর অবসর গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫ বছর চাকরি করার পর অবসর গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। এই প্রস্তাব কর্মজীবনের পথে পরিবর্তন করতে চাওয়া কর্মীদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে পেনশন সুবিধাসহ স্বেচ্ছায় অবসর নিতে ২৫ বছরের চাকরি করা প্রয়োজন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এই শর্ত কমিয়ে ১৫ বছর করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধারা কি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করে? হ্যাঁ। সরকারি কর্মচারীর অবসর গ্রহণ ৪৩। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে,- (ক) একজন সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৫৯ (ঊনষাট) বৎসর পূর্তিতে, এবং (খ) একজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর পূর্তিতে, অবসর গ্রহণ করিবেন। (২) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা পরিচিতি যাচাই করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভকারী ব্যক্তি এইরূপ যাচাই হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন।
অবসর করতে কি বুঝায়? অবসর বলতে বোঝায়, কোনও ব্যক্তি তার পেশা বা কর্মজীবন থেকে প্রত্যাহার করা। এছাড়াও, ব্যবসা, কর্মজীবন, ঘরোয়া কাজ, এবং শিক্ষা, সেইসাথে খাওয়া এবং ঘুমের মতো প্রয়োজনীয় কাজকর্ম থেকে দূরে থাকা সময়কেও অবসর বলা হয়। অবসর মানে অবকাশ, ফুরসত, ছুটি কর্ম হইতে বিদায়, সুযোগ, ফাঁক, সুসময়, নিজের পদ বা পেশা থেকে অথবা সক্রিয় কর্মজীবন থেকে প্রত্যাহার, বয়স্ক হওয়া, স্বাস্থ্যগত কারণে কাজ করতে না পারা, ব্যক্তিগত বা সরকারী পেনশন সুবিধার জন্য যোগ্য হওয়া, শারীরিক অবস্থা ব্যক্তিকে আর কাজ করতে না দেওয়া, বই পড়া, ইউটিউব দেখে অরিগ্যামি শেখা, চর্চা করা, ব্যায়াম করে থাকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
সরকারি চাকরি হতে অবসরের বয়স বাড়বে নাকি কমবে?/ সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স ছিল ৫৭ বছর পর্যন্ত। ২০১১ সালে বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৭ থেকে ৫৯ করা হয়।
ব্যক্তির নির্ধারিত মুক্ত সময় অর্থাৎ যখন যা খুশী মনে চায়, করে নিয়ে যাওয়া যায়। অর্থাৎ, ব্যবসা, কর্মজীবন, গৃহস্থালী কাজ থেকে দূরে থাকার অলস সময়টুকুই অবসর সময় নামে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, খাওয়া-দাওয়া, ঘুমের পূর্ববর্তী কিংবা পরবর্তী সময়কালও অবসর সময় নামে গণ্য করা হয়।
Caption: Govt. Job ACT 2018
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণত ৫৯ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরে তারা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (পিআরএল) যান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি চলমান
- আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর ও অবসরের বয়স ছিল ৫৭ বছর।
- ১৯৯১ সালে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়।
- ২০১১ সালে অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়।
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য অবসরের বয়স ৬৫ বছর।
- উচ্চ আদালতের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত কর্মরত থাকেন।
- মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর নির্ধারণ করা আছে।
সরকারি চাকরি বিধি ৪৩(১) তে কি আছে?
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ ( ২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন ) যা ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ মাসে প্রকাশিত হয়। এই আইন অর্থাৎ দ্বাদশ অধ্যায় সরকারি অবসর, ইস্তফা ইত্যাদি বিষয়ে বলা আছে। সরকারি কর্মচারীর অবসর গ্রহণ এর ৪৩। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে,- (ক) একজন সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৫৯ (ঊনষাট) বৎসর পূর্তিতে, এবং (খ) একজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর পূর্তিতে, অবসর গ্রহণ করিবেন। (২) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা পরিচিতি যাচাই করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভকারী ব্যক্তি এইরূপ যাচাই হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন।
