সেনাবাহিনীর রশদ ভাতা ২০২৫ । ছুটিতে থাকাকালীন দৈনিক ৪৬ টাকা হারে রশদ ভাতা পাওয়া যাবে?
সশস্ত্র বাহিনীর অনারারি কমিশন্ড অফিসার, জেসিও, জুনিয়র কমিশন্ড পদবির নিম্নের ব্যক্তিবর্গ, রিক্রুট, এনসি(ই) এবং এমওডিসি ও সমতুল্য ব্যক্তিবর্গের ভাতা/সুবিধাদির মধ্যে রশদ ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে– জেএসআই রশদ ভাতা ২০২৫
জেএসআই রশদ ভাতা বলতে বোঝায় Junior Commissioned Officer, Sergeant এবং অন্যান্য In-rank সদস্যদের জন্য নির্ধারিত রশদ ভাতা। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে রশদ ভাতা পদ ও দায়িত্ব অনুযায়ী আলাদা হারে নির্ধারিত হয়। এখানে JSI বলতে বোঝানো হয়— J = Junior Commissioned Officer (জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার) S = Sergeant (সার্জেন্ট) I = In-rank Soldiers বা সমমানের পদে থাকা সদস্যরা জেএসআই রশদ ভাতার উদ্দেশ্য এটি এই গ্রুপভুক্ত সদস্যদের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খরচ মেটানোর জন্য প্রদান করা হয়। প্রদান পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য মূল রশদ ভাতার মতোই, শুধু হার আলাদা থাকে কারণ পদের ভিত্তিতে চাহিদা ও বেতনের কাঠামো ভিন্ন। মাসিক বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়। সাধারণত করমুক্ত থাকে। মেসে খাবারের খরচ মেটাতে ব্যবহার হয়। বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার সময়ে সময়ে হার বৃদ্ধি করে।
“JSI রশদ ভাতা” বলতে মূলত বোঝানো হয় সশস্ত্র বাহিনীর Junior Commissioned Officers (JCOs), Sergeants এবং In-Rank Soldiers (সংক্ষেপে JSI) – তাদের খাদ্য বা রশদ সংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত ভাতাটি। সম্প্রতি পাওয়া সরকারি গেজেট অনুযায়ী (গেজেট নং ০১/২০২৫), JSI-র জন্য রশদ ভাতার অর্থপ্রদান নিম্নরূপ নির্ধারণ করা হয়েছে দৈনিক ৮০ টাকা, যা গঠিত: শুকনো (dry) ১০ টাকা + তাজা (fresh) ৭০ টাকা এবং নগদ অর্থ হিসেবে প্রদান করা হয়, রেশন সরবরাহের পরিবর্তে JSI সদস্যরা দৈনিক মোট ৮০ টাকা রশদ ভাতা পান। শ্রেণী দৈনিক রশদ ভাতা JSI (JCO, Sergeant, In-Rank) ৮০ টাকা (শুকনো: ১০ টাকা + তাজা: ৭০ টাকা)।
ছুটিকালীন রশদ ভাতা কত? সশস্ত্র বাহিনীর জেসিও সদস্য প্রতিদিনের জন্য ৪৬ টাকা রশদ ভাতা পাবেন। রশদ ভাতা দুই রকমের হয়ে থাকে কর্মকালীন এবং ছুটিকালীন ভাতা। কর্মকালীন রশদ ভাতা বর্তমানে দেনিক ৪৬-৮০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। তবে এখন ছুটিকালীন রশদ ভাতা ২৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৬ টাকা করা হলো এবং এটি ০৬ আগস্ট ২০২৫ হতে কার্যকর হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর রশদ ভাতা ২০২৫ / ছুটিতে থাকাকালীন দেনিক রশদ ভাতা ৪৬ টাকা।
রশদ ও রেশন ভাতা কি একই? না। “সশস্ত্র বাহিনীর রশদ ভাতা” বলতে সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য দেওয়া রেশন ভাতাকেই বোঝানো হয়ে থাকে। উক্ত ভাতা সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মাসিক রেশন ভাতা বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জনপ্রতি ৪১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটি ২৪৭ টাকা থেকে ২৯৭ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩৫ টাকা থেকে ১৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যেটি পরে জনপ্রতি ৪১৮ টাকা করা হয়, এবং তা বর্তমানেও বহাল রয়েছে।

Caption: Roshod Vata order
সেনা বাহিনীর পদ পদবী ২০২৫ । বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পদ পদবী কি কি?
