দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করে থাকেন সরকারি কর্মচারীগন। একজন সাধারণ মানুষ অনেক স্বপ্ন এবং দেশের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে তার জীবনটি সরকারি চাকরির মাধ্যমে জনস্বার্থে উৎসর্গ করে থাকেন। ২৫-৩০ বছর তিনি জনগনের সেবায় তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত অতিবাহিত করে থাকেন এবং সর্বশেষে শান্তির অবসরে চলে যান-সরকারি কর্মচারীদের ভাড়া বাসায় বসবাস ২০২৪
সরকারি কর্মচারীগণ শান্তির অবসর চান? আমাদের কাছে সরকারি চাকরি শেষে অবসরে যাওয়া মানেই জীবনের চরম বিশ্রাম আর শান্তিতে কাটানোর অন্তিম সময়। কিন্তু এই অন্তিম সময় কি ব্যস্তজীবন পার করে তিনি সত্যিই শান্তিতে কাটাতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার জনগণের সেবার বিনিময়ে তার জন্য অবসর সময় উপভোগ্য করার জন্য দিয়েছে খাদ্যের নিরাপত্তা যা তিনি মাসিক পেনশন হিসাবে পেয়ে থাকেন, চিকিৎসার জন্য ১,৫০০ টাকা প্রতিমাসে ভাতা হিসাবে দিয়েছেন। অবসর জীবনটা শান্তির হত যদি সরকার তার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের একটি ব্যবস্থা করে দিত। মানুষের বাঁচার জন্য ৫টি মৌলিক অধিকার বা চাহিদা হলো খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা।
তাহলে আর কি প্রয়োজন? বর্তমানে এই ৫ টি মৌলিক চাহিদা যা না থাকলেই নয় এবং একটি দেশের সরকারের সে দেশের জনগণের প্রতি সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনসেবায় আত্ম উৎসর্গ করা মানুষটির জন্য এ চাহিদা গুলো পূরনের লক্ষ্যেই কাজ করা উচিত। মাসিক পেনশন, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা দিয়ে তার খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা চাহিদা পূরণ হয়ে যায়, শিক্ষাতো তিনি চাকরি গ্রহণের পূর্বেই অর্জন করে এসেছেন এবং প্রতিদিনই কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি শিক্ষা অর্জন করেছে এবং অমরণ তিনি শিখতেই থাকবেন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে “বাসস্থান”।
হ্যাঁ আমি চাকরি শেষে তার মাথা গোজার ঠাইয়ের কথা বলছি। সরকার চাকরি শেষে তাকে শেষ আশ্রয়ের কোন ব্যবস্থা করেনি বা ভাড়া করে ভাড়া বাসায় থাকার জন্য ন্যূনতম বাড়ি ভাড়াও তাকে দেওয়া হয় না। আমরা জানি কর্মরত অবস্থায় একজন কর্মচারীকে চাকরি করার সুবিধার্থে অথবা পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। চাকরি শেষ আর তিনি হয়ে গেলেন বাড়ি ভাড়া বিহীন। অবসরে যাওয়া পর মৌলিক চাহিদার একটি তিনি হারিয়ে ফেললেন যা কোন ভাবেই তখন আর অর্জন করে হয়ে উঠে না।
অবসরের পর তাকে রাস্তায় দাড়াতে হয় কেন? সেখ মোঃ আসাদুর রহমান,অডিটর, সিএও/পরিকল্পনা বিভাগ, এজিবি অফিস, ঢাকা দু:খ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেছেন যে “ সরকারী চাকুরীজীবীরা অবসরের দিন থেকেই গৃহহীন নিরাশ্রয় হয়ে যান।” আর এ কাজটা সরকারীভাবেই প্রতিপালন করা হচ্ছে। একটু খোলাসা করে বলি-“একজন সরকারী চাকরীজীবী অবসরকালীন সময়ে নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন, চিকিৎসা ভাতা পাবেন, উৎসব ভাতা পাবেন অথচ বাড়ীভাড়া ভাতা পাবেন না। জীবনের সুবর্ণ সময় যদি সৎভাবে কেউ রাষ্টের দায়িত্ব পালন করেন ,তার পক্ষে সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়ী তৈরী করা প্রায় অসম্ভব। যে মানুষটি চাকরীকালীন সময়ে সরকারী কোয়ার্টার কিংবা ভাড়া বাসায় থাকেন,তিনি যদি অসৎ উপায় অবলম্বন করে বাড়ী বা ফ্লাট বানাতে না পারেন তবে অবসরের পর তাকে রাস্তায় দাড়াতে হবে। কি অদ্ভুত পরিণতি! সৎ লোকেরা রাস্তায় থাকবে, আর অসৎ লোকেরা প্রাসাধে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আরামে আয়েশে কাটাবেন। রাষ্টীয় ব্যবস্থা অসৎ হতে অনুপ্রেরনা দিচ্ছে। একজন কর্মচারী চাকরীতে ঢুকেই যেন তেন উপায়ে নিয়ম নীতি সততা মূল্যবোধ শিকেয় তুলে প্লট বা ফ্লাটের পেছনে ছুটছে। এক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনের সাথে বাড়ী ভাড়া যুক্ত করা হলে এই অনৈতিক প্রতিযোগিতা অনেকটাই কমবে।
আমরা চাই বাংলাদেশ কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিনত হোক।”
অনেকেই হয়তো বলবেন সরকারি গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান করছেন, আমি তাদের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই ১৯৮২ সালে প্রনীত গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা অনুসারে একজন সরকারি কর্মচারী ২০২১ সালে এসেও গৃহ নির্মাণ ঋণ বাবদ সর্বোচ্চ ১,২০,০০০/- টাকা পাচ্ছেন। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে জমি বা বাড়ি বা জমি সহ বাড়ি করা সম্ভব?
হ্যাঁ, ২০১৮ সালে আরও একটি ২০-৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা জারি করেছে কিন্তু সে মোতাবেক প্রায় ৩ বছর পর হলেও কোন সরকারি কর্মচারী এমন ঋণ পাননি। কিছু কর্মকর্তা এমন ঋণ পেয়েছে কিন্তু কোন কর্মচারী আমার জানামতে এখনও এ ঋণ পান নি। তাছাড়া এ ঋণ গ্রহণ করলে একজন কর্মচারী তা মাসিক ১৫-২৫ হাজার টাকা বেতনে কোনভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারবেন না। কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই!
বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন
this simple math of plus or minus is not understood by the highly literate persons.
we are in the assumption that the government servant is to manage his shelter after retirement
but is it possible or not , that calculation is bypassed very knowingly and carefully. truly those who do not likes to indulge in illegality but the policy invites it, we are so literate.
the pension gratuity if spend for shelter then no food, unless son / daughter is there. After serving a long one is to depend on others unless he is indulged in illegal earnings during prime days or inherited from parents.
we are looking forward for earnest consideration of having house rent with pension.
you are 100% right. Policy Make should look into it.
Having got house rent with pension is a very valid claim. But it should be thought also by them who are in service now. Because government service will be ended in a certain time.
সহমত।
This should be Implement for all retired Government servants. Remember those have wrongly surrendered their pension and now they are requesting to effect pension after 8 yes instead of after 15yrs .Because now they’re passing in difficult n crisis moments. I have seen that the present n sitting Government sarvants are not cooperate to implement it.
Some widow knock me to get the faliality.
The writer has very rightly observed–“A Govt. service-holder becomes shelter-less from the very day of his/her retirement”. I agree, it is really essential to provide at least a part of the house rent to a pensioner.
True, the present government has taken a number of welfare measures for the benefit of the pensioners. Meanwhile I have a say about the provision of granting 50% pension benefit to a person on retirement. But I think this should be made ‘optional’. But there are some pensioners who could not make a good saving during his/her service period and who had to spend savings plus borrow money, take Bank loans to ensuring proper treatment for his/her seriously ill dependents–father, mother, brother, sister. If s/he gets the maximum amount of the pension benefit, s/he could repay loans and do something for future with the rest of the money. In case, if one goes to retirement unmarried, as per rule, one would not get the family pension; if one dies soon after retirement then the dependents would be thrown into a very helpless situation. So, I would fervently call upon the Government to consider the matter in the great well-being of those (may be few in number) employees.