১. কমিশন্ড অফিসার (Commissioned Officers)
সরকারিভাবে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের শীর্ষ পর্যায়:
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট (Second Lieutenant, 2/Lt)
লেফটেন্যান্ট (Lieutenant, Lt)
ক্যাপ্টেন (Captain, Capt)
মেজর (Major, Maj)
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (Lieutenant Colonel, Lt Col)
কর্ণেল (Colonel, Col)
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (Brigadier General, Brig Gen)
মেজর জেনারেল (Major General, Maj Gen) — দুই তারকা WikipediaMilitary Factory
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Lieutenant General, Lt Gen) — তিন তারকা Wikipedia
জেনারেল (General, Gen) — চার তারকা, সর্বোচ্চ পদবী, প্রধান সেনা সদ্যাধিকারী (CAS) এর পদের জন্য নির্ধারিত Wikipediajoin.army.mil.bd
২. জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (JCO – Junior Commissioned Officers)
এদের অবস্থান কমিশন্ড ও NCO-এর মাঝামাঝি:
ওয়ারেন্ট অফিসার (Warrant Officer, WO)
সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (Senior Warrant Officer, SWO)
মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (Master Warrant Officer, MWO)
এই শ্রেণির সদস্যরা প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার হিসেবে গণ্য হন WikipediaMilitary Factory।
৩. এন-কমিশন্ড অফিসার (NCO – Non-Commissioned Officers) এবং সৈনিকগণ (Other Ranks)
সাধারণ সৈনিক (Sainik/Private) — সর্বনিম্ন পর্যায় WikipediaMilitary Factory
এরপর NCO পর্যায়ক্রমে:
ল্যান্স কর্পোরাল (Lance Corporal, LCPL – OR-2)
কর্পোরাল (Corporal, CPL – OR-3)
সার্জেন্ট (Sergeant, SGT – OR-4)
Company/Battery Quartermaster Sergeant
Battalion/Regiment Quartermaster Sergeant
Battalion/Regiment Sergeant Major
এগুলো মূলত সার্জেন্ট ক্যাটাগরিতে পড়ে WikipediaMilitary WikiMilitary Factory
সারসংক্ষেপ: পদবীর শ্রেণিবিন্যাস
| শ্রেণি | পদবীর ধরন (উদাহরণস্বরূপ) |
|---|---|
| কমিশন্ড অফিসার | 2/Lt → Lt → Capt → Maj → Lt Col → Col → Brig Gen → Maj Gen → Lt Gen → Gen |
| জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার | WO → SWO → MWO |
| এন-কমিশন্ড অফিসার ও সৈনিক | Sainik → LCPL → CPL → SGT → … → Sergeant Major |
রশদ ভাতা কি পাহাড়ি এলাকায় শুকনা খাবারের জন্য দেয়া হয়?
“জেএসআই রশদ ভাতা” (JSI ration allowance) বলতে বোঝায়—সশস্ত্র বাহিনীতে রশদের বদলে নগদ অর্থের মাধ্যমে প্রদত্ত দৈনিক ভাতা। JSI অর্থ “Joint Services Instructions”। একে এক ধরনের নির্দেশাবলী বা আদেশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়, যা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ভাতা প্রদান সংক্রান্ত নিয়ম নির্ধারণ করে। মূল তথ্য অনুসারে, বর্তমানে JSI-01/2025 অনুযায়ী, রশদের পরিবর্তে প্রদানযোগ্য নগদ ভাতার হারে মোট ৮০.০০ টাকা, যার মধ্যে শুকনো ও খাদ্যভাগ = ১০.০০ টাকা তাজা খাদ্য = ৭০.০০ টাকা। এটি মূলত দৈনিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়, রশদ সরবরাহ না করে নগদ প্রণোদনার মাধ্যমে। উদাহরণস্বরূপ, একজন সার্জেন্ট যদি রশদ না পান, তবে তার পরিবর্তে এই ভাতা—মোট ৮০ টাকা (প্রতি দিনের)—খরচের মতো নগদ দেওয়া হয়। জেএসআই রশদ ভাতা হলো: রেশন (খাদ্য) সরবরাহ না করে নগদ অর্থ প্রদান হয় এবং বর্তমান হার (JSI-01/2025 অনুযায়ী) প্রতি দিন ৮০ টাকা (শুকনো ১০ + তাজা ৭০) টাকা।
একজন সৈনিক পদোন্নতি পেয়ে কোন পদে যান?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একজন সৈনিক (Sainik/Private) পদোন্নতি পেলে সাধারণত প্রথমে ল্যান্স কর্পোরাল পদে যান।
পদোন্নতির সাধারণ ধাপ (NCO পর্যায়)
সৈনিক (Private/Sainik) →
ল্যান্স কর্পোরাল (Lance Corporal) →
কর্পোরাল (Corporal) →
সার্জেন্ট (Sergeant) →
কোম্পানি কোর্তার মাস্টার সার্জেন্ট →
ব্যাটালিয়ন/রেজিমেন্ট কোর্তার মাস্টার সার্জেন্ট →
ব্যাটালিয়ন/রেজিমেন্ট সার্জেন্ট মেজর (সর্বোচ্চ NCO পদ)
তারপর যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সুপারিশের ভিত্তিতে জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (JCO) পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ থাকে — যেমন ওয়ারেন্ট অফিসার ইত্যাদি। মানে, প্রথম পদোন্নতি সৈনিক থেকে ল্যান্স কর্পোরাল হওয়াটাই নিয়ম। আপনি চাইলে আমি আপনাকে সৈনিক থেকে জেনারেল পর্যন্ত পুরো পদোন্নতির সময়কাল ও শর্ত একটি চার্ট আকারে বানিয়ে দিতে পারি। এতে পরিষ্কার বোঝা যাবে কে কত বছর পর কোন পদে যেতে পারেন।


